somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ) পর্ব ২

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিবর্তন নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক ভুল ধারনা থাকে। অনেক সময় আমরা এর সম্পর্কে না জেনেই একটা উপসংহারে চলে যাই। বিবর্তন ১০১ এ ব্লগে বিবর্তন সম্পর্কে বেসিক ভুল ধারনা ও কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে একটু জটিল প্রশ্নউত্তর থাকায় প্রথম পর্বটি আগে পড়ে নিলে ভাল হয়।
বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ পর্ব ১ )

ব্লগটিকে আমার মুল ইচ্ছা ছিল ব্লগার ভাইয়ের সহযোগিতায় আরও কিছু কনফিউসনগুলো সামনে নিয়ে আসা ও সেগুলো ব্লগে আলচনা করা। সৌভাগ্যবশত ব্লগের কমেন্টে অনেকগুলো প্রশ্ন আমি পেয়েছি। সবার সময় হয়ে উঠে না কমেন্ট পড়ার। তাই সেই উত্তরগুলো নিয়ে সুগঠিতভাবে দ্বিতীয় পর্বটি পাবলিশ করলাম। তাছাড়া আরও কিছু জিনিস যা মানুষের মধ্যে ভুল ধারনা কাজ করে সেটাও ব্লগে লেখার চেষ্টা করবো। এরপরও আমি আশা রাখি প্রশ্ন থাকবে, মানুষ প্রশ্ন করবে। কারন প্রশ্ন করে, যাচাই করে সঠিক ও পরীক্ষিত জিনিসই সত্য হিসেবে মানাই আসলে জ্ঞানি মানুষের বৈশিষ্ট্য।


২১। পৃথিবীর প্রথম প্রাণ যদি জলে হয়ে থাকে। তবে জলের প্রাণীর তো ফুলকা থাকে তাদের তো আর ফুসফুস নেই। কীভাবে জলের প্রাণী স্থলে এসেছিল?




ফসিল প্রমান যে জলের প্রাণীর স্থলে আসার প্রথম প্রমান পায় না আদি যুগের লাংফিশ (protopterus annectens) এর মত এক ধরণের প্রাণী। এদের ফুলকাও ছিল, আবার ফুসফুসও ছিল। পানিতে তারা ফুসফুসকে মুলত ব্যবহার করত বাতাস ব্যবহার করে পানিতে কম্পন তৈরি করতে। তাদের আকৃতিও ছিল চারপায়ী প্রাণীদের খুব কাছাকাছি। (উল্লেখ্য যে, এই প্রান সকল Tetrapads এর কমন এনচেস্টর)। তাদের ফসিল এনাটমি থেকে বুঝা যায় তাদের ফুসফুস খুব ছোট ছিল। মানে তারা খুব বেশি সময় স্থলে থাকতে পারতো না। পরে কোটি কোটি লেগেছে লাংফিশ এর জল থেকে সম্পূর্ণ স্থলে বাসকরা যোগ্য প্রজাতিতে বিবর্তিত হতে।

২২। আমরা কিন্তু কোনভাবেই প্রক্রিয়াটিকে অবজারভ করতে পারছি না। বিজ্ঞান তো অবজারভেশন ছাড়া কোন কথা গ্রহণ করে না। তাহলে কীভাবে বিবর্তনকে সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট বলতে পারি?


বিবর্তন প্রকৃতি ও ল্যাব উভয়ে অবজারভ করা হয়েছে। বিবর্তন খুবই ধীরগতির প্রক্রিয়া। মানুষের এপ প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর সময় লেগেছে। বেশ কিছু ক্ষুদ্র প্রানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানিরা অরজারভ করে বিবর্তনের চাক্ষুস প্রমান পেয়েছে । এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বিবর্তন প্রকৃতিতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেখানেও বিবর্তনের প্রমান মিলেছে। তাছাড়া প্রায় ১২টি ভিন্ন প্রক্রিয়া যেটা দিয়ে বিবর্তন সঠিক কিনা যাচাই করা হয়, সেই পরীক্ষণগুলোর সত্যতা ও নির্ভুলতা পরীক্ষা করা হয়েছে অরজারভেসন দিয়েই। আর সেই পদ্ধতি দিয়েই বিবর্তনকে যাচাই করা হয়। এই সবগুলো প্রিমিসেসই সাপোর্ট করে বিবর্তন ফ্যাক্ট।

২৩। এমন কোন এভিডেন্স আছে যেখানে বোঝা যায় একটা কাইন্ড অন্য কাইন্ডে পরিণত হয়েছে (উইথ অবজারভেশন)?

হ্যাঁ। অবশই। Artificial Section এর মাধ্যমে যেই প্রাণীগুলো বিবর্তিত হয়েছে তাদের নিয়ে বাইয়লজিস্টরা সেম্পিলিং পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমান পেয়েছে এক কাইন্ড থেকে অন্য কাইন্ডে বিবর্তিত হওয়ার। বিভিন্ন প্রজাতির গবাদি পশু, শস্য। এই সব অধিকাংশই বিগত মাত্র কয়েক শতাব্দী আগেও ছিল না।

২৪। যদি কোন অবজারভেশন না থাকে তবে বিজ্ঞান একে 'বিশ্বাস' বলে। বিবর্তনের কোন অবজারভেশন যদি না থাকে তবে এটাকে কি এক ধরনের 'বিশ্বাস' বলা যাবে?

বিজ্ঞান বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে না। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণও যাচাই নিয়ে কাজ করে। প্রশ্নকর্তার দেয়া সংজ্ঞার মতে "অবজারভেশন না থাকলে সেটা 'বিশ্বাস' " যদি হয় তাহলে বিবর্তনকে বিশ্বাস বলা যাবে না। কারন বিবর্তনের একাধিক শাখায় অনেক প্রজাতির প্রানের বিবর্তন পরীক্ষার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ বা অবজারভেশন করা হয়েছে।

আর অক্সফোর্ড ডিকশনারির মতে "বিশ্বাস" এর কোন কিছু সঠিক মনে করা প্রমানসহ অথবা ছাড়া। সেই হিসেবে দেখলে বিবর্তন বিশ্বাস। কেননা প্রায় ১২টি ভিন্ন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরীক্ষা বিবর্তন সমর্থন করা। সেই প্রমানের ভিক্তিতে একে সত্য মনে করা "বিশ্বাস" প্রমানসহ।

২৫। লুই পাস্তু প্রমান করেন জড় থেকে প্রানের স্বতঃস্ফূর্ত সূচনা সম্ভব নয়। তাহলে প্রথম প্রান কিভাবে আসলো ?


লুই পাস্তু তার ল্যাব এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যেটা বের করেছেন সেটা একদিনে যেমন বিবর্তনকে সমর্থন করে অন্যদিকে প্রথম প্রানের ব্যাপারটা সমর্থন করে না। সেই সময় মানুষ মনে করতো প্রায় ৬০০০ বছর আগে অলৌকিকভাবে সব প্রান ও প্রজাতি শুরু হয়েছিল যাকে বলা হত "Spontaneous Generation" , তার এই পরীক্ষা সেই বিশ্বাসকে ভুল প্রমান করে, যেটা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে। অন্যদিকে প্রথমপ্রানের স্বতঃস্ফূর্ত অস্তিত্বময় হওয়া তার প্রমানের বিরোধী। উনি Swan-Neck Flask এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার উপর নির্ভর করে এই উপসংহারে আসেন।tiতটিতিনিবেক্তেরিয়ার্যাকটেরিয়ারউপ্রপ্র তিনি যে বছর মারা যান মাত্র ৩ বছর আগে ভাইরাস যেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রভুত জীবের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় যেটা তিনি পরীক্ষা করার সুযোগ পাননি।

পৃথিবীর প্রথম প্রান ৩.৪ বিলিয়ন বছরের মধ্যে সবচেয়ে সরলতম প্রান ছিল। ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সকে যেমন কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর সাথে তুলনা করলে চলবে না, ঠিক তেমনই প্রথম প্রানও নিপাতনে সিদ্ধ নিয়ম থেকেই এসেছে।





বিজ্ঞানীদের ধারনা Abiogenesis এর মাধ্যমে সেটা হয়েছে। ইত মধ্যে ক্রেগ ভ্যানটার ল্যাবে Abiogenesis এর সত্যতার প্রমান পেয়েছেন। উল্লেখ্য যে, এটা এখনো হাইপোথেসিস। আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে আমরা সমৃদ্ধ একটি থিউরি পাব।

২৬। প্রায় ৫ শতাধিক বিজ্ঞানী ইভোলিউশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । এরপর আমরা কিভাবে বিবর্তনকে ফ্যাক্ট বলতে পারি ?

Answers in Genesis নামের একটি অলাভজনক খ্রিস্টান রিসার্চ ফাউন্ডেশন একটি স্বাক্ষরনামা প্রকাশ করেন যেখানে প্রায় ৫০০ জনের মত বিজ্ঞানি বিবর্তনে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই ইসুকে দেখিয়ে অনেকেই বলেন "বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিবর্তন নিয়ে মতবিরোধিতা আছে। যেখানে আমরা কিভাবে এটাকে ফ্যাক্ট বলতে পারি।
প্রথমত এটা আমরা সবাই বুঝি, বিজ্ঞান কোন গনতন্ত্র নয়। এখানে পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও পরীক্ষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলই নির্ধারণ করে কোন কিছু ফ্যাক্ট নাকি হাইপোথেসিস বাকি ভুল। যারা যারা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করেন না তারা এর কাউন্টার কোন প্রমাননির্ভর থিউরি প্রদর্শন করেননি। সেটা সবই ছিল তাদের বিশ্বাসের ব্যাপার। আর ব্যাক্তিগত বিশ্বাস বিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে না।
এরপরও আমাদের উচিত যেকোন ব্যাপারে সন্দেহ রাখা, এমনকি বিবর্তনের ব্যাপারেও। কারন এটাই সঠিককে টিকিয়ে রাখে আর ভুলকে ত্যাগ করতে শিখায়।

একটা মজার ব্যাপার শেয়ার করি, Answers in Genesis এর সেই ৫০০ জনের লিস্টের পর সাইন্টেফিক এমেরিকা বিবর্তনকে সমর্থন করে এমন বিজ্ঞানিদের লিস্ট বের করে। কিন্তু দেখাছে সমগ্র সাইন্স কমিউনিটি না করে বরং শুধু "স্টিভ" নামের বিজ্ঞানিদের স্বাক্ষর নেই। যেটা কিনা মার্কিন বিজ্ঞানীদের মাত্র ১% এর কাছাকাছি। শুধু "স্টিভ" নামেরই ২০০ জনের উপর বিবর্তন সাপোর্ট করেন।

২৭। রক্তখেকো প্রানীগুলোর আকৃতি মানুষের তুলনায় ছোট ছোট ( মশা, জোক প্রভৃতি )। প্রকৃতিতে এগুলোর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করতে এরা কেন ঈগলের মত বড় আকৃতিতে বিবর্তিত হলো না ?

বিবর্তন কোন উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য হয়না। বরং সেই জেনেটিক ইনফোই টিকে থাকে যেটা পরিবেশে বেশি খাপ খেতে পারে। মশা না জোঁক বা অন্যপ্রাণী যেটা আমরা ভাবছি অন্যরকম হলে হয়তো তারা পরিবেশে আরও ভাল খাপ খেতো আসলে সেই মিউটেশন তারা পায়নি বা সেটা ন্যাচারাল সিলেকশনে টিকেনি। নিচের ভিডিওটি দেখলে আশা করি ভুল ধারনাটি চলে যাবে।



কোন প্রাণীর অস্তিত্ব সুদৃঢ় করার জন্য তার আকারই সহায় নয়। tardigrade এর কথা চিন্তা করি। এরা পানির ফোটা থেকেও ছোট অথচ অথচ পৃথিবীর মহাবিপর্যয়গুলোতে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়নি।


বায়োলজিস্টদেড় কাছে এই প্রাণী এতই বিখ্যাত যে কমিক্সেও এরা জায়গা করে নিয়েছে :)



২৮। বানর থেকে যদি মানুষের উৎপত্তি হয়ে থাকে , তাহলে আমরা গহীন অরন্যের আর কোন বানরকে বিবর্তিত হয়ে লেজ খসে মানুষে রূপান্তরিত হতে দেখিনা কেন ?




প্রথমত আমরা বানর থেকে আসিনি। বানর ও মানুষ উভয়ই কমন পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আর দ্বিতীয় হোমিনিডদের মধ্যে রাতারাতি লেজের বিলুপ্তি হয়নি। সেটা ঘটেছে প্রায় ৮-১০ মিলিয়ন বছরের ক্রমশ ধারায় যেখানে মানুষের প্রথম সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে। উল্লেখ্য যে, আমাদের এনাটমিতে টেইলবোন প্রমান করে যে আমাদের পূর্বপুরুষের লেজ ছিল।

২৯। বিবর্তনের ফসিল প্রমানের মাঝে অনেক মিসিং লিঙ্ক আছে। এমন কি হতে পারে যা ফসিল পাওয়া গিয়েছে সব অন্য প্রজাতির বানরের। মানুষের না ?

মিসিং লিঙ্ক বলতে আসলে কি বুঝানো হচ্ছে সেটা আসলে আগে জানা দরকার। ফসিল প্রমান সেটারই পাওয়া যায় যেটা প্রকৃতিতে একেবারে মিশে যায়নি। ধরুন, আজ থেকে এক লক্ষ বছর পর মানুষ আপনার ফসিল প্রমান পেল, আর আপনার দাদার ফসিল প্রমান পেল। দুইজনের সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা গেল আপনি ও আপনার দাদা সম্পৃক্ত। এখন আপনার বাবার ফসিল হয়নি, তার সবকিছু মাটির সাথে মিশে গিয়েছে। অবশই এখানে মিসিং লিঙ্ক আছে। তার মানে নেই না যে সম্পৃক্ততা ভুল প্রমানিত হয়েছে।
একটা সময় ছিল আজ থেকে প্রায় দেড় শত বছর আগে যখন প্রাণীর আকার, খাদ্যঅভ্যাস, প্রজনন আর ফসিল প্রমান দেখে ধারনা করা হত কোন প্রাণীর সাথে কোনটি সম্পৃক্ত। ডিএনএ কম্পারিজন পরীক্ষা আসার পর এখন আমরা শক্তভাবে লক্ষ কোটি বছরে বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রাণীর সাথেও আমাদের সম্পৃক্তটা জানতে পেরেছি।


৩০। মানুষের মধ্যে যে বুদ্ধিমত্তা আছে সেটা অন্যপ্রাণীদের মধ্যে নেই। এটা কি প্রমান করে না যে আমরা বিবর্তন থেকে আসিনি?




না। বরং বিবর্তনই আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে বিকশিত করতে সাহায্য করেছে। হমিনিডদের মাথার খুলি তুলনামুলক বড় ছিল। লক্ষ লক্ষ বচহ্রের বিবর্তনের পর আমাদের মগজ আমাদের শরীরের অনুপাতে অনেক বড় আকার পায়। সেটা হমিনিডদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিকাশ লাভ করে। সেই হমিনিডই টিকে থাকতে পেরেছিল তার সুক্ষবুদ্ধিমত্তা ছিল। ফলে সেই জেনেটিক ইনফো চলেই এসেছে। আমাদের আগের প্রজাতির মধ্যেও আমরা বুদ্ধিমত্তার ছোঁয়া পাই। homo habilis কে আমরা হেন্ডিম্যান বলি। কারন সেই সময় তারা ধারালো হাতিয়ার ব্যবহার করা বুঝেছিল। ধীরে ধীরে আমরা আগুন আবিষ্কার করি।
একবদ্ধ থাকা ও কমপ্লেক্স আবেগ অন্যদের বুঝানোর জন্য আমাদের বিচিত্র শব্দ তৈরি করা দরকার ছিল। যে সঠিকভাবে কমিউনিকেট করতে পারতো সে একসাথে টিকতে পারতো, দলে শিকার করতে পারতো, বাচার সম্ভাবনা বেশি ছিল। এইভাবে উন্নত ভোকাল কর্ড ওয়ালারা জেনেটিক ইনফো পাস করার সুযোগ পায় ও আমরা ধীরে ধীরে উন্নত বাকক্ষমতা পাই।

ফসিলগুলোতে আমরা ভোকাল কর্ড ও অন্যান্য অঙ্গগুলোর অবস্থার প্রমান পাই। তাছাড়া homo habilis এর ব্যবহৃত হাতিয়ারও আমরা আফ্রিকার অনেক গোহার মধ্যে সন্ধান পেয়েছি। এই সবই বিবর্তনের মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তা প্রাপ্তিকেই প্রমান করে।

আর কোন প্রানির মধ্যে কি বুদ্ধিমত্তা আছে ? তাদের মধ্যে কি ভাষা আছে? কেননা আমরা তাদের বোবাজাত বলে থাকি।


মানুষ ছাড়া আরও বেশ কিছু প্রানির মধ্যে বুদ্ধিমত্তার প্রমান পাওয়া যায়। যেহেতু তারা মানুষের থেকে শারীরিকগুনে ভিন্ন তার মানে তাদেরকে মানুষের সাথে তুলনা করা (মানুষকে মানদণ্ড চিন্তা করে) সেটার ব্যাপারে দিমত আছে। ডলফিন, শিম্পাঞ্জি, কাক, শিয়াল, পিপড়া এরা সবাই নিজেদের গুনে বুদ্ধিমান।



ভাষা স্বজাতিদের সাথে মনের ভাব প্রকাশের একটা মাধ্যম আর এই গুনও প্রাণীদের মধ্যে আছে। তাদেরকে বোবাজাত বলা ভুল হবে।

বিঃদ্রঃ ভিডিও গুলো এখানে দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র আমার ব্লগকে সাজানোর জন্য না। বরং সঠিকভাবে উপস্থাপিত ও রেফারেন্স অনুসৃত তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরার জন্য। আপনারা চাইলে ভিডিওগুলোর ইউটিউব লিঙ্ক এ গিয়ে সেগুলোর description অংশ থেকে সম্পৃক্ত রেফারেন্সগুলো পেয়ে যাবেন। আর অবশই বিবর্তন নিয়ে আপনার প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে করবেন। সবার সহযোগিতায় আমরা সঠিক জ্ঞানকে আলিঙ্গন করব সেই আশাই রইল। ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×