মানুষের সহজাত অভ্যাস হচ্ছে মানুষ যা পায় না তা পাওয়ার আক্ষেপ তাকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়ায়। সেই না পাওয়ার আক্ষেপ থেকে মানুষ দূরবর্তী কিছু থেকে হলেও নিজের না পাওয়ার আক্ষেপ মেটানোর তাড়নায় তাড়িত হয়। আমি জানি না আমার মত কি বাংলাদেশের বাকি সব মানুষের মধ্যে সেই আক্ষেপ তাড়িয়ে বেড়ায় কিনা?
আমি ভোটার হয়েছি সেই ২০১৩ সালে কিন্তু রাষ্ট্রের একজন পরিপূর্ণ নাগরিক হয়েও নিজের অন্যতম প্রধান নাগরিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ ঠিক ভাবে প্রয়োগ করে নিজের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করতে পারি নাই আজকে পর্যন্ত।
নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি স্বাধীনচেতা মানুষের মধ্যে একধরনের রোমান্স কাজ করে কারন এই পদ্ধতিই পারে তাদের নিজের, জাতির এবং রাষ্ট্রের কাঠামো ঠিক করতে এবং নিজের ভালো মন্দ অন্যের হাতে তুলে দিতে।
সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে। তাই যখনি পৃথিবীর যেই প্রান্তেই হোক অবাধ মুক্ত ও প্রহসন ছাড়া নির্বাচন দেখলেই সেটার ফলাফল, আপডেট ও নির্বাচনী খবর ও সেখানে মানুষের নির্বাচন কেন্দ্রিক উচ্বাস জানতে খুব আগ্রহ ভরে উঠে মন।
সেটা ভারতের রাজ্যের নির্বাচন থেকে শুরু করে সুদূর ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা , তুরস্ক কিংবা থাইল্যান্ডের নির্বাচনও খুব টানে।
গত কিছুদিন থেকে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের নির্বাচনও গুরুত্বসহকরে লক্ষ্য করেছি তাদের উচ্বাস কিংবা নির্বাচন নিয়ে আনন্দও কিছুটা হলেও কেমন যেন আমাকেও আনন্দ দিয়েছে।
আবার তুরস্কের গতকালের নির্বাচনও অনেক রাত জেগে আপডেট নিয়েছিলাম। এই এক অদ্ভুদ ভালো লাগা কাজ করে যখন দেখি অন্য দেশের মানুষ নিজের নাগরিক অধিকার উৎসাহ নিয়ে পালন করছে।
নিজেরা গত ১০-১২ বছর ধরে না পারি কিন্তু পৃথিবীর অন্য প্রান্তেতো কিছু মানুষ পারছে তাই দেখে হয়তো নিজের না পাওয়া অধিকার ভুলে গিয়েও মন ভালো করার একটা উপায় আমি কিংবা আমার মত এই দেশের অগণিত মানুষ বেঁচে নিয়েছে।
মানুষ বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন মনে হয় আশা। আমরাও অসহায় বাংলাদেশিরাও বুক ভরা আশা নিয়ে বেঁচে আছি কোন একদিন হয়তো নাটের গুরুদের নাট গুলো ঢিলে হয়ে পড়বে আর ভেঙে পড়বে তাদের মিথ্যা তাসের ঘর মুক্তি ভাবে জনতা বুজে নিবে তাদের নাগরিক অধিকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫