somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পিছু ছাড়ে না

১১ ই অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেড়ালদের আমি কক্ষনো বিশ্বাস করি না, ওরা হচ্ছে সব ভূতের বাহন৷ কোনটা যে বেড়াল আর কোনটা যে ভূত চেনার তো কোন উপায় নেই তাই সব বেড়ালই থাকত আমার সন্দেহের তালিকায় ৷ আর সেই বেড়াল যদি কোনক্রমে একবার পায়ের তলা দিয়ে চলে যেতে পারে তাহলে মৃত্যু অনিবার্য ৷ মৃত্যু যে কি করে হবে আর কখন হবে তা কেউ টেরটিও পাবে না৷ এই তো কিছুদিন আগেকার কথা , বাবার এক বন্ধুকে বিড়ালবেশী ভূত মেরেই ফেলল৷ একেবারে গলার নলী খামচে ছিঁড়ে নিল৷ আর সেই তারেকচাচা কিছুই করতে পারল না ৷ পারবে কি করে? ভূত জীনদের সাথে কেউ কখনো পারে? হামদু চাচি ( হামিদ চচার বউ) এসেছিল ছোটকাকার বিয়ের সময়৷ সে শিখিয়ে দিল যখনই মনে হবে ভূত আশে পাশে আছে তখনই মন্ত্রটা পড়তে হয় ৷ তাহলেই নাকি ভুতেরা জেনে যাবে যে এর কাছে তো মহামন্ত্র আছে, এর কোন ক্ষতি করা যাবে না ৷
ভুত আমার পুত
পেত্নি আমার ঝি৷
শাকচুন্নি সখি আমার
করবি আমার কি?



তাই আমি কোন বিড়ালকে আমার পয়ের তলা দিয়ে যাওয়ার কোন চান্স দিই না ৷ খেতে বসলে দুটো পা'ই চেয়ারের উপর তুলে পা ভাঁজ করে বসি ৷ কিন্তু বেড়ালও তো আমার পিছু ছাড়ে না ৷ সুযোগ পেলেই কটকট করে তাকিয়ে থাকে ৷ জানান দেয় যে ওরা আমার মতলব সব বুঝতে পারছে ৷ ছোটবেলা থেকেই বেশ ভীতু আমি ৷ সমবয়েসী বন্ধুদের বলা বিভিন্ন টুকরো টুকরো ঘটনা, রাত্রির অন্ধকারে মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ কদম গাছ, রাতের অন্ধকার, কাজের বুয়া (মাসি) দের বলা সত্য-মিথ্যে সব গল্প আমাকে চিরকালীন ভীতু বানিয়ে দিয়েছে ৷


সেদিন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল কাক ভিজে হয়ে বাড়ি ফিরে দেখি মা ঘুমাচ্ছে ৷ বারান্দা দিয়ে উঁকি মেরে দেখলাম দোতলার টিনের চাল বেয়ে জলপ্রপাতের মত গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি ৷ মা ঘুমাচ্ছে কি না আরেকবার ভাল করে দেখে নিয়ে আমি সেই প্রপাতের তলায় ৷ বাড়ির পেছনটা এমনিতেই বেশ নোংরা ৷ পেছনের এই উঠোনটা বেশ বড় হলেও আবর্জনা ফেলা ছাড়া আর কোন কাজে লাগেনা ৷ যেখানে দাঁড়িয়ে আমি ঐ জলপ্রপাতের জলে স্নান করছি তার ঠিক পাশেই খোলা সরু ড্রেন ৷ এর আগেও এই ড্রেনে পা হড়কে পড়েছি বলে জানি থকথকে ঘন নোংরা জল জমে আছে ওতে যাতে আমার হাঁটু অব্দি দুবে যায় ৷ এখন এই তুমুল বৃষ্টিতে যা এক চওড়া নালার রূপ নিয়েছে ৷

তাই তাই তাই
মামার বাড়ি যাই
মামি দিল দুধভাত
পেট ভরে খাই
মামা আইল গদা লইয়া
পলাই পলাই
কখন যে দোতলার রেলিংএর কার্ণিশে এসে দাড়িয়েছে এক অচেনা বেড়াল খেয়ালই করিনি ৷ চোখ পড়া মাśই আমি বৃষ্টি জলপ্রপাত স্নান সব ভুলে ষ্ট্যাচু৷ বেড়ালের দিকে অপলক তাকিয়ে আমি আর বেড়ালও তার ঠান্ডা চোখে একদৃষ্টিতে আমাকেই দেখছে৷ সম্বিত ফিরতেই আম্মা বলে চেঁচিয়ে ছুটব বলে পা বাড়াতেই এক পা সোজা সেই ড্রেনে ৷ মা সেই চীত্কার শুনেছে আর পড়ে যাওয়ার শব্দও৷ ছুটে এসে কাওকে দেখতে না পেয়ে কেডা রে? কি হইসে, বলে জোরে আওয়াজ দিল ৷ আমি কোনমতে বলতে পারলাম 'আমি আম্মা'৷ ততক্ষণে বেড়াল উধাও৷ ড্রেনে পা হড়কে পড়ে গিয়ে চোটও লেগেছে বেশ, তার উপর মা আগে পিঠে দু ঘা বসিয়ে তারপর টানতে টানতে নিয়ে গেল কলতলায় ৷

মেয়েদের খোলা চুল নাকি বদ জীনেদের খুব প্রিয়৷ দাদী বলেছে তিন সন্ধ্যের সময় ( সূর্য ডোবার আগে ও পরে) সব জীন ভূত চলাচল করে ৷ তাই বিকেলের পর থেকে যেন কক্ষনো খোলা চুল করে বাইরে না যাই ৷ খোলা চুল দেখতে পেলেই বদ জীন এসে বাসা বাঁধে৷ আর যদি জীনের সেই মেয়েকে পছন্দ হয়ে যায় তাহলে তো আরও বেশি সমস্যা ৷ জীন সেই মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে, তার সাথে সংসার করে৷ মানুষে তো জীনকে চোখে দেখতে পায় না ৷ জীন যাকে দেখা দিতে চায় শুধু সেই দেখতে পায় ৷ সেই মেয়েটা জীনের সাথে কথা বলে, হাসে৷ তার জন্যে রান্না করে ৷ সবার মাঝে থেকেও জীন থাকে অদেখা, তাই লোকে ভাবে সে পাগল হয়ে গেছে৷ ব্যস ৷ শুরু হয়ে গেল সেই মেয়েটার পাগলামো সারানোর ব্যবস্থা ৷ মৌলভী সাহেব আসেন৷ একগাদা তাবিজ পরিয়ে দেন ৷ সূরা ফাতিহা পড়ে পানি ফুকে দেন ৷ আলহাম্দুলিল্লা হিরাব্বিল আ লামিন...আস্তাগফার পড়ে কালো কারে ফুঁকে ফুঁকে ন'খানা গিট দিয়ে বেঁধে দেন জীনে ধরা মেয়েটির হাতে ৷ যাতে জীন আর মেয়েটির কাছে না আসতে পারে ৷ 'আস্তাগ ফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বি ওয়াতুবু ইলাইকা লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লা হিল আলিউল আজীম ৷' সেই পানিপড়া খেয়েও মেয়েটা ভাল হয় না ৷ জীন তো তাকে ছেড়ে যাবে না কিছুতেই ৷ অনেক জীন আবার পছন্দের মেয়েকে তুলে নিয়ে চলে যায় ৷ তাদেরকে আর কোনদিনও খুঁজে পাওয়া যায় না ৷


আমি তাই বিকেল হলেই আঁট করে চুল বেঁধে রাখি ৷ সন্ধ্যের পরে বারান্দায়ও যেতে চাই না ৷ বারান্দা থেকে পরিষ্কার দেখায় মাঠের কোণের ঐ কদম গাছটাকে ৷ চাপচাপ অন্ধকার দানা বেঁধে থাকে ঐ কদম গাছে ৷ যদি কোন কারণে বারান্দায় যেতে হয় তো জোর করে চোখ ফিরিয়ে রাখি ঐ কদম গাছ থেকে ৷ সবসময় মনে হয় ওখান থেকে কেউ আমাকে দেখছে ৷ লাল দুটি চোখ৷ তাতে পলক পড়েনা , তাকিয়ে আছে যেন আমার দিকে, আমি তাকালেই সে হাতছানি দিয়ে ডাকবে আমায় ৷ রাতের পর রাত অমি চোখ ফিরিয়ে থাকি ঐ কদম গাছের থেকে৷ ঘরের জানালা বন্ধ করে দেই বিকেল হলেই ৷ দিনের বেলা যে বেড়ালটা মিউ মিউ করে আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, খাওয়ার টেবিলের তলায় ঢুকে বসে থাকে, সেই যেন রাতে ঐ কদম গাছে চড়ে বসে থাকে৷ তখন তার চোখ লাল ৷ অপলক তাকিয়ে থাকে সে আমার দিকে ৷


অথচ বর্ষায় যখন কদম ফোটে, আমি তখন প্রায় দিন হেনা, মিলি, সেতুদের নিয়ে সেই কদম কুড়াতে যাই ৷ সেতুটাও কদম ফুল খুব ভালবাসে ৷ মিলিরা সুর করে ছড়া কাটে ৷

চান্দ উঠছে
ফুল ফুটছে
কদমতলায় কেডা?
খুকুমণির বিয়া হইব
ঘোমটা মাথায় দিয়া ৷

কখনো আমি একা ও যাই৷ কদম গাছটা আমাকে খুব টানে ৷ সকালে আমি যখন ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় যাই প্রথম চোখ পড়ে ঐ কদম গাছটার উপর ৷ তখন আর ঐ লাল চোখদুটো দেখতে পাই না৷ তখন আর সে কোন বদ জীনের বাসা নয় ৷ তখন সে শুধুই কদম গাছ৷ বাতাসে নড়ে তার ডাল, পাতা ৷ টুপটুপ বৃষ্টি পড়ে ফুলভর্তি ঝাঁকড়া কদম গাছে৷ কোন কোনদিন সকালবেলাতেই আমি একা চলে যাই ছোট্ট ঐ মাঠ পেরিয়ে কদম গাছের তলায়৷ ভয়ে দুরুদুরু করে বুক ৷ তবু যাই ৷ না গিয়ে পারি না ৷ আমাকে ভীষণ টানে ঐ কদমগাছ৷

ননীর বাপ বলে, আফাজান, রাইতে একদম ঘরের তেন বাইর হইয়েন না ৷ আমি রোজ রাইতে তাইনে গো দেহি ৷ আমি ননীর বাপকে জিজ্ঞেস করি, বুড়ো মিঞা, তোমাকে তারা কিছু বলে না? ননীর বাপ, আমাদের বুড়ো দারোয়ান উততর দেয়, আমি যে দোয়া পইড়া শরীরে ফুঁক দিয়া শরীর বন্ধ কইরা রাখি ৷ তাই হেরা আমারে কিসু করতে পারেনা ৷ নইলে তো কুন কালেই আমারে শ্যাষ কইরা ফ্যালাইত ! বুড়ো মিঞাকে অনুরোধ করি সে যেন আমাকেও শিখিয়ে দেয় শরীর বন্ধ করা ৷ আমি ও রাতে বাইরে বেরুতে চাই ৷ কুল গাছটার তলায় যেতে চাই ৷ সফেদা গাছের সরু লিকলিকে ডাল থেকে ঐ বড় সফেদাটা পেড়ে আনতে চাই৷ দোতলার রেলিংএ ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে রাতের আকাশ দেখতে চাই ৷ বুড়ো মিঞা যদি শরীর বন্ধ করা না শেখা তবে তো আমি বেরুতেই পারবো না ৷ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে এখন যেমন জোর করে চোখে বন্ধ করে গুটি সুটি মেরে পড়ে থাকি সব সময়েই তাই থাকতে হবে ৷ বুড়ো মিঞা কেমন মাথায় পাগড়ি বেঁধে হাতে তার লাঠিটা নিয়ে সারা রাত বাড়িটাকে পাক দিয়ে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় ৷ গভীর রাত্রে সে সুর করে দরুদ পড়ে,

নূর মুহম্মদ সাল্লাল্লাহ
মাফি কালফি গায়রুল্লাহ
পড়ো সবে সাচ্চা দিলে
লা ইলা হা ইল্লাল্লাহ৷

আমার ঘুম ভেঙে যায়, চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি৷ বুড়ো মিঞা কি এখুনি তাদেরকে দেখল?


আমি কাওকে বলতে পারিনা আমার এই ভয়, উত্কন্ঠার কথা ৷ সকাল সাড়ে ন'টা বাজলেই সেতু এসে দাঁড়ায় ৷ স্কুলে যাওয়ার সময় হল ৷ আমি আর সেতু একই স্কুলে পড়ি৷ সাদা সালোয়ার কামিজ , কোমরে চওড়া সবুজ বেল্টে গুঁজে দিয়ে পরা ভাঁজ করা সাদা ওড়না ৷ ঝটপট রেডি হয়ে মায়ের কাছ থেকে টিফিনের পয়সা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি৷ সাইকেল রিকশায় আমি আর সেতু স্কুলে যাই ৷ আমার সবচাইতে প্রিয় ক্লাস, রুবিনা আপার ক্লাস৷ রুবিনা আপা বাংলা পড়ান ৷ বেশির ভাগ মেয়েদেরই সেই ক্লাসে পানির পিপাসা পায় ৷ রুবিনা আপা যে খুব ভাল৷ কোন মেয়েকে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করান না ৷ মেয়েরা যতবার পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করে তিনি ততবার পড়া বুঝিয়ে দেন ৷

'বাড়ি তো নয়, পাখির বাসা, ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি ৷
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারই তলে আসমানীরা থাকে বছরভরে ৷
পেটটি ভরে পায় না খেতে বুকের ক'খান হাড়
সাক্ষী আছে অনহারে ক'দিন গেছে তার ৷
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপরাশি
থাপড়েতে নিভিয়ে গেছে দারুন অভাব আসি ৷
পরনে তার শতেক তালি শতেক ছেঁড়া বাস
সোনালী তার গা'র বরনে করছে উপহাস৷
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি ৷' ( জসীমুদ্দীন)

পড়ার ছলে গল্প করেন৷ যে গল্পটা অথবা কবিতাটা পড়ালেন সেই গল্পের হাত ধরে চলে যান আরও অনেক গল্পের দেশে ৷ কবির কথা বলেন৷ লেখকের কথা বলেন ৷ আমার মনে প্রশ্ন জাগে এত সুন্দর দেখতে রুবিনা আপা, তাকে কোন জীনের পছন্দ হয়নি? রুবিনা আপা তো মাথায়ও কাপড় দেন না ৷ তাহলে কি রুবিনা আপা জানেন কি করে শরীর বন্ধ রাখতে হয়? আমি সেতুকে জিজ্ঞাসা করি ৷ সেতু বলে, তোরে একদিন জীনে ঠিক লইয়া যাইব!

প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে বুড়ো মিঞা তাদেরকে দেখে৷ চার-পাঁচ জন নাকি থাকে তারা৷ ইয়া লম্বা লম্বা দেখতে৷ বিশাল বড় বড় পা ফেলে তারা আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে পেছনের টিলার দিকে চলে যায়৷ সে রাতে বারে বারে আমার ঘুম ভাঙে৷ ফ্যানের বাতাসে ঘরের পর্দা নড়লেও আমার মনে হয় ঘরে কেউ আছে৷ আমি আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফুঁ দিই ৷ 'আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাআ হুয়াল হাইয়ুল ক্কাইয়ুম৷ লা তা'খুজু হু সিনা তু ওয়ালা নাউম৷ লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফীল আরদ...৷'

রাতকে আমার ভীষণ লম্বা আর বড় বলে মনে হয় ৷


(গল্পটি প্রথম প্রকাশ হয়েছিল সোনাঝুরি ওয়েবজিনে )
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১১:১৬
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×