somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরেকটু ভাবুন !!!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্বের পোস্টের সমর্থক এটি। এটি সহজভাবে লেখা।

নাস্তিকরা বিশ্বাস করে যে এই মহাবিশ্ব হঠাৎই সৃষ্টি হয়েছে কারন ছাড়াই। কেউ সৃষ্টি করেনি বরং এটা এভাবেই ছিলো। আর এটা ধ্বংসও হবেনা। বরং একরূপ থেকে আরেক রূপে রুপান্তরিত হবে। তাদের সকল বিষয় এই চিন্তার আলোকে বিশ্লেষন করতে চায়।

আরেকটা বিশ্বাস হল মহাবিশ্বসহ সকল কিছু এতটাই পরিকল্পিত ও ভারসাম্যপূর্ণ,বিজ্ঞানময় যে এটি কারো দ্বারা সৃষ্ট। হঠাৎ করে এমনটা ঘটতে পারেনা। বিগ ব্যাং হল একটি বিস্ফোরন,অার একটি বিস্ফোরন কখনও নির্ভূল সিস্টেম তৈরী করতে পারেনা। আর মহাবিশ্ব হল কিছু বস্তুর ও প্রানীর সমন্বয়। এরা নিজেরা নিজেদের সৃষ্টি করতে পারেনা। যেমন বৃহৎ সূর্য হল জ্বলন্ত হিলিয়াম গ্যাস। বাজার থেকে খানিক হিলিয়াম গ্যাস কিনে তাতে আগুন ধরিয়ে জ্বালালে যা হবে সূর্য হল সেটাই। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য এই যে,সূর্য আকারে অনেক বড়। কিন্তু বৈশিষ্ট্য এক। মঙ্গলগ্রহ যদি পাথরের তৈরী হয়,তাহলে আমার হাতে থাকা এক খন্ড পাথর আর মঙ্গল গ্রহের ভেতর পার্থক্য হল এই যে, গ্রহটা এটার থেকে অনেক বড় কিন্তু বৈশিষ্ট্য এক। এরকমই গ্রহ নক্ষত্র বা বস্তু মিলেই মহাবিশ্ব। আর এদের কারো স্রষ্টা হওয়ার ক্ষমতা নেই। আর যে নির্ভল সিস্টেমে গোটা প্রকৃতি চলছে সেটা এমনিতেই সৃষ্টি হতে পারেনা। বেশীরভাগ বিজ্ঞানীই এই মত বিশ্বাস করে।

আল্লাহ তায়ালা গোটা মহাবিশ্ব,ও এর উপরের আসমানসমূহ তৈরী করেছেন নিখুতভাবে। এখানে সিস্টেম চলতে চলতে যেসব এক্সিডেন্ট হয় সেটাও আল্লা কতৃক নির্ধারিত নিয়মের ভেতরের বিষয়। যেমন একটি আয়াতে আল্লাহ বলছেন-"শপথ সেই স্থানের যেখানে তারকাপুঞ্জ পতিত হয়" বিজ্ঞানীরা দেখেছেন মহাবিশ্বে জ্বলতে জ্বলতে ও কক্ষপথে চলতে চলতে একসময় তারকাসমূহ প্রায় নিষ্প্রভ হয়ে আসে, তখন তারা অন্ধকার গহবর বা ব্লাকহোলের ভেতর পতিত হয়ে চিরতরে অন্ধকার হয়ে যায়। .....তো এই ধ্বংসও আল্লাহর তৈরী করা নিয়মের ভেতরের বিষয়। কোনো কিছুই তার নিয়ন্ত্রনের বাইরের নয়। কিন্তু প্রত্যেকের জন্যেই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত রয়েছে।

আল্লাহ যে নিয়ম কানুন তৈরী করেছেন,সেখানে আল্লাহ ইচ্ছা করলেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং তিনি মানুষকে দেখানোর জন্যে বা অনুধাবন করানোর জন্যে প্রকৃতিতে কখনও উলোটপালট করেন। যেমন তিনি পৃথিবীর ভেতর যে প্লেটসমূহ তৈরী করেছেন(সম্ভবত ট্যাকটনিক প্লেট)সেটা নড়াচড়া করে। এর কারনে মহাদেশসমূহ একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে অথবা দূরে সরে যায়। এটা বিজ্ঞান প্রমান করেছে। কিন্তু এই প্লেটসমূহ কেন নড়াচড়া করে এর সদূত্তর জানা নেই। আবার বিজ্ঞানীরা কার্য-কারন অনুধাবন করে বা কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরন করে অনুমান করেন, এই প্লেটটি এত বছর পর ওইদিকে সরে যেতে পারে অথবা এরকম কিছু। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কোনো রকম নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পৃথিবীর কোনো স্থানে অস্বভাবিকভাবে নড়াচড়া হয়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে। নাস্তিকদের কাছে এটার ব্যাখ্যা হল সেই প্লেটের গতিবিধী দেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কারন তারা এর পেছনে গেলে সেখানে সৃষ্টিকর্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন রয়েছে,ফলে তারা প্রাকৃতিক যুক্তি দিয়ে সকল ঘটনা ব্যাখ্যা করে। কোনো উত্তর না পেলে বলে বিজ্ঞান সামনে হয়ত এর কারন উদঘাটন করবে।

কিন্তু বিজ্ঞান হল কিছু নিয়ম কানুনের সমষ্টি,যার সবকিছু পরিক্ষাগারে পরিক্ষা করা সম্ভব নয়। আর এর যেসব থিওরী রয়েছে তা বিজ্ঞানীদের কল্পনা নির্ভর বিষয়। এমনকি পরিক্ষাগারে প্রমানিত "ল" ও অন্য বিজ্ঞানীদের বিপরীত পরিক্ষায় ভুল প্রানিত হয় কখনও। নাস্তিকরা শুধুমাত্র ঘটনা বা উপসর্গ দেখে বিচার বিবেচনা করে। তাদের থিওরীগুলোও এইসব ঘটনা নির্ভর। কিন্তু ঘটনার পেছনে কোনো দক্ষ চিন্তা কাজ করছে কিনা সেটা তারা বিবেচনা করেনা। তাদের দৃষ্টিতে সেটা চিন্তা করা অবৈজ্ঞানিক।

ধরুন একজন মেশিনগান দিয়ে একটি দেওয়ালে অত্যন্ত নিখুতভাবে গুলি করে পাশাপাশি ফুটো তৈরী করল। কিছু বিজ্ঞানী ফুটোগুলো পর্যবেক্ষন করল,ফুটোগুলোর পারষ্পরিক দূরত্ব,গভীরতা নির্ণয় করল। এরপর এই সিদ্ধান্তে আসল যে প্রথম ফুটোটিই শুরু আর এই ফুটোটিই অন্যদের সৃষ্টি করেছে। কারন প্রথমটির সাথে অন্যদের বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি মিলে গেছে। এরকমটাই হল নাস্তিকদের থিওরী। অথচ যে লোকটি ফুটো করল,তাকে দেখল না। কি দিয়ে ফুটো করল তাও এড়িয়ে গেল। এবং যিনি উক্ত ফুটো তৈরী করেছেন,তিনি যে আরও ফুটো তৈরী করতে পারেন সেটাও অনুধাবন করল না। বরং এরকম ভাবনাটাকেই অবৈজ্ঞানিক বলে এড়িয়ে গেল।

আল্লাহ তায়ালা সবকিছু একটি নিয়মে তৈরী করেছেন। সেটা সেভাবেই চলছে। কিন্তু তিনি ইচ্ছা করলেই সেই নিয়মে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। আল্লাহর হস্তক্ষেপের বিষয়টিকে আমরা মিরাকেল বলতে পারি। নিশ্চয় এর ব্যাখ্যা রয়েছে কিন্তু এটি আল্লাহ জানেন। আল্লাহর কাছে এটি মিরাকেল নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×