তুমি তপ্ত মৃত্তিকার বুকে ফুটন্ত গোলাপ,
যে গোলাপের ঘ্রাণে হয়তো পাগল হয়ে যায় পতঙ্গেরা।
হয়তো, তোমার রক্তপিপাসী কাঁটারা রক্ত ঝরায়,
রক্তের স্রোত বয়ে চলে অবিরাম।
সে গোলাপ ফুটেছিল আমার হৃদয়ের অনুর্বর শস্যক্ষেত্রে।
এখনও আছে, অনাবিল স্নিগ্ধতায়।
গোলাপের কাঁটারা বিঁধে গেছে,
ব্যথিত হৃদয়, ভরে গেছে যন্ত্রণার বিষে।
কিন্তু কোথায় সেই ফুটন্ত গোলাপ?
স্নিগ্ধ গোলাপটা পালিয়ে গেছে দূরে।
এইতো সেদিন, হাতে হাত ছিল,
যেন কোমল গোলাপের পাঁপড়ির উপর আমার মলিন হাত।
কত স্বপ্নময় ছিল তোমার চোখদুটো,
যেন মায়াবী ইশারার জালে জড়িয়ে পড়েছিলাম।
আজ নেই, কম্পিত আর্তনাদ ছাড়া কিছু নেই।
এইতো সেদিন, তোমার রক্তিম ঠোঁটদুটো বলেছিল, ভলবাসি।
সেদিন কত কিছুই ভাল লেগেছিল,
পাখির গান, বাতাসের উগ্র প্রবাহ, গাছের নড়ে ওঠা পাতা।
আজ, ভালবাসি না নিজেকেই,
ক্লান্ত বিধ্বস্ত অস্ত্বিত্ব, ধ্বংসের অপেক্ষায়।
নির্ঘুম রাত তবু কেটে যায়,
ঝলমলে রোদ হেসে ওঠে চারিদিকে,
শুধু তুমি নেই কোথাও, এ পৃথিবীর বুকে।
দূর অজানায়, তোমার মিষ্টি হাসি হয়তো, কারও অপেক্ষায়।
আমার বিরামহীন ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাসগুলো, কেমন অসহায়।
আমি যেন রৌদ্রতপ্ত মৃত্তিকা,
আর তুমি, দাঁড়িয়ে আমার উপর স্মৃতি হয়ে।
আজ, বড় বেশি দূরত্ব আমাদের,
আমার আর্তনাদ পাড়ি দিবে না সেই দীর্ঘ পথ।
তবু হৃদয় আর্তনাদ করে উঠে, ফিরে এসো।