না এটি দুঃখিনী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ অথবা শাহজাহানপুর খিলগাঁও নয়! ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের বন্ধু আফগানিস্তানের প্রাণের প্রাণ বিশ্ব বিখ্যাত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর সহ ব্রিজপোর্ট স্ট্যামফোর্ড বৃষ্টির পানিতে ডুবে গিয়েছে। বিচিত্র কারণে আমার মনে হচ্ছে “যুক্তরাষ্ট্র বনাম প্রকৃতি” লড়াই ভবিষ্যতে আরোও জোড়ালো হবে। (ধারণা করার কারণটি লিখতে চাচ্ছি না, সময়ের উপর অনেক কিছু ছেড়ে দিতে হয়। সময় সবচেয়ে বড় সমাধানকারী) অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রবাসী নিজ দেশের প্রতি অপরাগ কিনা জানা নেই। তাঁরা নিজ দেশের প্রতি কতোটা অনীহা প্রকাশ করেন তাও জানা নেই।
বেঁচে থাকার তাগিদে ডাল ভাতের জন্য নানান দেশে আমাকে যেতে হয়েছে। আমার নিজের সামনে নিজের চোখে দেখা, নিজের কানে শোনা বাংলাদেশ নিয়ে সবচেয়ে বেশী উপহাস করেন আমাদের দেশের - আমাদের নিজ দেশের নাগরিক! বাংলাদেশ সম্পর্কে বিচিত্র কারণে তাঁরা নেতিবাচক খবর ও নেতিবাচক মন্তব্য করতে পছন্দ করেন। হয়তো এইজন্য আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো দায়ী হতে পারে! কারণ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের - নিজ দেশের ভালো সংবাদ লিখতে পারেন না। ভালো সংবাদ লিখতে তাঁদের হাত ব্যথা করে, মাথা ব্যথা করে, চোখে কম দেখেন। ভালো সংবাদ লিখতে ও প্রকাশ করতে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রবল জন্ডিস সমস্যা হয়ে যায়। নিজ দেশের প্রতি এতো অনীহা, নিজ দেশের প্রতি এতো অপারগতা, নিজ দেশের প্রতি এহেন বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ বিশ্বের আর কোনো দেশের সংবাদমাধ্যমে আছে কিনা সত্যি সত্যি আমার জানা নেই!
আর বাংলাদেশ নিয়ে সবচেয়ে বেশী উপহাস করে যেই দেশটি সেটি হচ্ছে আমাদের অতিপ্রিয় দেশ - বন্ধুদেশ, তৈলাক্ত দেশ ও সরিষার তৈলের দেশ - ভারত! বাংলাদেশের কোনো ভালো খবর ভারতের সংবাদমাধ্যমে দেখা যায় না, যদিওবা কখনো থাকে তা ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে খবর পড়তে হয়। তবে বাংলাদেশের যে কেনো দুঃসংবাদ, ভুল সংবাদ, মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ, স্যাবোটাজ, স্ক্যান্ডাল, ক্রাইম, অতিবন্যা, অতিবৃষ্টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রবলাকারে হাইলাইট হয়ে থাকে।
আত্মকথা: আমার দেখা ও আমার জানামতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের কোনো দেশের বন্ধুদেশ না কখনো ছিলো - আর না কখনো হবে। এই দুইটি দেশের পক্ষে খুব সম্ভব কারো বন্ধুদেশ হওয়া কখনোই সম্ভব নয়! যদি কখনো ভুলেও দেখতে পাই এই দুইটি দেশ কোনো রাষ্ট্রের উপকার করেছে - তাহলে ধরে নিতে হবে পাঁচ টাকা পচাত্তর পয়সার উপকার করে ভবিষ্যতে কোটি টাকার বিনিময় নিবে। বিনিময়ের শতকরা হার হিসাব বিবেচ্য!
ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭