ওটা শ্রাবন্তীই ত হেটে যাচ্ছে!শাহেদ একটু কনফিউসড। শাহেদ একটু থেমেই মেয়েটার পিছে পিছে এগিয়ে যাচ্ছে।আবার ভাবছে যে মাঝ রাস্তায় ওমন করে কোন মেয়ের পিছু নেয়াটা কি ঠিক হচ্ছে! তাও আবার এই বয়সে!!
বছর পাঁচেক আগে শাহেদ বি,বি,এ পাশ করে ঢাকার একটি নামকরা বেসরকারি ব্যাংকে জয়েন করে, রিসেন্টলি পোস্টিং হয় গুলশান ব্রাঞ্চ এ।প্রায় বছর আটেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শ্রাবিতীর সাথে পরিচয় হয় শাহেদের।ওদের সম্পর্ক অনেক দূর অগ্রসর হয়। তারপর কোন একটি ঘটনার কারনে ওদের ব্রেকআপ হয়ে যায়।কি কারণে তা অবশ্য ওদের কোন বন্ধু-বান্ধব কেউ সঠিক করে জানেনা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর ওদের আর কোন দেখা-সাক্ষাতও হয়নি। শাহেদ শুনেছিল শ্রাবন্তী এম,বি,এ করতে কানাডা চলেগিয়েছে।এরপরে শাহেদ আর বিয়েও করেনি কিংবা নতুন করে কারও সাথে সম্পর্কও করেনি। বন্ধুদের মতে শাহেদের মত বেকুব পৃথিবী আর দুটো নেই। শাহেদের ফিলসফি হোল ও যদি এখন নতুন কাউকে ভালোবাসে তাহলে এটাই প্রমান হবে যে শ্রাবন্তী্র প্রতি ওর এতদিনের ভালোবাসাটি মিথ্যে ছিল।
অফিস ছুটির পর হাল্কা নাস্তা করার জন্য একটু আশেপাশে ভাল ক্যাফে খুঁজছিল হটাৎ করেই শ্রাবন্তীর মত কাউকে হাটতে দেখে শাহেদ একটু থমকে দাড়াল।ব্রেকআপ হবার পর থেকেই এরকম হেলুসিনেশন অনেকবার হয়েছে কিন্তু এবার বাস্তব ই মনে হচ্ছে শাহেদের। যদিও মেয়েটি শ্রাবন্তী্র তুলনায় একটু খাট ও চুলগুলো অন্যরকম লাগছে তারপর ও সিওর হবার জন্য শাহেদ ফলো করারই সিদ্ধান্ত নিল। শাহেদ একবার ভাবল ডাক দেই, কিন্ত ব্রেকআপ যেহেতু হয়েছে ডাকাটা উচিৎ হবেনা। আবার আসলে অন্য কোন মেয়ে হলে যদি জিজ্ঞেস করে আপনি কি শ্রাবন্তীই, তাহলে মেয়েটি ভাববে ইচ্ছে করেই এমনটি করছে চান্স মারার জন্য। এবার শাহেদের মাথায় একটি কুবুদ্ধি এসে গেল, সে দৌড়ে অপরপাশের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আবার শ্রাবন্তীর সামনে চলে এসে ভাব দেখাল ও অপর পাশ থেকে আসছে। এবার শ্রাবন্তীরকে ক্সস করার সময় একটু একটু মনে হলো ও আসলেই শ্রাবন্তী। এই বুদ্ধিটা দ্বিতীয়বারে মত খাটানোর জন্য এবারও অপর পাশ থেকে আসল কিন্তু এবার সরাসরি মুখমুখি অবস্থা। এবার বেচারা শাহেদ বেগতিক অবস্থা দেখে পাশের শপিংমলে ঢোকার ভান করল। এবার সে মোটামুটি ৭০% নিশ্চিত যে ওই শ্রাবন্তী। শেষবারেমত নিশ্চিত হবার জন্য আবারও পিছে পিছে যেতে লাগল।ফলো করতে করতে এবার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে আসল। শাহেদ ও শ্রাবন্তীর ঠিক পিছনে এসে লাইনে দাড়াল। এবার শাহেদ ৮০% নিশ্চিত যে ওই শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীও শাহেদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ বড় বড় করে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কিন্তু সমস্যাটা বাঁধল যখন শ্রাবন্তী হতাৎ করেই পিছনে ঘুড়া শুরু করল। শাহেদেরত গলা শুকিয়ে কাঠ এবং যত দোয়াদুড়ুদ জানে সব পড়া শুরু করেদিল, কেননা শপিংমলে ঢোকার আগে মেয়েটি শাহেদকে দেখেছে এবং এখনো পিছে দেখলে কিনা কি ভেবে বসে। শাহেদও পিছে ঘুড়ে যায় কিন্তু ভাগ্য তাকে এবার পিছে কোন শপিংমল দেয়নি, পিছে একটি পান-বিড়ির দোকান এবং শাহেদ এর কোনটিই খায়না। বুদ্ধি করে দোকানদারকে জিজ্ঞেস করল ভাই মেন্টোস আছে? দোকানদারও এবার নিরাশ করে দিয়ে জবাব দিল না। এবার শাহেদ চান্স পেয়ে বলে ঠিক আছে, আমি অন্য দোকান থেকে নিয়ে আসছি। এবার লাইন থেকে বের হয়ে শাহেদ হাফ ছেড়ে বাঁচল। আবার আর চোখে শাহেদ পিছে তাকাল কিন্ত মেয়েটিকে আর দেখতে পেলনা। শাহেদ আবারও কনফিউসড হয়ে ভাবল ওটা কি আসলেই শ্রাবন্তীই ছিলো!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




