somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মন থেকে বলি
আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মিউজিয়াম অব হরর (পর্ব-১)

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাদুঘর দেখতে আমরা সবাই ভালোবাসি, তাই না? কিন্তু আজকে আমরা এমন কয়েকটি জাদুঘর সম্পর্কে জানবো, যেগুলো দেখতে যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত রকমের সাহস আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা জমিয়ে নিতে হবে। আসুন, পরিচিত হই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর জাদুঘরের সাথে।

নম্বর-১ঃ দ্য মিউজিয়ম অব ডেথ (লস এঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া, ইউ.এস.এ.)



এই জাদুঘর প্রথম স্থাপিত হয় জুন ১৯৯৫ সালে, আমেরিকার স্যান ডিয়েগোর প্রথম মরচুয়ারি ভবনে। প্রতিষ্ঠাতা রিটা ডিন, জেডি হ্যালি আর ক্যাথি শুলজ্ প্রথম অনুভব করেন যে তাঁদের দেশে মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা বড় শুন্যতা আছে। সেই শিক্ষা শুন্যতা পূরনেই তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেন ‘মৃত্যুর জাদুঘর’।

কি আছে এই জাদুঘরে?

আছে মৃত্যু সম্পর্কিত সবকিছু। পৃথিবী কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের আঁকা ছবি, ভয়ংকর ক্রাইম সিন, বিকৃত অটোপসির, বিভৎস গাড়ি দুর্ঘটনা, গিলোটিনে মাথা কেটে ফেলার ভিডিও। অর্থাৎ যত রকমের বিকৃত আর বিভৎস ছবি হতে পারে, তার সব-ই আছে এই মৃত্যুর জাদুঘরে। এটাকে বলা হয় সিরিয়াল কিলারদের আঁকা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সংগ্রহশালা। এই জাদুঘরে কোন গাইড নেই, পুরোটাই সেল্প গাইডেড ট্যুর যা সাধারনত ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা লাগে। কিন্তু যদি আপনার পাকস্থলি সহ্য করতে পারে, তাহলে যতক্ষন ইচ্ছা থাকতে পারেন। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, এই জাদুঘরে প্রবেশের কোন বয়সসীমা নেই (কারন সকলকেই মরতে হবে, তাই না?)। তবে শক্তভাবে রেকমেন্ড করা হয়ে যেন দর্শক ’ম্যাচিওরড’ হয়।

নম্বর-২ঃ ভেন্ট হাভেন ভেন্ট্রিলোকুইস্ট মিউজিয়াম (ফোর্ট মিচেল, কেন্টাকি, ইউ.এস.এ.)



ভেন্ট্রিলোকুইস্টের পুতুলের কথা মনে হলেই আমাদের চোখে ভাসে পুরোনো আর মজাদার কিছু কাঠের পুতুলের কথা। কিন্তু ওপরের ছবিটা খেয়াল করে দেখুন। পুতুলগুলো কিন্তু একই সাথে যথেষ্ট আতংকজনকও। মানুষের একটা রেপ্লিকা যেটা কিনা মানুষের মতো কথা বলে, অঙ্গভঙ্গি করে, সেরকম একটা জিনিসের কাছাকাছি থাকাও কিন্তু অস্বস্তিকর।

এবার চিন্তা করুন তো, এরকম শত শত পুতুল বসে আছে চেয়ারে। আর তাদের ভয়ংকর নিষ্প্রাণ দৃষ্টিদিয়ে আপনাকে লক্ষ্য করে চলেছে ক্রমাগত, তাহলে কতক্ষন আপনি আপনারা নার্ভ ঠিক রাখতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে এটাই পৃথিবীর একমাত্র জাদুঘর যেটা কিনা ভেন্ট্রিলোকুইসজমকে উদ্দ্যেশ্য করে বানানো হয়েছে। পুতুলের সংখ্যা প্রায় ৭০০।

নম্বর-৩ঃ মমির জাদুঘর (গুয়ানাজুয়াতো, মেক্সিকো)



নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটা কিসের জাদুঘর। ১১১টা মমিকৃত মানবদেহ সাজানো আছে এখানে-সব ধরনের, সব বয়সের। ভাবছেন, মমি তো সাধারন জিনিস, কতই বা ভয়ংকর হবে। কিন্তু ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, এটা আসলে একটা উন্মুক্ত কবরখানা ছাড়া কিছুই নয়। প্রত্যেকের মুখে প্রচন্ড কষ্ট আর আতংকের ছাপ চিরস্থায়ী হয়ে গেছে যা এসেছে জীবন্ত কবর দিলো যে আতংক হয়, তার থেকে।

এই জাদুঘরের ধারনা গড়ে ওঠে ১৮৩৩ সালের কলেরা মহামারী থেকে যার ফলে ওই এলাকার অনেক মানুষ মারা যায়। তখন ওই এলাকার নিয়ম ছিলো যে, মৃত ব্যক্তির আত্মিয়স্বজনদের ট্যাক্স দিতে হতো যেন তাদের প্রিয়জনের লাশ ঠিকমতো দাফক করা অবস্থায় থাকে। যেসব ব্যক্তি পর পর তিন বছর ট্যাক্স দিতে ব্যর্থ হতো, তাদের প্রিয়জনের লাশ কবর থেকে তুলে ফেলা হতো।

তো, তুলে ফেলার পর দেখা গেল, লাশগুলো প্রাকৃতিকভাবেই মমিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। তখন কবরস্থাসের কর্তৃপক্ষ সেগুলো সংলগ্ন ভবনে সাজিয়ে রাখা শুরু করল যেন যদি তাদের আত্মীয়রা আবার ট্যাক্স পরিশোধ করে, তাহলে যেন লাশ আবার কবর দেয়া যায়। ক্রমে যখন মমির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেল, তখন সেটাকে এই জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।

এখানে আছে প্রথম খুঁড়ে তোলা মমি, ডঃ রেমেজিও লিরয়ের লাশ যা তোলা হয় ৯ জুন ১৮৬৫ সালে। এখানে আপনি দেখতে পাবেন মানুষগুলো যে অবস্থায় মারা গেছে, সেই অবস্থাতেই মমি করা হয়েছে। পোষাক আশাক সব আগের মতোই । এখানে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মমি-একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ভ্রুন যে কিনা ওই অবস্থাতেই কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলো। যেহেতু এই মমিগুলো প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে, তাই মিশরের মমির থেকে এগুলো দেখতে অনেকবেশি ভৌতিক।

এটা এখনও পর্যন্ত অজানা যে মাটির কোন বৈশিষ্ট্য লাশকে এরকম মমিতে পরিণত করে। তবে সবচেয়ে চালু বিশ্বাস হলোঃ জীবিত থাকাকালীন পাপের প্রায়শ্চিত্ব করার জন্য সৃষ্টিকর্তা এদেরকে মমি করে ফেলেছেন।


তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×