লেখালেখিতে নতুন পুরোনো যা’ই হোন না কেন অনেকেই মুখোমুখি হচ্ছেন বিরূপ অভিজ্ঞতার। বই প্রকাশে লেখকদেরকে স্বস্তি দেবার জন্য বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ডের জন্ম। বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড নতুনদের বই প্রকাশে নিচ্ছে নানাবিধ উদ্যোগ। প্রকাশকের দুয়ারে হানা দিতে দিতে ক্লান্ত লেখকগণ বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ডের সদস্য হোন।সদস্যদের জন্য রয়েছে বই প্রকাশে বিশেষ সুবিধা। লেখক সদস্য হবার জন্য মুদ্রিত আকারে প্রকাশনা থাকতে হবে। কোন পত্রিকা/ লিটল ম্যাগ অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ম্যাগাজিনে লেখা ছাপা হলেই লেখক সদস্য হবার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। ইতিপূর্বে যাদের লেখা রাইটার্স গিল্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তারাও সদস্য হবার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সদস্য হতে এখন কোনো ফি লাগে না। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত কোনো সদস্য ফি ছাড়াই সদস্য হওয়া যাবে শুধুমাত্র সদস্য ফরম পূরণ করে।
সদস্যরা পাবেন ১. বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড থেকে বই প্রকাশে বিশেষ সুবিধা।
২. প্রকাশিত বইয়ে সর্বাধিক কমিশন পাবেন।
৩. রাইটার্স গিল্ডের আয়োজিত ট্রেনিং কোর্সগুলিতে অংশগ্রহণে বিশেষ ছাড় পাবেন।
৪. এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধাতো আছেই।
রাইটার্স গিল্ড চারটি ক্যাটাগরিতে সদস্যপদ দিচ্ছে।
১. লেখক, ২. প্রকাশক, ৩. পাঠক ও ৪. প্রতিনিধি।
১, জানুয়ারি ২০১৫ থেকে বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড সদস্য পদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ও চাঁদা প্রযোজ্য হবে। লেখক সদস্য হবার জন্য ন্যূনতম ১০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি ও মাসিক ১০ টাকা চাঁদা প্রযোজ্য হবে।পাঠক সদস্যরা এক কপি বই কিনে এবং ফরম পূরণ করে সদস্য হতে পারবেন। প্রকাশক সদস্য হতে চাইলে রাইটার্স গিল্ডের বইয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। প্রকাশক সদস্য বইয়ের লাভ-ক্ষতির ভাগিদার হবেন। প্রতিনিধি সদস্যরা হবেন বইয়ের এজেন্ট।ন্যূনতম যে কোনো প্রকার বইয়ের ৫ কপি বই কিনলে প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং বিশেষ ছাড়ে বই কিনে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
বাংলাভাষাভাষী সকল সাহিত্য প্রেমীদের এক মঞ্চে আনাই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
লেখকদের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করা।
লেখকদের ন্যয্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করা।
সর্বস্তরে বাংলাভাষার বিশুদ্ধ প্রয়োগ ও ব্যবহার (লেখ্য ও কথ্য) নিশ্চিত করার লক্ষে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো।
আদি বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন সংরক্ষণ। যাতে করে নতুন প্রজন্ম বাংলা সাহিত্যের চর্চা সঠিকভাবে করতে পারে।
নতুন লেখকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। যাতে করে তারা মৌলিক সাহিত্য চর্চায় সব্যসাচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
নবীন লেখকদের বই প্রকাশের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা। পাশাপশি দেশের প্রথিতযশা লেখকদের লেখা প্রকাশ করা।
নিয়মিত সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করা যাতে করে নবীনরা লেখালেখিতে উৎসাহিত হয়।
দুঃস্থ, অসুস্থ লেখকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যথার্থ সম্মাননা প্রদান।
এই সংগঠনের একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম প্রকাশনা। এই সংগঠন দেশের নবীন, প্রবীণ লেখকদের মৌলিক, সৃষ্টিশীল সাহিত্য গ্রন্থ প্রকাশ ও বিপণনের ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে কপিরাইট আইন/প্রকাশনা সংক্রান্ত যাবতীয় আইন অনুসরণ করা হবে।
গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটি থাকবে। উপস্থাপিত সকল পাণ্ডুলিপি যাচাই বাছাই করার পর পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটির সুপারিশ ক্রমে পাণ্ডুলিপি প্রকাশের জন্য বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।.
বই প্রকাশের কাজ করবে প্রকাশনা কমিটি। বইয়ের বাজেট নির্ধারণসহ বাজার জরিপ করবে প্রকাশনা কমিটি।
পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটি ও প্রকাশনা কমিটি যুগপৎভাবে লেখকের রয়্যালটির পরিমাণ এবং বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করবেন।
দেশকে উন্নত করতে হলে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নেই। লেখকদের দেশাত্ববোধক লেখনী পাঠকদের মনে জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি করে। একটি দেশ প্রেমিক জাতি গঠনের জন্য চাই দেশপ্রেমিক সৃজনশীল লেখক সমাজ। বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
আমরা লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য পূরণের দিকে এগিয়ে চলেছি। আমরা এ পর্যন্ত ত্রিশটি বই প্রকাশ করেছি। লিটল ম্যাগ প্রকাশের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড শিঘ্রী চালু হতে যাচ্ছে।আগামী ডিসেম্বরে আমরা বই প্রকাশনার তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। আপনার সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়ে আমাদের উদযাপনে অংশগ্রহণ করুন।
পারভেজ রানা
প্রকাশক ও সংগঠক
বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড
৫ম তলা, ১৫২ সেনপাড়া পর্বতা (রোকেয়া সরণি)
মিরপুর-১০
ফোন নং: +৮৮০১৯১৩৩৩৬১২৭, +৮৮০১৭৯১৯৯৯১১১
আমাদের সম্পর্কে আরো জানতে
www.facebook.com/bangladeshwg
খুব শিঘ্রী আমাদের ওয়েব সাইট চালু হতে যাচ্ছে। চোখ রাখুন
www.bdwritersguild.com, http://www.bdwritersguild.org