প্রাণী জগত মিলিয়ন বছর ধরে বিবর্তিত হচ্ছে এবং হবে। তবে অনুভূতি হচ্ছে এক সময় মানুষ লিখতে জানতোনা পড়তে জানতো না। মনে হয় সে দিন গুলোই ঠিক ছিল। আগে আমরা ডাইরিতে লিখতাম এখন ব্লগে লিখি। ফেসবুকে স্টেটাস দেই। একসময় বাংলিশ লিখতাম এখন শুদ্ধ বাংলায় লিখি। খেয়াল করে দেখবেন মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে তত পশুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। ঠক বাজী আর প্রতারণা চোখে পড়ার মতো। সিন্ডিকেটের জাঁতাকলে দ্রব্যমূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বগতি। আজ থেকে ২ ঘণ্টা লোড শেডিং এর কথা কলে কয়েক ঘণ্টা পর পর লোড শেডিং হচ্ছে। এখন তো বাতাসও নেই। বর্ষা শেষের দিকে। শ্রাবণের আজ ৫ দিন চলে যাচ্ছে বৃষ্টির দেখা নাই।
তীব্র গরমে দ্বিগুণ রিক্সা-ভ্যান ভাড়া। সে সময়ের লিখতে পড়তে বুঝতে না পারা মানুষ গুলো কত সহজ সরল ছিল। কেউ কাউকে ঠকানোর, কষ্ট দেওয়ার মনোভাব পুষে রাখত না। সে সময় প্রেমিকাকে একনজর দেখে প্রেমিকের মন ভরে যেত। এখন প্রেম মানে রুম ডেট। কথায় কথায় ব্রেক আপ। সে সময় প্রেমে প্রতারণাকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। এখন সকালে প্রেম হয় বিকেলে ব্রেক আপ।
সে সময় কিশোর গ্যাং এর কথা আমরা কল্পনা করিনি কখনো। এখন বাচ্চারা জড়িয়ে অপরাধ প্রবণতায়। যুবকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ইয়াবা মদ গাঁজা পেনসিডিল। এগুলো খাওয়াকে নাম দিয়েছে আধুনিকতা। আগে মাঠে ক্রিকেট খেলত সিন্ডিকেট করে মোবাইলে কি সব গেমস খেলে।
৬ ডিজিট সেলারি না হলে একটি সুন্দর মেয়ে একটা ছেলেকে বিয়ে করছেনা ফলে ছেলে জড়িয়ে যাচ্ছে ঘুষ আর দুর্নীতিতে। আগে ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাওয়া যেত এখন ভালোবাসা বলে কিছুই নেই। সম্মান দিলে দুর্বল ভাবে। আগে মুরব্বীদের সামনে পোলাপান সিগারেট খেত না। এখন মুরব্বী দেখলে বলে হালায় দেহেনা আমরা আড্ডা দিতাছি। এই দিকে আহে ক্যান? আরও দেখাইয়া দেখাইয়া টান। সিন্ডিকেট করে জিম্মি করে রাখে মহল্লা।
আগে স্কুল ফিরে ফুটবল খেলতাম এখন মাঠই নেই। ফরমালিন কি চিনতাম না এখন জেনে শোনে ফলের বিষ খাই। আগে মানুষ প্রতারণা কম করতো এখন প্রতারণা এক স্বাভাবিক বিষয়। বর্তমানে চলছে আত্মকেন্দ্রিক জীবন-চর্যা । কারো ভাবার সময় নেই মনুষ্যত্ব দ্বারা একটি সুন্দর পৃথিবী ও সুন্দর সমাজ গড়ে না তুললে আমরা আমদের সন্তানদের চোখে অপরাধী হয়ে যাব।
সমাজের ধর্মীয় দল গুলো হয়ে গেছে ভণ্ড। কুরান বলছে- তোমরা (হে মুসলমানগণ! বিবাদ পরিহার কর এবং) কল্যাণে অগ্রগামী হও। দিন দিন এই ধর্মীয় দল গুলো এমন হিংসাত্মক হয়ে উঠছে যে অন্য ধর্মের লোক ইসলাম ধর্মকে খারাপ ধর্ম-ব্যবস্থা মনে করছে। আগে মানুষ চোর ডাকাতদের ভয় করত এখন ভয় করে ধার্মিকদের। ধর্মের কথা বললে ভণ্ড কিনা ১০ বার ভাবে। ধর্ম নিয়ে গড়ে উঠেছে শত শত সিন্ডিকেট। যেমনঃ কেউ জামাত কেউ হেফাজত কেউ পীর ব্যবসা কেউ সুন্নী আরও কতো দল। ওয়াজে হুজুরদের জন্য গুননতে হচ্ছে লাখ টাকা। ভাড়া করতে হচ্ছে হেলিকপ্টার। এ ওয়াজিরা ভেতরে ভেতরে সিন্ডিকেট করে ধর্ম প্রচারের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ থেকে কোটি টাকা। লাখ টাকা দাও নাহলে ভালো বক্তা জুটবেনা। এখানেও সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেটের জাঁতাকলে পিষ্ট আমরা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৬