Post টি দুবার Delete হয়েছে
[বিঃদ্রঃ অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয় এবং কোন রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে নয়, শুধুমাত্র একজন সাধারণ Internet ব্যবহারকারী Mango Public এর মতামত, সমালোচকেরা ভাষা সংশ্লিষ্ট/যেকোন ভূল ধরা থেকে বিরত থাকুন। কারণ আমি আগেই বলেছি আমি একজন Mango Public বড় কোন ব্লগার নই এবং আমার হওয়ার ইচ্ছাও নেই]
আমাদের জীবনধারা অনেকটা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে উঠেছে। অনলাইন সপ, অনলাইন জব, অনলাইন ব্যাংকিং, অনলাইন অফিস, অনলাইন পণ্য আরো আছে অনলাইন নিউজ, অনলাইন রেডিও, অনলাইন টিভি, অনলাইন পর্ণ, অনলাইন ডেটিং, অনলাইন সেক্স, অনলাইন গেমিং এমনকি অনলাইন মার্কেটিং। এখন তো Google+ এ Hangouts ও আছে। আরেকটা অংশ বাদই পরে গেল। অনলাইন বন্ধুত্ব, আড্ডা আরো অনেক কিছুকে আমরা বাদ দিচ্ছি। তার মানে আমাদের অনলাইন বাজার তৈরী হয়ে গেছে এবং বলা চলে অনেকটা চাঙ্গা। যেহেতু বাজার চাঙ্গা তো অনেকের জীবিকা নির্বাহের প্রধান/আংশিক মাধ্যমও এই মাধ্যম। তো সরকার সার্থক। তারা ডিজিটাল সরকার গঠনে সফল(যদিও এর অর্থ আমি এখনো বুঝতেসিনা। যদি তারা mean করে Sci-fiction Movie-এর মত সব রাষ্ট্রীয় Decision, Computer নিচ্ছে সেরকম তবে তা কোন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কখনো সম্ভব না। তবে American/Japan এর মত দেশের পক্ষে সম্ভব হতে পারে)। বাংলাদেশ সরকার তরুণ সমাজের আকাঙ্খা/কামণা ধরতে পেরেছে (এর অর্থ আপনার মাথায় যা আসে তাই include করতে পারেন)। সরকার বাজার বোঝে, তরুণ সমাজকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। কারণ, গত নির্বাচনে তরুণ ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। তারা অধিকাংশ বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছে। তো তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ বাজার বড় করা। আপাতত আমরা এই আলোচনায় নিশপত্তি টানছি।
ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের দেশেই তার অনেক জলজ্যান্ত প্রমাণ রয়েছে। এ নিয়ে Youtubeসহ Google এর অনেক পণ্য পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেল। অনলাইন অলাদের(আমার দেয়া নাম) বিশাল ক্ষতি। সেই সাথে তরুণদের বাজার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে সরকারের হাত থেকে (এই বিষয় না হয় বাদই দিলাম)। অনেকে হয়ে যাবেন বেকার (বেকার সমস্যার উত্থান)
অনেক অনলাইন নিয়ে পেচাঁল পারলাম। এখনো দেশের সংখ্যা লগিষ্ঠ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে এবং তাদের অনলাইন তো দূরে থাক। Computer নিয়ে তাদের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, আর তা ব্যবহারের কথা বাদই দিলাম। তো তাদের কাছে Youtube, innocence of muslim এই জিনিসগুলো কি প্রতিক্রিয়া ফেলছে।
তারা জানেন না Youtube কি, তবে জানেন ইসলামের শত্রুরা (Christian বিশ্ব/America/ইহুদিরা তারা যা বোঝেন)
ইসলাম বিরোধী/ মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছে (তারা এইসব ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর)। যখন শুনলো বাংলাদেশ সরকার এই ব্যাঙ্গাত্নক ছবি বন্ধ করে দিয়েছে। (আসলে আমরা জানি শুধু Youtube বন্ধ হয়েছে, কিন্তু এখনো অনেক উপায়ে Youtube ব্যবহার করা যায়)। তারা সরকারকে বাহবা দিচ্ছে। তাহলে তো সরকারের কেল্লা ফতে, তাদের বাজার এখন বিশাল বড়। আপাতত এখানেও নিশপত্তি টানছি।
যে সরকার ডিজিটাল কথা দিয়ে পুরো জাতিকে টাল করলো। সেই সরকারই যদি এই ধরণের (স্বার্থপরায়ণ অথবা আপনি যা বোঝেন, আমি নিজেও খুব Selfish তাই আমি সরকারকে blame করতে পারি না) পদক্ষেপ নেয় তবে অন্যকোন সরকার এর থেকে কি ভাল করবে না খারাপ করবে তার ভার আমি আপনাদের মাথায়ই দিয়ে দিচ্ছি।
কিছুদিন আগে একটা বিদেশী ব্লগে পড়লাম, আমেরিকা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার অংশ হিসেবে তারা Cyber Army তৈরী করছে। শুধু তাই নয় তারা এই বিষয় নিয়ে যারা পড়ছেন তাদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থাও করেছে (অনেকে ভেবে অবাক হচ্ছেন, আমরা এখনো অনেক দূরে)। তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে অনলাইন যুদ্ধ (অনলাইনের নতুন পণ্য)। শুরু হবে Information Crisis, দাঙ্গা হাঙ্গামা, Cold War এর মত কিছু ঝামেলা (এর ছোট একটি প্রমাণ হিসেবে মনে করিয়ে দিচ্ছি কিছুদিন আগের ঘটে যাওয়া প্রাইভেট-পাবলিক অনলাইন ঝগড়া। আমি জানি না এই ঝগড়া কোথাও কোথাও হাতাহাতি অথবা মারামারি পর্যায় পর্যন্ত পৌছেছে কিনা)। একজন মানুষের (ছাত্রও বলতে পারেন) মৃত্যুতেই যদি এমন হতে পারে তবে ধর্ম নিয়ে যখন শুরু হবে তখন তা কোন পর্যন্ত যেতে পারে তার ধারণা আপনারাই ভেবে দেখুন।
এটা কখনকার দৃশ্যপট? হতে পারে আগামী বছরের, বা আগামী ৫ বছর পরের(Maximum)।
আসুন আবার প্রথম থেকে শুরু করা যাক। অনলাইন জীবনধারণকে কেন্দ্র করে এখন আপনি ধারণা করতে পারেন কখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে যাচ্ছে। আপনার গণনা প্রায় নির্ভূলও হতে পারে।
[Post টি দুবার Delete হয়েছে - ঘটনাটি মিথ্যা। শুধুমাত্র পাঠক ধরাই উদ্দেশ্য।]
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




