সাম্প্রতিককালে প্রোফাইল পিক চেঞ্জ করার পর থেকে সবচেয়ে বেশী যে প্রশ্নটি আমার ফেসবুক ইনবক্সে বা ব্লগে আসছে; তা হচ্ছে কি করে আমি বাংলায় অ্যাম্বিগ্রামটা করেছি। আমি সবজায়গায় একই কথা কপি-পেস্ট করছি : For Details, plz contact বোকা ছেলে । জটিল কঠিন অ্যাম্বিগ্রাম যার কাছে ছেলের হাতের মার্বেল, সেই বোকা ছেলের আজকে …… তম জন্মবার্ষিকী। (ফাঁকা রাখলাম কারণ আসল বয়স জানিয়ে তার বিয়ের বাজার নষ্ট করতে চাই না। গোপনে খবর পেয়েছি সামুর যাবতীয় বিয়ের পোস্ট বোকা ছেলে আগ্রহ নিয়ে পড়ে।) সবাইকে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ!
আর কেউ গান ধরুক আর না ধরুক, আমি কিন্তু ধরলাম!(খুক খুক)
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
হ্যাপি বার্থডে টু বোকা ছেলেএএএএএএ
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ!
এখন বোকা ছেলের প্রিয় গান ছাড়ি। শীলা কি জওয়ানী!
বোকা ছেলে যে কারণে বোকা নহেঃ
*দিন দুনিয়ার খবর বোকা ছেলের কাছে এসে তার পোষা এলিয়েন ঘটনা ঘটার আগেই দিয়ে যায়। তাই খবরে তার মাথা গিজগিজ করে। কিছু জানতে হলে সবাই বিবিসে.কমে নজর বুলায়, আমি টাইপ করি বোকাভাই.কম।
*সিনেমা শিল্প যখন শুরুও হয়নি, তারো আগে থেকে বোকা ছেলে স্বপ্নে মুভি দেখা শুরু করেছে। মুভিখোর বা মুভিপাগলা টাইটেল তাকে অনাসয়ে দেয়া যাবে।
*‘কলম ধরলে হাই উঠে’, ‘লেখার আগে কান্না আসে” এই জাতীয় সমস্যা নিয়েও সে চমৎকারভাবে লিখে ফেলেছে কেনিয়া তে তার সিংহের লেজে প্রায় শিকার হওয়ার গল্প । খাঁচার ভিতরে ঢুকে থাকায় সে যাত্রায় রক্ষা।
*ওজন কমাতে পাবলিক যায় জিমে, বোকা ভাই যায় কেওকারাডং। শুনছি গ্রীন হাউজ এফেক্ট চরমে উঠে বরফ একটু গললে সে যাবে এভারেস্টে।
বোকা ছেলে যে কারণে অবশ্যই বোকাঃ
*মনোযোগী শ্রোতা হবার কারণে সে কাউকেই না করতে পারে না। নিম পাতা খাওয়া মুখে সে সবার কথা শোনে।
*ডাইনে বাঁয়ে সর্বত্র ভূত গিজগিজ করলেও সে ভূতের সংজ্ঞাই জানে না। আমার লেখা আবজাব গল্প পড়ে সে প্রথম জেনেছে ওয়ারউলফ ব্যাপারটা কি।
*মাথাভর্তি পাকাচুলকে সে ভাবে জ্ঞানী হবার লক্ষণ এবং সব জায়গায় চেঁচিয়ে তা বলে বেড়ায়। এখনো তাকে আমি বুঝাতে পারিনি, ফর্সাদের সবাই পছন্দ করে বটে তবে কেশ পাকিলে কাঁদতে হয়।
উপহারঃ
গুগল মামা বোকা ভাইএর পেয়ারের দোস্ত। তাই বাধ্য হয়ে নজর দিলাম নিজের ভ্রমণবাক্সের দিকে। (গানের ভলিউম বাড়ায়ে দিলাম)
নেপাল থেকে আনলাম অন্নপূর্ণার শুভ্রতা
দার্জিলিং এর কাঞ্জনজঙ্ঘার পবিত্রতা
ভূটানের মেঘমালা
ব্যাংকক থেকে আর কি আনবো? নাও মোমের অ্যাঞ্জেলিনা জোলি! আর পাতায়ার উপহার আমি তোমার কাছে মেইলে পাঠায়ে দিবখন।
কুয়ালালামপুরের বিখ্যাত বেইলী ফ্যাক্টরীর চকলেট
আর লাংকাউয়ির শীতল সৌন্দর্য
ঘুরতে ঘুরতে জয়পুরের আকাশে দেখলাম একঝাঁক মুক্ত কবুতর
নৈনিতাল থেকে শান্তি এনেছিলাম বাক্স ভরে
আর শেষবেলায় রইলো অহংকারী মানালী।
ইয়ে, পয়সার অভাব! কিছু মনে নিও না, একখান পুঁচকা কেকই আনতে পারছি। যে আগে আসবে সে পাবে!
আবারো শুভ জন্মদিন!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:০৩