somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার যে আর ভালো লাগে না

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সদ্য বিকেলে নাকি দুপুরে, আ্মি শুয়ে আছি বিছানাতে, মাথার উপরে এক আটপেয়ে গুটিগুটি পায়ে দেয়াল বেয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আটপেয়ে কে দেখতে দেখতে আমি ভুলে গেলাম যে কতক্ষন,কতকাল,কতদিন বা কত বছর আমি এভাবেই পড়ে আছি। এখন কি দিন নাকি রাত তাও তো জানি নে। আটপেয়ে তার আটটি পা কিলবিল করেই চলেছে।

চারপাশ তাঁকিয়ে মনে হলো চারপাশে কিছুই নেই। কেমন জানি, কিন্তু এখন তো অন্ধকার ও নয়। আবার আলোকিত তাও তো বলা যাচ্ছে না। গুমোট পরিবেশ থেকে বাঁচতে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম। কি ব্যাপার তাও হচ্ছে না, আমি গড়িয়ে পড়ে গেলাম নীচে। কিন্তু নীচে সে তো আঁধার, রাতের চেয়েও আঁধার। রাত ও বুঝি লজ্জ্বা পাবে। সেই নীচের আঁধারে আমি পড়ে যেতে থাকলাম অনন্ত কাল। তবু ও মনে হতে লাগলো আটপেয়ে নীরবে কিলবিলিয়ে দেয়াল বেয়ে চলেছে।

অনন্তকাল পর হঠাত চোখ মেলে দেখলাম রাতের আঁধার শেষে এখন শুভ্র-সাদা পরিবেশ। আমি শুয়ে আছি অপারেশনের টেবিলে। খুব অসহায় লাগলো নিজেকে, একটু পর ই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সাদা এপ্রোন পড়া ডাক্তার বেশে, ডাক্তার-রোগীর এই চক্র যেনো চলতেই লাগলো সাথে চলতে লাগলো আটপেয়ের দেয়াল বেয়ে কিলবিলিয়ে চলা।

আটপেয়ে কখন জানি জাল বুনতে শুরু করলো, আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম পার্কের বেঞ্ছেতে কখনো সমুদ্র তীরে। পার্কের বেঞ্চেতে বসে যেনো আমি ছড়িয়ে দিলেম নিজেকে পার্কের সবুজ ঘাসে। ছুটে আসলো অসংখ্য কবুতর। কাছে এসে দেখা গেলো এতো কবুতর নয়, আটপেয়ের ক্ষুদ্র সন্তানেরা। মনে পড়ে গেলো আটপেয়ের বুকে যে ডিম ছিলো। আমি ছুটতে ছুটতে নিজেকে আবিষ্কার করলাম সমুদ্র তীরে, বোকার মত ছুটতে লাগলাম সমুদ্রের দিকে, ভেসে গেলাম সে বহুদূর, ডুবে রইলাম সেই বহুকাল। নীরবে নিভৃতে আটপেয়ে তবু জাল বুনে যায়।

আটপেয়ের জালের সুতোয় সুতোয় আমি যেনো বদলে যাই। চলে যাই একবার রাতের অন্ধকারের গহবরে নয়তো অপারেশনের শুভ্র ঘরে বা পড়ে থাকি পার্কের ঘাসে। আটপেয়ে গুটিগুটি করে পায়ের ডগায় বহন করে নিয়ে যায় কত কাল, কত দিন। জালের সুতো বুনতে বুনতে সে আমাকেও বুনতে শুরু করে জানি কবে থেকে নাকি আমি জালে আঁটকা পড়ে যাই সে কে জানে!! আমার যে আর ভালো লাগে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×