শিক্ষকদের বলা হয়, মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার্থীদের মানুষ করতে তাঁরা কত পরিশ্রমই না করেন। বিনিময়ে শিক্ষকেরা যা পান তা অতি নগন্য। কিন্তু এমন অনেক শিক্ষক আছেন, যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে উজাড় করে দেন। বিনিময়ে কী পেলেন, কী পেলেন না তার হিসাব মিলিয়ে দেখেন না কখনো। এমনই এক ত্যাগী শিক্ষক টাঙ্গাইলের বাহাজ উদ্দিন ফকির (৫৩)। সাড়ে ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এক দিনও প্রাপ্য ছুটি কাটাননি তিনি। বাবার মৃত্যু, স্ত্রীর অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ—কোনো কিছুই তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি।তার
অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ খান বলেন, ‘বাহাজ উদ্দিন ফকির অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে বিদ্যালয়ে টানা সময় দিচ্ছেন। ৩০ বছরের বেশি চাকরিজীবনে এক দিনও ছুটি নেননি তিনি। তাঁর এই ত্যাগ অনুসরণযোগ্য।’
সম্প্রতি মধুপুর সদরের আদালতপাড়ায় বাহাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সময়মতো তিনি স্কুলে গিয়ে হাজির হন। রান্না একটু দেরি হলে না খেয়েই চলে যান। কখনো আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার দরকার হলে বন্ধের দিন যান। খোলার দিন যত কাজই থাকুক, স্কুল ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারেন না। প্রথম প্রথম এটা বাড়াবাড়ি মনে হলেও এখন খুব ভালো লাগে। লোকে যখন তাঁর প্রশংসা করে তখন আমারও গর্ব হয়।’
বাহাজ উদ্দিন বলেন, ‘৩০ বছরে ৬০০ দিন আমার প্রাপ্য ছুটি নিইনি। এই ৬০০ দিন শিক্ষার্থীদের বেশি পড়াতে পেরেছি। আমরা যদি অযথা ছুটি না নিয়ে কাজ করি, তবে দেশ এগিয়ে যাবে।’
লেখা টা পড়ে সেয়ার করতে মন চাইল।আমার মনে হয়েছে এরকম মানুষদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
লেখাটা আজকের "প্রথম আলো" থেকে নেওয়া।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




