ঠিক যখন সরকার মহোদয় বলছেন মিতব্যয়ী হওন তখন পত্রিকায় খবর বের হচ্ছে, কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের গাছে পানি দেয়া শিখানোর জন্য নেদারল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার পরও কিভাবে ওনারা সরকারি খরচে বিদেশ যান তা চিন্তা করতেই আপনাকে হতাশায় ডুবে যেতে হবে।দেশে জ্বালানি সংকটের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। ভেপসা গরমের সাথে অবিরাম লোড শেডিং এর জন্য দোহাই দেয়া হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফান্ড ৪৭০০ কোটি ডলার আছে বললেও আসলেই যে তত নেই মোটামুটি কম শিক্ষিত যে কারও পক্ষেই তাহা সহজেই অনুমেয়।
দেশের এই খারাপ অবস্থায়ও বলিউড অভিনেতা আনার দরকার কতটুকু ছিল? ১১ জন স্কুল ছাত্র গাফিলতির জন্য ও দায়িত্বহীনতার জন্য মা-বাবার বুক খালি করে চলে গেল। সে ১১ জনের মধ্যে আমাদের নিজের সন্তান নেই বলে দু কলম লিখে দায়িত্ব শেষ শেষ করে দিচ্ছি।
আমাদের দেশ সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে বিরোধী দল কে হবে এবং তাদের যে আন্দোলন তো দূরের কথা, বলারও যে সুযোগ নেই তাহা সলিম উদ্দিন ককলিমউদ্দিনও জানে।
এতো গুলা গণ মাধ্যম। একটিও নিরপেক্ষ নেই। কখনক পরিমনি কখনো হিরো আলম কখনো এটা কখনো সেটা দিয়ে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকারি ডিবি পুরা দেশে শুধু ১৫ দিন অভিযান চালানোর মাধ্যমে বাজার সিণ্ডিকেটের ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে পারে। কিন্তু না তা করবেনা। সওদা হয়ে যাচ্ছে মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা। পাচারকৃত অর্থ নিয়ে কদিন মাঠ গরম থাকলেও পরবর্তীতে আবার চুপ হয়ে যাচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে। হয় ঘুষ দাও না হয় কেস খাও। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করা লম্পট হয়ে যাচ্ছে জাতীয় নেতা। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী সবাইকে হতবাক করে দিলেও আমরা সব কিছু স্বাভাবিক নিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। চারদিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। আমরা শাস্তি দিতে পারি অসহায় হিরো আলমকে।একটা ইয়াবা কিং এর একটা লোমও বাঁকা করতে পারি না। ছিঃ আমাদেরকে। আমরা মেরুদণ্ডহীণ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৬