আয় কবিতা ভালবাসি তোরে আজ
উদলা চাঁদের দস্যু আলোয় নগ্ন রাতে
হাত রেখে তোর দুই পাহাড়ের গিরিখাদে
ছেনে দেখি স্বপ্নছোঁয়া কোমলতার নরমটুকু
বৃন্ত ছেঁড়া পদ্ম ফুলে কাল নাগিনীর মরণ ছোবল।
আয় দেখি তোর ঢালু উঠোন,
হড়কে যাওয়া শরীর-কাঁপন
নাভিমূলের বাতুলতা পরশ পাথর।
ওইখানে ওই সোনার ত্রিভুজ ফাঁদ পেতে রয়
পোতাশ্রয়ের গুপ্তধনে। ক্রিট নগরীর দুর্গ দুয়ার
তার আড়ালেই কন্যা তোমার উথাল-পাথাল স্বপ্ন-কেলী।
সাতমণী ঢেউ আছড়ে পড়ে তুফান সাগর,
আমার সারেং সন্তরণে পরিশ্রমী মাঝ দরিয়ায়,
পাগলা ঘোড়া পাগলা সুরা সপ্তপদীর প্রলয় নাচন
রাতের পালায়। আদিম চাষের লাঙল টানি চতুর্দিকে
ভেঙে-চুরে উঁচু-নিচু জমির আদল। সুখ-পাহাড়ের শীর্ষ-চূড়ায়
নিষ্ঠুরতার কাব্যগাঁথা। পুন্ড্র জয়ে সুখ-বিলাসী রাগমোচনের মাতাল
হাওয়া। ঝড়ের পরে শান্ত বাতাস ক্লান্ত নদীর একূল-ওকূল গভীরতা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৪