সনত্মান প্রসব করার সময় মোবাইলফোনে কথা বলতে ব্যসত্ম ডাক্তার। তারই অন্যমনস্কতায় নবজাতকের কনুইয়ের উপরে ভেঙে যায়। যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক নিকুঞ্জ বিহারী গোলদারের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ করেছেন এই শহরেরই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বারান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম মাসুদ।
মঙ্গলবার যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি উল্টো দুর্ব্যবহার করেন।
মাসুদ বলেন, তার স্ত্রী মিসেস সাদিয়া আফরিনকে দ্বিতীয় সনত্মান ভূমিষ্ট করাতে গত ২৬ আগস্ট ভর্তি করেন শহরের জেল রোড এলাকায় অবস্থিত কুইন্স হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার তার স্ত্রীর সিজার করেন। এ সময় ডাক্তার মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। তার স্ত্রী সাদিয়া আফরিন বিষয়টি লক্ষ্য করেন। শিশুকে অপারেশনের মাধ্যমে টেনে বের করার সময় ডাক্তার শিশুর ডান হাতের কনুইয়ের উপরের হাড় ভেঙে ফেলেন।
ঘটনার পর পর বিষয়টি জানতে পেরে আমিনুল ইসলাম মাসুদ ডাক্তারের কাছে জানতে চান। এতে নিকুঞ্জ বিহারী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে অকথ্য আচরণ করেন।
মাসুদ আরও বলেন, অপারেশনের খরচ ছাড়াও ডাক্তার তাদের কাছ থেকে ব্যান্ডেজের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৮শ’ টাকা গ্রহণ করেন।