[বিশুদ্ধ কবিতার পাঠক বরাবরই সীমিত। দীর্ঘ বিরতির পর কবিতার সত্ত্বাকে অস্বীকারে ব্যর্থ হলাম -- কবিতার কাছে এ আমার মধুর পরাজয়। বিশুদ্ধ কবিতার প্রাপ্তমনস্ক শ্রদ্ধেয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত।]
নিস্তব্ধ সংগীত --
সম্পূর্ণ শূন্যতায় শব্দহীন কোলাহলে। কথা কয়;
কয় কথা জীবনের বিস্রস্ত সংলাপ। বিমুগ্ধ নগরে
বেঁচে থেকে সময়ের এইসব বোধ বিপন্ন বিষাদ ; ক্ষয়ে যায়।
বোহেমিয়ান ক্ষুধার্ত ডানায় আকাশের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-বেধ, --
সময়ের দীর্ঘনিঃশ্বাস দীর্ঘশ্বাসে মেপে, রাত হয়
এই অবসরে। জীবনের সকল উৎসব পন্ড হয়,-- সব ব্যাকুলতা;
মৃত জলজের নিবিড় ঘ্রাণ বুকে নিয়ে
ধূসর নদী মায়াবী আকাঙ্ক্ষায় বলে যায় বারেবারে,
এইখানে সব ছিল,
দুপুরের রোদে নির্ভার স্নানের ঋণ,
গূঢ় রসে পুরুষ্ঠ ফসলের দেহ
নারীর যোনীর মত উর্বরা আদিম আবাদ -- ঘরে মাঠে কৃষাণের
বিশ্রম্ভ-নির্যাস।
মাছরাঙা-ডাহুকের অবিরল সন্ত্রাসে নির্ঝর জলের শোক,
শুক্লা দ্বাদশীর ব্যস্ত পূর্ণিমায় যুবাদের অদম্য উল্লাস।
কুমারীর অকারণ অভিমান জানা নাই কারো !
বেদনায় কেঁপে কেঁপে যায় রাত, গোপন ষোড়শী শরীর।
হাতে রাখে হাত বর্ণিল হতাশা তার, প্রাচীন গন্ধময়
প্রেতিনীর মত। গিলে খায় সুবর্ণ সাধ,
রাত্রির উঠোনের সব আয়োজন। তবু --
লেখা হয় প্যাপিরাসে
ভীষণ হীরন্ময় কিছু পঙক্তিমালা
আজন্ম স্বপ্নভুক
কাঞ্চনজঙ্ঘা ছুঁয়ে !
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪২