somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গায়েবিভাবে মামলায় জড়ালে সুবিধা কার!

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সারাদেশে নৃশংসতমভাবে পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ সহ সারাদেশে সংঘটিত ন্যাক্কারজনক অপরাধ সমূহ ঘটতে থাকা এবং এসব জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদে বিবেকবান মানুষ মাত্রই যখন সোচ্চার ও উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই "ছয় মাস ধরে কারাগারে থাকা ব্যক্তিরাও আসামি" "বাদি বলছেন, আসামিদের দিয়েছেন প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক নেতারা"

এমন সব রিপোর্ট মানুষকে যেমনি হতবাক করেছে তেমনি শঙ্কিত হতে হচ্ছে এমন সব গায়েবিভাবে মামলায় জড়িত করার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা তা ভেবে!

কারণ, এলোপাতাড়ি মামলা দেওয়া কিংবা কোন মতাদর্শের বিবেচনায় গণগ্রেফতার ন্যায় বিচারের কোন মাপকাঠি তো নয়ই বরং অন্যায়/প্রহসনের পথকেই প্রশস্ত করে। ফৌজদারি আইনের দর্শন হলো: এই আইনের অধীনে কোনো মামলা হলে তা সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে শতভাগ প্রমাণ করতে হয়৷ কোনো সন্দেহ রেখে কাউকে শাস্তি দেয়া যায় না৷ আসামিরা সব সময়ই ‘বেনিফিট অফ ডাউট'-এর সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ কারণ বিচারে ন্যূনতম সন্দেহ রেখেও কাউকে সাজা দেয়া যায় না৷ অপরাধ প্রমাণ মানে শতভাগ প্রমাণ নিশ্চতকরণ৷

আবার মনে রাখতে হবে, মামলা প্রমাণের দাবী বাদীর। আসামীকে তার নির্দোষিতা প্রমাণের আবশ্যকতা নেই। প্রসিকিউশন পক্ষকেই আসামীর অপরাধ প্রমাণ করতে হবে, ব্যর্থতায় আসামী খালাস পাবে। তাই শুধু মামলা করার জন্য মামলা না করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনা উচিত। অহেতুক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেফতারের ফলে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হবেন এবং হয়তো বিচারে খালাসও পাবেন। কিন্তু ন্যাক্কারজনক এসব ঘটনার সহিত সম্পৃক্তদের সনাক্ত করা কিংবা বিচার যদি নিশ্চিত না করা যায় তাহলে দায়ভার কার?

আইন প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায়ই আসলে আইনের চরিত্রকে প্রকাশ করে৷ আইনের ফাঁকফোকর, অপপ্রয়োগ, প্রয়োগ না হওয়া কতগুলো সংস্থা বা বিভাগের ওপর নির্ভরশীল, তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা জরুরি। শুরুতেই যদি গলদ থাকে তাহলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার মাধ্যমে তার সুবিধা দুষ্কৃতকারীদের পক্ষেই যাবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আইন প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকার কারণেই পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাসকে বিনা কারণে প্রকাশ্য-দিবালোকে শত শত মানুষ ও আইনরক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করেও মাত্র দুজন আসামির ফাঁসি নিশ্চিত করা গিয়েছিল!

- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (MT Ullah)
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×