আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সাধাসিধে কিন্তু মেধাবী ছাত্র ছিল মিলন নামের একটা ছেলে। ও জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-এ ভর্তি হওয়ার পর খোঁজ নিয়ে জানলাম হলে ওঠার প্রথম তিন রাত সে হলের ছাদে ঠান্ডা-বৃষ্টিতে কাটিয়েছে। আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় অনেক লাঞ্ছিত হওয়ার পরও সে ছাড়তে পারেনি জাবি। কিন্তু ওর মনে পোষা ছিল এক আকাশ সমান ঘৃণা। পুরো ক্যাম্পাস এর উপরই।
একটা ছেলের জন্যই র্যাগিং এর ব্যাপারটা কখনও কখনও জীবন-মৃত্যুর কারণ হতে পারে, সেখানে একটা মেয়ের জন্য কী ভয়ানক তা নিশ্চয়ই বুঝতে কষ্ট হয় না।
জাবি থেকে এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ উঠলেই তা সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে। জাবি'র শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ছাত্ররা চাইলেই এটা বন্ধ হতে পারে।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, মিডিয়ায় জাবি'র ছাত্রের সংখ্যা অনেক। তারা কেন চুপ করে আছে জাবি'র র্যাগিং, নারী নির্যাতন নিয়ে? নাকি এটা তাদের মৌন সম্মতি ওই নোংরা-গলিত-পুতিগন্ধময় র্যাগিং সংস্কৃতির প্রতি? যদি তাই হয়, যদি তারা এর বিরুদ্ধে কথা না বলে তবে আমরা তাদের বাধ্য করতে পারি।
১। প্রথম কাজ হবে আমরা আমাদের পরিচিতদের মধ্যে (বিশেষ করে মেয়ে হলে) কাউকে জাবি'তে ভর্তিতে বাধা দেব।
২। জাবি'র কারও সাথে আত্মীয়তা(আমার অনেক বন্ধুই জাবি'র মেয়েদের বিয়ে করবে না বলে শপথ নিয়েছে!!) করব না অর্থাৎ সামাজিকভাবে বয়কট করব।
৩। আমরা যারা বিভিন্ন সংস্থায় উচ্চপর্যায়ে আছি, জাবি'র কোন ছাত্রকে নিয়োগ দেব না।
৪। অনলাইন-অফলাইন সবজায়গায় ক্যাম্পেইন গড়ে তুলতে হবে।
জানি, একজনের দোষে সবাইকে পাইকারীহারে শাস্তি দেয়া হয়ে গেল। কিন্তু যারা সাধ্য থাকা সত্বেও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না তারাও সমান অপরাধী।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




