জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টে নাম পরিবর্তন বা সংশোধন বা যে কোন তথ্যের ভুল সংশোধনের কাজে প্রয়োজন হয় 'এফিডেভিট বা হলফনামা'র।
এফিডেভিট বা হলফনামা যেভাবে সম্পাদন করতে হয়
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে । হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে। নিয়ম হচ্ছে যিনি হলফনামাটি করলেন তিনি নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার হলফনামাটি সম্পর্কে সত্যপাঠ করবেন। তখন নোটারি পাবলিক বা ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামাটি যাচাই-বাছাই করে এর ওপর স্বাক্ষর দেবেন এবং একটি বিশেষ সরকারি সিল ব্যবহার করে এতে ক্রমিক নম্বর বসাবেন। হলফনামাটির একটি ফটোকপি তিনি রেখে দেবেন।
সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্য্ই সংশোধনের স্বপক্ষে যথাযথ প্রমানাদি দেখাতে হয় এবং ফটোকপি জমা দিতে হয়।
তবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। অর্থাৎ হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) তা প্রথমে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে এবং নোটারির সত্যায়নটি আবার প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। যাকে বলা হয় কাউন্টার সাইন।
তবে, যে সব ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হইতে এফিডেভিট করার বাধ্যতামূলক নিয়ম না থাকলে আপনি আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে নোটারীর মাধ্যমেও করতে পারেন।
এফিডেভিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে একজন আইনজীবীর সহযোগিতা নেওয়া উত্তম। এবং এফিডেভিট নোটারীকৃত করার ক্ষেত্রে আইনজীবী কর্তৃক সত্যায়ন ও স্বা্ক্ষরও লাগে।
মনে রাখতে হবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের হলফনামা যাচাই-বাচাই তথা ভেরিফেকেশন হয়। তাই অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করতে হয়।
-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( বিকাল ৪- রাত ৮ টা)
* ৯০ সেকেন্ডের বেশি কথা বলতে হলে চার্জ প্রযোজ্য
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১