somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগ ভিত্তিক সামাজিক প্রকল্পের আশ্চর্য অভিজ্ঞতা এবং একাত্তরের চিঠি প্রকল্প রিভার্স প্রকল্প সমাপ্ত করায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান

০৫ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রকল্পের শুরু যেভাবে
গ্রামীন ফোন-প্রথম আলোর একাত্তরের চিঠির সফটকপি না পেয়ে ১৫ এপ্রিল, ২০০৯ এ নিজেরা টাইপ করে এর সফটকপি বানানোর জন্য প্রস্তাব করি । সারা পৃথিবীজুড়ে চলছে সোশাল ওয়েবের জয় জয়কার । হাজার হাজার ইন্টারনেট ভিসিটরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসে তৈরী হয়েছে উইকিপিডিয়া যা এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার কে হার মানিয়ে দিয়েছে । বিন্দু বিন্দু জলে হয় মহা সিন্ধু - এই প্রবাদের প্রমাণ হিসেবে তৈরী হয়েছি টেকনোরাতি বা ডিগে র মত নিউজ সাইট, ফ্লিকারে র মত ছবির পোর্টাল । বাংলা ব্লগারেরা যদি সবাই ১/২ পাতা করে টাইপ করে ফেলি তবে কেন দেড়শো পাতার একটা বই ডিজিটাইজড হয়ে যাবে না?

আমার পক্ষে এতগুলো পৃষ্ঠা টাইপ করা সম্ভব ছিল না বলে ভেবেছিলাম এটি প্রস্তাবনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়ে যাবে । কিন্তু আমি দেখেছি আমরা বাঙালিরা যতটা ভাবি তার চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ । সে কারণেই একাত্তরে পাকিস্তানী পেশাদার সেনাবাহিনীকে মাত্র নয় মাসেই ঠেকিয়ে দিয়েছিল মজুর -চাষা-ছাত্র-সৈনিকেরা একতাবদ্ধ দল, আর বন্যা-সাইক্লোনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ত্রাণকর্ম বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া
পরদিন থেকে ব্লগে একাত্তরের চিঠি ডিজিটাইজ করার বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পাই । স্ক্যান করে ফেসবুকে একাত্তরের চিঠির গোটা বিশেক পৃষ্ঠা উঠিয়ে দেয় ব্লগার পথিক । আমি কিছু টাইপ করি । টাইপ করে ব্লগার অরণ্যচারী । এর পর পর নিভৃতচারী ব্লগার পাতলা খান যেটা করে তা রীতিমত অবিশ্বাস্য । সে নতুন টাইপ শুরু করেছে অথচ একটির পর একটি পাতা সে ডিজিটাইজ করে গেছে। অথচ নিজের নামটি সেখানে দেয়ার লোভ দেখিনি । নিজেই আমার দায়িত্বগুলো তার কাঁধে তুলে নিতে থাকে । মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার আবেগটা আমি ভালবেসে ফেলি।

একাধিক ব্লগার যখন এতে আগ্রহ দেখাচ্ছিল তখন সমস্যা হলো প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে । কারণ একাধিক ব্লগার একই পৃষ্ঠায় ভুলে কাজ করলে শ্রমটাই মাটি । প্রকল জ্বিনের বাদশা যখন কমেন্টে বইয়ের দুটো চিঠি টাইপ করে দিয়েছে তখন টের পেলাম একটা ব্লগে নিয়মতি লিষ্টের আপডেট না দিলে কয়টা চিঠি হলো আর কয়টা চিঠি বাকি তা বোঝা যাচ্ছে না । পুরো বইয়ের স্ক্যানটি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও যাচ্ছিল না ।

পাতলা খান পুরো বইকে স্ক্যান করে ইমেইল করলো আমাকে । সঙ্গে সঙ্গে গুগল ইমেজে চিঠিগুলো তুলে দিলাম । সামহোয়ারইনের পুরনো ব্লগার রুবেল শাহ যোগ দিল এবং অনেকগুলো চিঠি টাইপ সে করেছে । ফা্রুক হাসান নামের আরেক ব্লগারের সঙ্গে পরিচয় এই প্রকল্পে আকাঙ্খা দেখে । টাইপ করা চিঠি পেলাম মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) এর কাছ থেকে ।

ব্লগ ভিত্তিক প্রকল্পের ব্যবস্হাপনা
ব্লগে স্ট্যাটাস আপডেট দেয়াটা বিরাট মুশকিলের কাজ । সবাই তার ব্লগে টাইপ করা চিঠি তুলে দিতে থাকলেও কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকল্পকে নিয়ন্ত্রন করা না গেলে মুশকিল। আমি নিজেই প্রকল্পের প্রস্তাবনার পাতাটা আপডেট করছিলাম । কিন্তু সমস্যা হলো স্ট্যাটাসের জন্য আমার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে যখন কিছুদিনের ব্লগে আসতে পারিনি, স্ট্যাটাস ও জমে গেল । অনলাইনে খুজছিলাম স্প্রেডশিটের মত কিছু যা যে কেউ আপডেট করতে পারে । এডিটগ্রিড ডট কমে সেটা পেলাম এবং তখন থেকেই যে কোন ব্লগার সেখানে তার কাজের আপডেট দিতে পারে ।


কপিরাইট অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত
একাত্তরের চিঠি বইটির ডিজিটাইজ করা বা নিজেরা টাইপ করার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল কপিরাইট। হয়তো একারণেই আমাদের সদস্য রুবেল সামুর কাছে প্রকল্পটি স্টিকি করতে অনুরোধ করলেও কোন সাড়া মেলেনি। গ্রামীন-প্রথম আলো কখনোই নিজ থেকে ইউনিকোড টেক্স্ট উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয় নি । অতি সম্প্রতি গ্রামীণ ফোনের গ্রাহকদের জন্য ৭১ এর চিঠিগুলো এখন মোবাইল ফোনে ডাউন লোড করতে দেয়া হচ্ছে তবে ৪০ টাকা চার্জ এবং ভ্যাট দিতে হবে । সিনিয়র ব্লগার রাগিব সহ অনেকেই কপিরাইটটি অনৈতিক বলে একে অস্বীকার করতে সমর্থন জানিয়েছেন । কপিরাইট বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রকল্প পাতা দেখুন । উল্লেখ্য টাইপ করা একাত্তরের চিঠির প্রতিটি পাতার টেক্সট কপিরাইট মুক্ত ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং যে কোন ব্লগ এই পৃষ্ঠাগুলো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে।

প্রকল্প সমাপ্ত করতে আপনার অংশগ্রহণ প্রয়োজন
প্রকল্পে মোন ১৩ পৃষ্ঠা ভুমিকা বাদ দিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার চিঠিকে ৩ টি খন্ডে পিডিএফ/ওপেন অফিস ফর্ম্যাটে সংকলনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে পাতলা খান । তবে পাতলা খান সম্ভবত: পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়েছে ।

দ্বিতীয় খন্ড এবং তৃতীয় খন্ডের চিঠিগুলোর গোটা তিরিশ পৃষ্ঠা এখনো বাকি । প্রকল্পের লাইভ আপডেট পাবেন এখানে: http://www.editgrid.com/user/torpon/একাত্তরের_চিঠি_কন্টেন্ট_প্রকল্প.html আমি নিজে কম সময় দিতে পারছি বিধায় আমি আশা করবো আপনারা প্রত্যেকে ১ টি পৃষ্ঠা করে (যদি একাধিক পৃষ্ঠা জুড়ে চিঠি থাকে তবে পুরো চিঠিটি) টাইপ করলে ১ দিনের মধ্যে প্রকল্প শেষ হয়ে যায় ।

প্রকল্পে যোগদানের নিয়ম কানুন জানতে একাত্তরের চিঠি রিভার্স প্রকল্পের মুল পাতা দেখুন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:১০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×