somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বাতেন ভাই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বাতেন ভাই নব্বইয়ের দশকে ইউক্রেন থেকে পিগ আয়রন(জিনিসটা আসলে কি,আমার কোন আইডিয়া নাই,হতে পারে লোহার টুকরো গুলো শুয়োরের মতো গোল গোল) আমদানি করে বেশ ধনী হয়ে পড়ে।উনি খোলা হাতে দান-খয়রাৎ শুরু করেন।এসবের পাশাপাশি উনার নতুন এক রোগ দেখা দিলো,উনি একটি কবিতার বই ছেপে ফেলেন।নীল রঙের বইটির নাম আমার মনে নেই।তবে যেটি মনে আছে,বইটির প্রচ্ছদের নিচে উনি নিজের নাম লিখেছিলেন- লিখক আবদুল বাতেন।সেটাই কাল হয়েছে।কিভাবে কে যে প্রুফ দেখেছিলেন জানিনা।সবাই বেশ হাসাহাসি করতেন।অথচ উনি চাইতেন কেউ বইটির যেকোন একটি কবিতা নিয়ে উনাকে একটু বলুক।উনি সেটা শুনতে বেশ আগ্রহ নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকতেন।আমার খারাপ লাগতো।

আমি উনাকে উনার সেই বইয়ের একটি কবিতা নিয়ে উৎসাহ দিয়েছিলাম।উনি খুব খুশি হয়েছিলেন।আমাদের হয়েছিলো নগদে লাভ।আমরা আমাদের খেলাধুলার জন্য উনার থেকে অনেক ইন্সট্রুমেন্ট নিয়েছিলাম।উনার সেই কবিতাটা উনার মৃত্যুর পর কি হবে তাই নিয়ে-

যখন পড়বে আমার লাশ(এটাই ছিলো স্টার্টিং)
এরপর উনি প্রতি লাইনে মিল দিয়ে পাশ,টাশ,মাস,কাশ এমন করেই কবিতাটার ডেলিভারি দিয়েছিলেন।আমি উনাকে বলতাম,বাতেন ভাই,সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন ছন্দের জাদুগর।এরপর আপনার কবিতা পড়ে আমি যা আনন্দ পেলাম।মাঝখানে আমি কবিতা পড়াই প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম।উনি বেশ খুশী হতেন।আমাদের সাইফুল অত্যান্ত ঠোঁটকাটা ছিলো,সে উনাকে বলতেন,কিরে ভাই,লিখক মানে কি,আপনি কি দলীল লিখক,বাতেন ভাই,এগুলা আপনি কি লিখছেন?তারপর উনার মুখের দিকে চেয়ে হাসতেই থাকতো হাসতেই থাকতো।বাতেন ভাই বলতো,আমি কিছু মনে করি না,ও কিন্তু ছোট থাকতেই বেয়াদপ ছিলো।কোন চেঞ্জ নাই।

৯৮ এর বন্যায় উনি বন্যার্তদের জন্য রিলিফ তোলা শুরু করলেন।আমাদের নিয়ে উনি একটি হ্যান্ড-মাইক নিয়ে সুন্দর করে বলতেন- নকসী কাঁথার মাঠ,সোজন বাঁদিয়ার ঘাট আমাদের এই শ্যামল বাংলা আর নাই।সব প্রমত্ত বন্যায় ডুবে গেছে।আপনারা সবাই সাহায্য করুন।দেখা গেলো ,কেউ আমাদের নগদ টাকা নিয়ে সাহায্য করলো না।সবাই তাদের ঘরের ময়লা কাপড়-চোপড় সেই ফাকে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে আমাদের দিয়ে বেঁচে গেলো।আমরা মানুষের এই বিপুল ভালোবাসার বোঝা নিয়ে মারাত্বক বিপদে পড়লাম।আমার বোন আমায় টিপ্পনি দিতো- জানোস সবাই তোদের জন্য এইসব নিয়ে অনেক বছর অপেক্ষা করছিলো।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×