বরাবরই আমি ছিলাম অত্যন্ত সুবোধ ইয়াং ম্যান রক্ত ব্লাড। কিন্তু ইউনিতে ভরতি হওয়ার পর বুঝলাম, সুবোধ বালক এর চেয়ে পাঙ্খা বালকরাই জেনানা মহল ও শিক্ষক মহল সহ সব মহলে দাম পায়। আমার মত ভিজা বিলাই এর হেইখানে কোন বেইল নাইক্কা। যাইহোক, চিন্তা করলাম এইবার পুরা পাঙ্খা হইয়া যামুগা...
ইউনিতে ভর্তি হওয়ার আগে বাইত যখন থাকতাম তখন নিজেগো বাগান (ফুল ও ফলের) পাহারা দিতে দিতে জান বাইর হইয়া যাইত। ইউনিতে ভর্তি হওয়ার পর ভাব্লাম অনেক হইসে...এখন আর ডিফেন্সিভ খেলা যাবেনা। এখন করব আক্রমন...এখন অন্যরা পাহাড়া দিব আমাগরে...
কিন্তু আক্রমন যে করব তার জন্যে তো সেনা-বাহিনী লাগবে। আমি নাদান বান্দা, সেনা-বাহিনী পামু কই। পড়ছি মহা টেনশনে...কি করা যায়??ভাল লোকের যে উপরওয়ালা সহায় সেইটা বুঝলাম যখন আমার সেই টেনশন দূর করল এক হুজুর-ই-তাব্লিগ...যারে আমরা ডাকতাম জ়ে এম বি কইয়া।
সেই বন্ধুরে নিয়া ও আর কিছু পার্ট টাইম মেম্বার নিয়া গঠন করলাম ফনিক (ফল নিরমুল কমিটি)। আমি হইলাম ফনিকের কমান্ডার-ইন-চীফ। জ়ে এম বি হইল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড,বাকিরা হইল মেম্বার।
তো দল গঠন শেষে এইবার অপারেশন করা লাগব। তার আগে জানা লাগবে কোথায় কি আছে। চিফ হিসেবে কিছু কাম না দেখাইলে তো আমার নেতা গিরি ছুইট্টা যাবে। তাই সেকেন্ডরে নিয়া বের হইলাম নিউজ কালেক্ট করতে।
আনুমানিক রাত ২ঃ০০ টা। আমি আর সেকেন্ড মিলে এক বাড়ির উঠানে ঢূকলাম। যেইনা ঢুক্লাম সাথে সাথে এক বেডি চিল্লায় উঠল- "কে রে"...আমারতো কইলজা শুকাইয়া তেনা-তেনা। কিন্তু বুদ্ধি হারাইলাম না। নরমাল্লি কইলাম-"চাচী আমিগো"। চাচি দেহি বেকুবের একশেষ। আমার কথা শুইনা চাচির কেম্নে যানি বুঝ হইল যে, কোন ভাইস্তা রাইত দেড়টায় তার উডাণে ঢুকছে। চাচি চুপ করল। আমিও বাচলাম। ফিরতে গেছি, পিছন ফিরা দেখি আমার সেকেন্ড হাওয়া। ঘটনা কি? আগাইয়া আইসা দেখলাম রাস্তায় দাড়াইয়া হেতে হাফায়। কয় "দোস্ত আমি কেরে ডাক হুইন্নাই দৌর দিছি। আগেতো জান বাচান লাগব, না?"
ওই হালার কথা হুইন্যা আমিতো টাশকি...এত্তারা শইল্ডার মধ্যে কইলজা ছাড়া কেম্নে বাইচ্যা আসে হালায়??
চলবে...
Click This Link
...এই লিঙ্কটিও পড়ুন প্লিজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০১