
বাংলাদেশ নেপালে জল বিদ্যুৎতে ইনভেস্ট করতে চায় কারণ সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কম। আর নেপাল যেহেতু বাংলাদেশের খুব কাছে(সব চেয়ে কাছের সীমান্ত ২৫ কিলো ) তাই সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে ভারত হয়ে ট্রানজিট দিয়ে নিয়ে আসলেও তেমন বেশি খরচ পড়বে না সব ফি দিয়েও। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল এত কম টাকার বিদ্যুৎ বন্ধুদেশ(!) বাংলাদেশ ব্যাবহার করুক সেটা একজন শুভাকাঙ্ক্ষী দেশ হিসেবে ভারত চায়নি। ভারত জানিয়ে দিলো ট্রানজিট এরিয়া তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চিকেন নেকে(!) এখান দিয়ে খাম্বা বসিয়ে তার টানলেও নাকি অনেক নিরাপত্তা ঘাটতি দিবে। রোড কিংবা ট্রেন ট্রানজিটতো দুর কি বাত ।
তারমানে কি শুভাকাঙ্ক্ষী ভারত আপনাকে বিদ্যুৎ ছাড়া রাখবে?
নু... নু.. নু তাহলেও আপনি ভুল ভাবছেন!
ভারত আসলে বাংলাছবির ভিলেনের মত এত পাষাণ বা পাষাণী না । ভারত তার একটা প্রদেশ ঝাড়খান্ডে আদিবাসীদের প্রচুর উন্নায়নের শর্বি কলা দেখিয়ে উচ্ছেদ করে সেখানে আপনাদের জন্য আদানিকে দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে নেয়। এবং সেই বিদ্যুৎ যেহেতু ভারত থেকে আসবে তাই প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ঘি(থুক্কু!) কয়লা দিয়ে বানিয়ে প্রিমিয়াম দামে বিক্রি করলো আপনাদের কাছে। এই বিদ্যুৎ বিক্রি করে আদানিও খুশি ভারত সরকার ও খুশি এবং বাংলাদেশের সহ-সভাপতিরাও খুশি(!)। বাইদা ওয়ে, এক চুক্তিতে এত পক্ষ খুশি এইটা পৃথিবীতেও বিরল ঘটনাও বটে। (সূত্রঃ ডেইলি স্টার : https://shorturl.at/1RNfu )
ঘটনা-২ঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে ভারতের পণ্য খালাস হয়ে সেই পণ্যর একটি রুট যাবে বাংলাদেশের চিকেন নেক ফেনী হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর আগরতলা । আরেকটি রুট কথা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে ভারতের মিজোরামে । বাইদা ওয়ে ট্রানজিট ফি কত পাবে বাংলাদেশ সেটা ইদের পর জানিয়ে দেয়া হবে । যদিও চট্টগ্রাম বন্দর এমনিতেই খুব ব্যাস্ত বন্দর আমাদের নিজ দেশের পণ্যই খালাস করতে অনেক সময় লেগে যায়। বন্ধু দেশের পণ্য আসলে কার গুলো আগে খালাস হবে বা বন্দরের নিরাপত্তা কীভাবে বিধান হবে সাধারন জনগণের জানা নেই। কারণ বড় বিপদ রাসেল বাইপার নিয়ে জনগণ চিন্তা করে কুল পায় না এই সব হাবিজাবি বিষয় নিয়ে ভাবার টাইম না।
ঘটনা-৩ঃ বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি বর্ডার থেকে মেঘালয়ের তুরা অঞ্চল পর্যন্ত আরেকটি রেল ট্রানজিট ভারত দাবি করে বসে আছে । এই ট্রানজিট রুট হবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এলিপ্যান্ট নেকের উপর রেল ট্রানজিট। যেটা দিয়ে নির্বিগ্নে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের দুই অঞ্চলে ট্রেন আসা যাওয়া করবে।তাদের দাবি মোতাবেক এই রুটে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে রুট ছিল তাই এটাকে আবার একটিভ করা তাদের দুই অঞ্চলের(ভারতের) মানুষের দাবি (সূত্রঃ আনন্দবাজার : https://shorturl.at/yNXFk )
এত কিছু পিয় বনডুর জন্য করার পর ও যখন ভারত আমাদেরকে বলে বসে "ইউর পারফর্ম হোয়াট হ্যাপ্নিং " তখন মন চায় মেজাজ খারাপ করে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে লাইনে দাঁড়াইয়া ভারতের ভিসা নিয়া সিক্কিম ঘুরে এসে তাদের কে বলি "ওয়াট ডু ইউ মিন?"
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



