somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাঁটা দ্য ফিল্মঃ একটি নোটিস...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কাঁটা দ্য ফিল্মঃ একটি নোটিস...
.........................

নির্মাণাধীন 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' 'কাঁটা' অামার কাছে একটি যুদ্ধ, একটি ভালোবাসা। 'কাঁটা' টিমেও যারা কাজ করছেন, তাদের পরিশ্রম, ভালোবাসা বা নিজেকে ইনভেস্টই একটি বড় পুঁজি। অামিও জানি, বাজার অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় সহকর্মীদের জীবনের অর্থনৈতিক মোকাবেলা অাছে, জীবন-যাপন বোঝাপড়া অাছে। অার 'কাঁটা' তুলনামূলক যাকে 'লো-বাজেট ফিল্ম' বলে, 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' এ গোত্রেরই ছবি হতে যাচ্ছে। তবু 'কাঁটা' টিম ছবির প্রত্যেকটি মেম্বরের সঙ্গে অর্থনৈতিক বোঝাপড়া পরিষ্কার করে নিতে চায়। বোঝাপড়া পরিষ্কার ছাড়া কেউ এ ছবিতে কাজ করুক, অামি চাই না। অামার চাওয়াই চূড়ান্ত প্রযোজ্য, 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' এ।

টোটাল নির্মাণ বাজেট থেকে অানুপাতিক হারে রেমুনারেশন ধার্য্য হবে, অবশ্যই উভয়পক্ষের অালোচনা সাপেক্ষে। কাজে অাত্মসন্তুষ্টি থাকা দরকার। 'কাঁটা'র বাজেট থেকে যারা অর্থ পাবেন যা যাদের নাম ছবির টাইটেলে যাবে, তাদের কাছে 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' যদি খুব বড় কিছু না হয়, 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' তার কাছে কিছু অাশাও করতে পারে না। যাদের কাছে বা যার কাছে লো-বাজেটের অানুপাতিকতার অর্থ কম গুরুত্বের মনে হবে বা সর্বোপরি যাদের কাছে বা যার কাছে 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' বিশেষ বড় কিছু হয়ে উঠবে না, 'কাঁটা'ও তার কাছে বা তাদের কাছে কিছু চাইতে পারে না। চা্য়ও না।

লো-বাজেট কন্ডিশন যাদের কাছে মুখ্য, কাঁটা টিম কখনো তাদের অংশগ্রহণ চায়নি, চায়ও না, কারণ, অামাদের ছবির নির্মাণ বাজেটটিই বেশি। কারণেরও কারণ অাছে, সেই কারণ তো ব্যাপক। অামরা পুরান ঢাকার একাংশে ১৯৬৪, ১৯৭১ ও ১৯৮৯-৯০ সালের বাস্তবতা তৈরি করে কাজ করতে যাচ্ছি। অর্থাৎ, এখন থেকে ৫৪, ৪৭ ও ২৮ বছর অাগে ভূতের গলিতে কি ঘটছিল, সেই গপ্পো বর্ণিত হবে। এটা সম্পূর্ণতই পুরান ঢাকার রিয়েলিটি...

'কাঁটা টিম'ও বুঝে নিতে চায়, ছবির শরীরে কার কার পরিশ্রম, ভালোবাসা, ত্যাগ কতটুকু জোটে। কেবল যাদের ভালোবাসা অাছে 'কাঁটা'র জন্য, যারা অকাতরে পরিশ্রম দিয়ে যাবে, যারা 'কাঁটা দ্য ফিল্ম' টিমের প্রাণপ্রবাহের অংশ হয়ে উঠবে, তারাই উঠুক।

তাদের জন্যেই রাখি প্রাণ, এই হিম হিম হাওয়ায়। হাওয়া পৌঁছে যাক তার তার কাছে...

টোকন ঠাকুর
নির্দেশক
৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
কাঁটা ক্যাম্প টু, বড় মগবাজার

....................
হাতিরঝিলে বিকেলবেলা
ফটোগ্রাফিঃ হোসেইন অাতাহার সূর্য


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×