আমি লোকটা কখনও খুব বেশি ভাল ছিলাম না। যার জন্যে অন্য খারাপ লোক দেখলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারন মানুষের স্বভাবই হল, সে সবকিছুতে স্বতন্ত্র হতে চায়। জ়গতে আমি ছাড়া কোন খারাপ মানুষ থাকা উচিৎ না- এটাই হল আমার মনোভাব। কিন্তু দুর্ভাগ্য এমনই যে আমার আশেপাশে বরাবরই খারাপ লোকের সমাগম থাকে বেশি। আর আমাদের দেশে পুলিশই যে সব খারাপদের মধ্যে অন্যতম, সেটা হয়ত অনেকেই মানবেন।
যাইহোক,১ম দিনের ঘটনা। আজমেরী বাসে করে যাচ্ছি আদালতপাড়ার দিকে। এই বাস আবার কাউন্টার ছাড়া লোক উঠায় না। তো এক জায়গায় বাস স্লো হতেই তিন পুলিশ মামা হঠাৎ করে বাসে উঠে পড়লেন। পুলিশ উঠেছে অবৈধ ভাবে, কার সাহস আছে যে, তাদেরকে কিছু বলবে। এরই মধ্যে, এক পুলিশের আবার সখ জাগল, তিনি সামনের দৃশ্য অবলোকন করতে করতে ভ্রমন করবেন। বাসে ভিড় থাকায় সামনের দিকে এক লোক দাড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ ভাই তাকে বললেন পিছনের দিকে সরে যেতে। ওই ভদ্রলোক সামনেই নেমে যাবেন। তাই উনার পেছনে যাওয়ার কোন যুক্তিই নাই। এইকথা উনি বলতেই, আরেক পুলিশ ভাই শুরু করলেন তার প্যানপ্যানানি। তিনি বলতে লাগলেন, আমরা পুলিশ হইছি বইলা কেউ মানুষ মনে করেনা, যার যেরকম খুশি ব্যবহার করে, কিছু বলতে গেলে আবার বলব পুলিশ হইছে দেইখা পাওয়ার দেখায় ইত্যাদি ইত্যাদি...অনেক কষ্ট কইরা নিজেরে সামলিয়ে নিলাম। শত হলেও এরা পুলিশ। এদের সাথে হিমুরা ছাড়া কেউ হাঙ্কি-পাঙ্কি করা উচিত না।
আরেকদিনের ঘটনা। ভোর চারটায় ভাইকে নিয়ে এয়ারপোর্টে যাচ্ছি। এয়ারপোর্টে ঢুকতেই রাস্তায় মামারা ধরলেন। ভাইয়া তাদের সব প্রশ্নেরই ঠিক ঠিক জবাব দিলেন। ওনারা পড়লেন বিপদে। টাকা খাওয়ার কোন রাস্তাই তো পাচ্ছেন না। আর কোন রাস্তা না পেয়ে উনারা বললেন ভাই, চা-নাস্তা খাওয়ার জন্যে কিছু টাকা দিয়ে যান। ভাইয়া ২০ টাকা দিয়ে দিলেন। ওমা, একটু সামনেই যেতে না যেতে আরেক পুলিশ ধরলেন গাড়ির কাগজ-পত্র চেক করতে। ভোর চারটায় কে চায় ঝামেলা করতে। ড্রাইভার ১০০ টাকা দিয়ে দিতেই ওনাদের কাগজ-পত্র দেখার খায়েশ মিটে গেল, আর আমরাও বেচে গেলাম ঝামেলা থেকে।
এরকম অনেক ঘটনাই দেখছি প্রতি-নিয়ত। নিশ্চয়ই আপনারা ও দেখছেন কিংবা শিকার হচ্ছেন এরকম হয়রানির। জানিনা কবে আমাদের সাহস হবে প্রতিবাদ করার। কিন্তু জানি একদিন আমরা ঠিকই প্রতিবাদ করব...করবই..........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




