somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লায়েক লায়েক লাগতেছিলB-);)

০৪ ঠা মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিজ্ঞেস করলাম, ‘হোয়াট’স ইউর মেজর?’
কি ডিজাইনিং যেন বলল, ঠিক বুঝলাম না।
বললাম, আই’ম স্যরি, হোয়াট ডিজাইনিং? সে আবার বলল।
কানে ঢুকে নাই নাকি নাকি মাথায় ঢুকে নাই সেইটাও বুঝলাম না। :| আর তো জিজ্ঞেস করা যায়না।
না বুঝেই বললাম, ওয়াও! দ্যাট’স গ্রেট!!! ( হুদাই ভাব লইলাম আর কি B-) )
ভিতরে ভিতরে হাতড়াচ্ছিলাম, আমার জানামতে কোন সাবজেক্টের সাথে ওর বলা সাবজেক্ট ম্যাচ করে কিনা। পেলাম না হাতড়ায়া :( । কথা বলছিলাম এক চাইনিজের সাথে, আমার পিংপং(টেবিল টেনিস) খেলার পার্টনার। আমাদের ভার্সিটির চ্যাম্পিয়ন।

ডর্মিটরির এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আছে একজন, মালয়েশিয়ান মেয়ে। হালকা পাতলা খাতির আছে তার সাথে;)। ঐ চাইনিজ ছেলের সাথে একই সাবজেক্টে পড়ে। একদিন কথায় কথায় তাকে জিজ্ঞেস করলাম একই কথা, তোমার সাবজেক্ট কি? সে বলল। আবারো আমার এন্টেনার উপর দিয়া গেল। ব্যর্থ!!!/:)

তার কয়েকদিন পর মালয়েশিয়ান মেয়েটা আমাকে জিজ্ঞেস করল, তাদের একটা প্রজেক্ট আছে, সেখানে একজন ইউজার লাগবে। আমি সেই ইউজার হতে রাজি আছি কিনা।
বললাম, আমার কোন আপত্তি নেই, তবে সময়ের একটু অভাব, পরবর্তী উইক এন্ডের আগে সময় দিতে পারব নাB-)। তাদের তাড়া ছিল, আমি তাদের বললাম, আমার ইন্ডিয়ান রুমমেট এসব কাজে ইন্টারেস্টেড, তাকে বলে দেখতে পারি। মেয়েটা জানালো সে তাদের গ্রুপের অন্যদের সাথে আলাপ করে জানাবে। পরে আমাকে জানালো আমার জন্যে অপেক্ষা করবে তারা।

নির্দিষ্ট দিনে তাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম, সিউল শহরের বাস সিস্টেমের উপর তারা একটা প্রতিবেদন তৈরী করবে। তাদের লক্ষ্য, এখানকার বাস সিস্টেমকে আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি করা। গ্রুপে সেই মালয়েশিয়ান মেয়েসহ আমার সেই চাইনিজ পিংপিং ফ্রেন্ড আর একজন কোরিয়ান ছিল। সেখানে আবার জিজ্ঞেস করলাম তাদের সাবজেক্টের কথা। চাইনিজ পোলা জবাব দিল, তুমি না আগে একবার জিজ্ঞেস করছিলা??:| মালয়েশিয়ানও তাল মিলায়া বলল, আমারেও জিগাইছে। আমার আর কি বলার আছে, বললাম, ভুইলা গেছি!! /:)সেই আজব সাবজেক্টের নাম ছিল ‘ইন্টারেকশন ডিজাইনিং’।

আমার কাজের তিনটা ধাপের মধ্যে প্রথমটা ছিল, আমাকে একটা বাস নাম্বার আর জায়গার নাম দেয়া থাকবে, আমাকে এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন থেকে বের হয়ে কাংক্ষিত বাস খুঁজে সেখানে যেতে হবে। আমি সাধারণত যাতায়াতের জন্যে সাবওয়ে(পাতাল ট্রেন) ব্যবহার করি, সেজন্যে বাসের ব্যাপারে তেমন একটা ধারণা ছিলনা। আর সেখানে রাস্তার লেন আছে মাত্র ৭/৮ টা!!!
স্টেশন থেকে বের হলেই একটা বোর্ডে সব লিখা আছে কোন লেন দিয়ে কোন বাস যাবে। কিন্তু বোর্ডের ক্ষুদ্র সাইজ, কিংবা আমার চোখের দৃষ্টির বিশালতা যে কারণেই হোক, সেটা আমার চোক্ষে পড়েনাই। আমি এই লেন থেকে সেই লেনে আমার কাংখিত বাস খুঁইজা বেড়াইতেছি:|

কিন্তু, ঘটনা এইখানে না। ঘটনা হইল, আমার দু’পাশ থেকে দুজন শুরু থেকেই ভিডিও করছিল ননস্টপ। সিউল স্টেশনকে সিউল শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। অনেকটা ফার্মগেটের মত। আমার ভাব দেখে কে!!! B-)একবার এই লেনে, আরেকবার ঐ লেনে, কে ভিডিও করতেছে, কে পিছন পিছন দৌড়াইতেছে-হু কেয়ারস!!! ;)আশেপাশের লোকজন হা করে দেখতেছে, কোথাকার কোন লায়েক(!) কিসের না কিসের শ্যুটিং করতেছে সেইরকম ভাব নিয়া। আমার সেই বাস খুঁজে বের করতে লাগছে মাত্র পঁচিশ মিনিট!!মদন আর কারে কয়!!! বাস যখন খুঁইজা পাইছি, মনে হইছে এভারেস্ট জয় কইরা ফালাইছি! নানান পোজে ছবি তুলতেছিলাম হাতে ভিক্টরি সাইন দেখাইয়া!!:D

বিঃদ্রঃ বিখ্যাত ভিডিওখান এখানে দিলাম না জনস্বার্থের কথা বিবেচনা কইরা! পরে দেখা যাইব, পরিচালকরা লাইন ধরছে ফিলিমে সই করানোর লাইগা, বাংলার নায়করা মিছিলে নামছে ভাতের লাইগা, ভিলেনরা নির্বাসনে গেছেগা জানের মায়া লইয়া!! এত বড় সর্বনাশ কেমনে করি কন??!!:D
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×