somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিরো টু ইনফিনিটী (একটি মাসিক বিজ্ঞান সাময়িকী)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিরো টু ইনফিনিটী একটি মাসিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী।
বাংলাদেশের আপামর জনগণের কথা ভেবে এর আত্মপ্রকাশ হলেও এটি মূলত তরূণ মেধা বিকাশের একটি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে আসছে।

জগতের যাবতীয় বিষয়ের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য চাই মস্তিষ্কের বল,যার বিকাশ সাহিত্য ও বিজ্ঞানে। আর চাই মনের বল,যেখানে বাধা পড়ে আছে জগতের অনন্ত নিঃশব্দ। ঠিক যেমনি মানুষ কাগজের কারাগারে শব্দকে বেধেছে নিঃশব্দের মাঝে।
একটা উদাহরণ দিই-একটা আপেল পড়ার ঘটনা নিউটনকে উদ্দীপ্ত করেছিল। মনে মনে চিন্তার সনাতন সুত্রগুলোকে সাজিয়ে বস্তুস্মূহের মধ্যে নতুন এক সম্বন্ধ আবিস্কার করলেন তিনি। নিউটনের এই আবিস্কৃত সম্বন্ধই মহাকর্ষ সুত্র। এ সুত্র আপেলে কিংবা পৃথিবীতে ছিল না। উন্মোচনের, পর্যবেক্ষনের যে শক্তি তিনি অর্জন করেছিলেন সেখানেই তার অঙ্কুর।আসলে এরকম বহু জিজ্ঞাসার অনন্ত সমাধান অনাবিস্কৃতভাবেই থেকে যায় আমাদের দেখা সুবিশাল, অজানা, রহস্যময়, সীমানাহীন এই মহাবিশ্বে। আবৃত থেকে যায় যুগ যুগ ধরে,উন্মোচিত হয়ে স্পর্শ করে না মানুষের মনকে।

একজন নিউটন,একজন আইন্সটাইন কিংবা একজন হকিং মানবের মনীষার পরিচয় দিতে পারে সত্য। কিন্তু দু-একটা কোকিল কি বসন্তের সৌন্দর্য আনতে পারে? আমরা কি সহস্র কোকিলের কলতানমখর একটা বসন্ত উপহার পেতে চাই না?যা জগতের শীতল স্তব্দ বুকে চিরযৌবনা বসন্তের আরও উজ্বল মধুর ভাবাধারে ডুবন্ত অসীম সম্ভাবনাশীল মানব মনকে জেগে তুলে বিশ্ববাসীর অনন্ত জিজ্ঞাসার একটি নির্ভরযোগ্য কিন্তু সত্যনিষ্ঠ বাস্তব সমাধান উপহার দিতে ?

হ্যা,অনুন্মোচিত সুবিশাল এই বিশ্বজগতকে কর্মক্ষেত্র কল্পনা করে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বৃহতের চিন্তা করতে হবে আমাদের। সামান্য গণ্ডীতে আবদ্ধ পুকুরের পানি গ্রামের কল্যাণ করে ঠিকই কিন্তু সামান্য জীবাণুতে তা হয় দূষিত। কেননা এর কোনো গতি নাই, নাই কোনো বিস্তৃতি,চারধারে তার বন্ধন।নদীর ও বন্ধন তার চারধারে,একধারে পাহাড়,একধারে সমুদ্র আর বাকি দু’শারে পাড়। কিন্তু প্রবাহ তার নিত্যসঙ্গী। তার নিত্যতৃষ্ণা সমুদ্রের দিকে,অসীমের দিকে।অসীম সমুদ্রকে পেয়েও সে তার উতসকে ভোলে না। হয় না তার বক্ষচ্যুত।এমন বিশাল,উদার মন থাকা চাই আমাদের। পূর্নের পথে অগ্রযাত্রার এই পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদেরই। হয়তো আমরা মহাকালের গর্ভে বিলিন হয়ে যাবো কিন্তু কালের অশালীন এই সংকীর্ন্তায় ও রয়ে যাবে আমাদের কর্ম। মহাকাল মাঝে তা শোভা পাবে অনন্তকাল।এখানেই মানব মনের নিকট মহাপরাক্রমশালী মৃত্যুর প্রকৃত পরাজয়।

আদিম মানুষের কাছিমের উপর দাঁড়ানো গরুর শিংয়ের খাপে বসানো থালার প্লেট আর টলেমীর পৃথিবীকেন্দ্রীক বিশ্বব্রক্ষাণ্ড পেরিয়ে আজ আমরা পদার্পন করেছি দুনিয়া কাপানো ‘বিগ ব্যাং’ আর ‘স্ট্রিং’ থিওরী এর স্বর্ণালী সহস্রাব্দে। মানব প্রজাতির চিন্তা চেতনা ও জ্ঞানের ক্রমবর্ধমান বিকাশের ধারাবাহিকতায় আজো আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। একবার ভাবুন তো,কেনো এসেছিলেন অত সুন্দর এই ধরায়? কেই বা পাঠিয়েছিল আপনাকে? নাকি স্বনির্ভর মহাজগতের ধারাবাহিকতার একটি ফসলমাত্র আপনার এই হাসি-কান্না,আনন্দ-বেদনার এই জীবন?

ইছে হয় না জানতে? আসুন না,এক্টু চেষ্টা করি নিজেকে জানতে,চিনতে। আপনার এই সামান্য চেষ্টাটাই হয়তো কোকিলের সুর হয়ে আগামী দিনের নতুন সুর্যোদয়ে মানুষের কানে বাজবে।হয়তো আমরা নিউটন কিংবা আইন্সটাইন জন্ম দিতে পারবো না,কিন্তু নিজের অস্তিত্ব,নিজের অবস্থান,নিজের ক্ষুদ্রতাটুকুতো অন্তত জেনে যেতে পারবো।

তবে রচিত হোক না আজ থেকে নতুন একটি অগ্রযাত্রার উপাখ্যান। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই একদিন বদলে দিবে একটি জাতির ভবিষ্যত।


সম্পাদক
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ
ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড এলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং,বুয়েট

সহযোগী সম্পাদক
মইনুল ইসলাম শীতল
ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড এলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং,বুয়েট

সহকারী সম্পাদক
তাহমিনা জাহান নিপা
পুরকৌশল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট

মাসিক বিজ্ঞান সাময়িকী 'জিরো টু ইনফিনিটী'
এর website link জিরো টু ইনফিনিটী
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×