অনেক দিন আগে যখন সংসদের মাঠে এবং সিঁড়িতে লোক জনের প্রবেশ ছিল, তখন এ রকম এক রস ওয়ালার সাথে সাক্ষাত হয়েছিল। সেই রসওয়ালা যে রস বিক্রি করেছিল তা খেয়ে আমার এক বন্ধু সুরু করে দিয়েছিল মাতলামি। রসওয়ালার দোষ দেব না। দোষ ছিল আমার বন্ধুর। তার খাওয়ার পরিমানটা বেশি হয়ে গেছিল। আমি সে রস খেতে পারিনি গন্ধের কারনে। অর সে রস এর খাঁটি বাংলা নাম হচ্ছে তাড়ি। অনেকেই হয়ত শুনে থাকবেন এই রসের কথা এবং এই রস খাওয়া নিয়ে রসালো সব কথা।
তো সেদিন সেই রসওয়ালাকে দেখে আমার খেজুরের রস খেতে ইচ্ছা করল। যেহেতু পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল তাই রসওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে নিলাম রস ভাল কিনা অর্থাৎ তাড়ি কিনা? জানা গেল যে না আমাদের সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই। রসওয়ালার ভাষ্য মতে সে কোনো আজেবাজে জিনিষ বিক্রি করে না।
রস খাওয়ার পর অবশ্য রসওয়ালার বক্তব্যের সাথে এক মত না হয়ে পারলাম না। যে বস্তু সেদিন খেয়েছিলাম তা কখনই গাছে উৎপাদিত হতে পারে না। কৌতুহলি হয়ে রিক্সাওয়ালাকেও অফার করলাম এক গ্লাস। সে খেয়ে বলল যে পানি+ট্যাবলেট+স্যাকারিন এর সংমিশ্রনে এই রস এর উদ্ভব। রসওয়ালা এ বক্তব্যের সাথে দৃড় ভিন্নমত পোষণ করলে এবং এ বক্তব্যে উগ্র প্রতিবাদ করতে উদ্দত হলে আমরা দ্রত রস এর দাম শোধ পূর্বক সে স্থান ত্যাগ করি। হবু বউ এর সামনে রসওয়ালার সাথে ঝগড়া করাটা সেদিন আমার কাছে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়নি।
মাঝে মাঝে ব্লগে দেখি ব্লগার সাথিরা বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য চেয়ে থাকেন। আমার কদিন থেকে খেজুরের রস খাওয়ার খুব শখ হয়েছে। কেউ যদি আমাকে ঢাকা শহরে টাটকা খেজুরের রসের কোনো সন্ধান দিতে পারেন তো খুব উপকার হয়। এর বিনিময়ে আমি আপনাকে আমার বাসায় এক বেলা কোরমা পোলাও খাওয়াতে রাজি আছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




