ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘কাজের ছেলে’, ড্রাইভার, ভাঙ্গারি দোকানদার রয়েছে বলে পদবঞ্চিতদের এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। ৩ দফার দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়,”বর্তমান কমিটিতে টাকার বিনিময়ে ভাঙ্গারি দোকানদার, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের ৭০টি গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।”
গত ১৫ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২৯১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, “সহ-সভাপতি এবিএম পারভেজ রেজার বাসার কাজের ছেলে খন্দকার মুজাহিদুল ইসলামকে সহসাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে ভাঙ্গারি দোকানদার খুরশেদ আলমকে, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহসানের গাড়িচালক জসিম উদ্দিনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে, স্টেট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে করা হয়েছে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বায়েজীদ আহমেদকে করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পাদক,কাঁচপুরের সিসহা গার্মেন্টের কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে সহ-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হল-কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে পদবঞ্চিতদের যথাযথ মূল্যায়ন,আর্থিক অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ,বর্তমান কমিটির পূর্ণ মূল্যায়ন। আগামী ১১ তারিখের মধ্যে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বলা হয়, “মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব পদ-পদবি বিক্রি করা হলেও ১/১১ এর নির্যাতিদের মূল্যায়ন করা হয়নি।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রয়্যাল,সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ আদেল মুহাম্মদ জুয়েল,সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক রুহুল ইসলাম মনি প্রমুখ
খবরের সূত্র এই লিংকে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




