ওয়ার্নিং: পোস্টে কোন ওয়ার্নিং নাই।
বর্তমান বিশ্বে কত অদ্ভুত জিনিস ঘটে চলেছে। কত না কত তথ্য আমাদের আশেপাশে বিদ্যমান। কিন্তু এর কতটাই বা আমরা জানি? সেই সব তথ্য (এবং একটা খসড়া) নিয়ে আজকের পোস্ট। আসেন দেখি-
আপনি কি জানেন?
-যে সম্প্রতি বুড়িগঙ্গার নদীতে ডাইহাইড্রোজেন মনোক্সাইড পাওয়া গেছে?
-যে এক চামচ চিনি একটা সম্পূর্ণ পিঁপড়ের কলোনির চাহিদা মেটাতে পারে?
-যে নতুন এক্সজেড এন্ড্রয়েড সিরিজের মোবাইলদের জন্য একটা জাতীয় সঙ্গীত - 'হেই হেই হেই হেই হো হো, উই গটটা চেইঞ্জ দ্য সান (আমেরিকান একসেন্টে)' দেওয়া হয়েছে?
-যে 'জেনিস লকেলানি কাইইহাহনাহইকুকাউআহকাহহিহো' কোন মানুষের জন্য সবচে অপমানজনক নাম বলে স্বীকৃতি পেয়েছে?
-যে রোলফ হ্যারিস নামক এক ব্যক্তির পা তিনটি? (না না বড়ভাইগণ, আপ্নেগো ওইটা পা না, পা না!) লিঙ্কু Click This Link
-যে একটানা চুমু দিতে থাকলে একটা না একটা সময় দুজন মানুষের (মুখ নীল হয়ে যায়, তারপর তারা জম্বি হয়ে যায় দূরো কি কইতাসি) ঠোঁট ব্যথা হয়ে যায়?
ধুর, যেযে করতে ভাল্লাগতাসে না। একটা গল্প শুনেন, ক-থপথপ-কথনের ওপর কেন্দ্র কৈরা। নো সানি আপা, আমি ভাল পুলা। আপার নাম দিসিলাম লুল কেরা কেরা পুষ্টে আসেন সেইটা দেখতে। হেহে, চিন্যা ফেলসি পরে নাম ফাঁস কৈরা দিমুনে। যাই হোক, দেইখেন ভাল লাগব গল্প, বাই গড কইতাসি।
বিলুপ্তি
নম্বর এক: 'বল, নতুন কিছু পেয়েছ?'
নম্বর দুই: -যহ[বাইহজইমাগুভন্সপ;ম্ল;সচস,কভ্লবাওস৯,এভাওচপ০এ--
নম্বর এক: 'আহা, ট্রান্সলেটরটা অন করে নাও না, যে সৌরজগতে এসেছো, তার সংস্কৃতি অনুসারে কথা বলা রেগুলেশন, জানো না?'
নম্বর দুই: -ওহ, সরি, মনে ছিল না। সরি স্যার।
নম্বর এক: 'হু হু, বল, তারপর।'
নম্বর দুই: -স্যার, আমরা তৃতীয় গ্রহটিতে প্রাণের চিহ্ন পেয়েছি। মডারেট ইন্টেলিজেন্স, কিন্তু......
নম্বর এক: 'ধুরো, ডট-ডট-ডট-ডট-ডট বলে চেল্লাও কেন?'
নম্বর দুই: -এই জগতে স্যার দ্বিধা প্রকাশ করার সময় ডট-ডট-ডট-ডট-ডট বলে চিল্লাতে হয়। রুলস, স্যার। রুলস। রেগুলেশন থার্টিন বিপ।
নম্বর এক: 'শালার পো ঘুরা ডিঙ্গায়া ঘাস খাইতে যাইস না, বধজম হইব! কি পাইছস তাত্তারি ক। খিদা লাগছে।'
নম্বর দুই: -[দীর্ঘশ্বাস] স্যার ওই গ্রহে আমরা বুদ্ধিমান প্রাণী পেয়েছি, কিন্তু তারা মাংসের তৈরি!!
নম্বর এক: '[হকচকিয়ে গিয়ে] কস কি মমিন? মাংসের তৈরি? মানে প্রোটিন?'
নম্বর দুই: -জি স্যার। তাদের পুরো প্রাণিজগতই মাংসের তৈরি।
নম্বর এক: 'ওরা ডট-ডট-ডট ওরা ভাব বিনিময় করতে পারে?'
নম্বর দুই: -জি স্যার।
নম্বর এক: 'কিভাবে? রেডিও তরঙ্গ? কোয়ান্টাম রে? কোয়ান্টাম সোলেস? এ গুড ডে টু ডাই হার্ড?
নম্বর দুই: -না স্যার। ওদের বডিতে ভাঁজ ভাঁজ গহ্বর আছে। গহ্বরের দুই প্রান্তের মাংস একে অপরের সাথে বাড়ি দিয়ে দিয়ে তরঙ্গ সৃষ্টি করে। তরঙ্গের মাত্রা ভ্যারি করে কথা বলে। অতি নিম্নমানের প্রযুক্তি স্যার, কিন্তু একেবারে বিল্ট-ইন। নো হাঙ্কি পাঙ্কি, এদের যদি স্যার বত্রিশ নাম্বার ব্ল্যাকহোলেও ছাইড়া দেওয়া যায়, দেখা যাব সারাদিন মাংস বাইড়া-বাইড়ি করতাসে। স্পিকিং অফ মাংস বাইড়া-বাইড়ি, [আস্তে আস্তে দুষ্ট হাসি হেসে] জানেন স্যার ওরা কেমন করে বংশবৃদ্ধি করে?
নম্বর এক: 'না। [হঠাৎ সচেতন হয়ে] ওই মিয়া, দুষ্ট হাসি হাস ক্যান? মতলব কি? '
নম্বর দুই: -না স্যার, এম্নেই।
নম্বর এক: 'সাবধান, ৩৬-গ নেবুলার মত করবা না। মনে আছে আমাগো তিন নাম্বার ওই গ্রহের অধিবাসিদের সাথে বইং বইং খেলতে গেছিল, তারপর কি হইছিল?'
নম্বর দুই: -[শিউরে উঠে] জি স্যার। আমি তো এখনো এইটা চিন্তা করে রাত্রে দুঃস্বপ্ন দেখি!
নম্বর এক: 'হ্যাঁ, মনে রাখবা।'
নম্বর দুই: -স্যার কি করব এখন?
নম্বর এক: 'নিয়ম তো হইল ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইয়া রাখা। যদি কোনোদিন আমাদের বুদ্ধিমত্তা অনুধাবন করতে পারে, তাইলে এন্সার দিবে। বুদ্ধিমানদের কম্যুনিটি জয়েন করবে। কিন্তু...ইন্টেলিজেন্স কিরকম বললা?'
নম্বর দুই: -মডারেট, স্যার। এক্কেবারে [সামুর] মডারেটরদের মত।
নম্বর এক: 'ওয়াক থুঃ! একেতে মাংসের তৈরি, দুয়েতে এইরকম বুদ্ধি - দরকার নাই এই প্রজাতির। মাইরা দেও। ফ্রেন্ডলিস্ট এম্নেই আবালে ভইরা গেছে, নতুন আবাল আমদানি করার কি দরকার?'
নম্বর দুই: -জি স্যার। সঠিক বলেছেন। ইনিশিয়েটিং বিলুপ্তি
...তিন!!!
...দুই!!
...পৌনে দুই!
...দেড়!
...এক!
ইটস ডান।
আর এভাবেই মানব জাতির বিলুপ্তি ঘটিল।