


নানান ইতিবাচক ও নেতিবাচক কারণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে মোবাইল কোর্টকে ক্ষমতা দেওয়া, থানায় মামলা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া এসবের পাশিাপাশি আরেকটি বিষয় হচ্ছে আইনজীবীদের পাশ কাটিয়ে টাউট, প্রতারক এবং প্রতারকচক্র মামলা পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া!
কারণ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার এর ৮(৫) ধারায় বলা হয়েছে
অধীন সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি নিজে বা তদকর্তৃক নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন। অথচ, প্রচলিত দেওয়ানী কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধিসহ পদ্ধতিগত সকল আইনের মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীদের বিষয়টি সুষ্পষ্টভাবে আসলেও এই আইনে অজ্ঞাত কারণে ‘নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন’ বলে আইনজীবীদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বিচার কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবেই টাউট, প্রতারক এবং প্রতারকচক্রের দৌরাত্ম বাড়বে। কারণ, আদালতের পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগকে বিচারের সুযোগ দেওয়ায় সেখানে কে আইনজীবী বা আইনজীবী নয় তা ক্লায়েন্ট কর্তৃক সনাক্ত করা দৃরূহ হয়ে পড়বে এবং ভূমি অফিস/সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস/থানার আশপাশে পায়চারি করা প্রতারক চক্র মামলা শুনানির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানির এক অবারিত লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে না তো?
এই ধারায় মূলত কেউ বেআইনীভাবে দখলচ্যুত হলে কিভাবে প্রতিকার পাবেন তা বলা হয়েছে। যা অনেকটা এখন ফৌজদারি কার্য
বিধির ১৪৫ ধারায় গৃহিত পদক্ষেপের মতো। এখানে বলা হয়েছে আদালত কা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যাতিত দখলচ্যুত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এখানে বিজ্ঞ আইনজীবী শব্দটা আসাটা জরুরি ছিল। আইন পেশাকে শ্রদ্ধা করে বা আইননাঙ্গনের সহিত সম্পৃক্ত অভিজ্ঞ কোন প্রফেশনাল ব্যক্তি যে ড্রাফটির সহিত যে জড়িত ছিলেন না এটি তারই প্রমাণ বহন করে।
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (এম টি উল্যাহ)
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




