তখন ভালবাসা ছিলো। মানুষের প্রতি মানুষের অন্তরে মায়া ছিলো। শান্তি ছিলো... অভাব ছিলো তবুও মুখে ছিলো মায়াবী হাসি।
মানুষ প্রাণখুলে হাসতে জানতো। যেন সরলতায় ভরা ছিলো তাদের পৃথিবী।
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে নিস্তব্ধ রাতে দুর দুরান্ত থেকে ভেসে আসা মায়াবী বাসির সুরে মুগ্ধু হতো গ্রামের মানুষ।
মাফলার ক্যাথা চাঁদর জড়িয়ে রাতভর যাত্রাপালা দেখতো। সেই অভিনয়ে তাদের প্রাণ জুড়াতো। হাত তালি হতো।
প্রেমিক প্রেমিকারা দুর থেকই চোঁখের ইসারাতে লাজুক লাজুক ভঙ্গিতে প্রেম করতো। কাছে যেতে লজ্জা পেতো.. হাতে হাত রাখাটাও ছিলো যেন অনেক লজ্জার।
চিঠির আদান-প্রদান। ভাল ছিলো কিন্তু অনেক।
বাবা সরকারী চাকরী করার কারনে অনেক আগেই স্ব-পরীবার নিয়ে চলে এসেছিলেন রাজশাহীতে। ঠিক কত ছোটতে রাজশাহীতে এসেছিলাম মনে নাই।
তবে বছরে একবার হলেও কিন্তু গ্রামে যাওয়া হতো সে সময়.... অনেক আনন্দ হতো।
অপেক্ষায় মাস গুনতাম কবে আবার গ্রামে যাওয়া হবে। যেন মাস গুনতেও অনেক মজা লাগতো সে সময়।
কিন্তু গ্রামে এখন আর সেই মজার মানুষগুলো খুজে পাওয়া যায়না। তারাও এখন অনেক ডিজিটাল হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে সেই সরলতা তেমন একটা আর পাওয়া যায়না। স্টার জলসা তাদের আচার আচরন পরীবর্তনে ব্যাপোক সাহায্য করেছে; বোঝা যায়।
যদিও এখন তেমন একটা গ্রামে যাওয়া হয়না কিন্তু তবুও গ্রামের জন্য বুকের মাঝে অন্যরকম এক অজানা মায়া কাজ করে। সময় পেলেই গ্রাম নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে... ঘুরতে ভাল লাগে ❤️❤️❤️