কি ডিজাইনিং যেন বলল, ঠিক বুঝলাম না।
বললাম, আই’ম স্যরি, হোয়াট ডিজাইনিং? সে আবার বলল।
কানে ঢুকে নাই নাকি নাকি মাথায় ঢুকে নাই সেইটাও বুঝলাম না।
না বুঝেই বললাম, ওয়াও! দ্যাট’স গ্রেট!!! ( হুদাই ভাব লইলাম আর কি
ভিতরে ভিতরে হাতড়াচ্ছিলাম, আমার জানামতে কোন সাবজেক্টের সাথে ওর বলা সাবজেক্ট ম্যাচ করে কিনা। পেলাম না হাতড়ায়া
ডর্মিটরির এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আছে একজন, মালয়েশিয়ান মেয়ে। হালকা পাতলা খাতির আছে তার সাথে
তার কয়েকদিন পর মালয়েশিয়ান মেয়েটা আমাকে জিজ্ঞেস করল, তাদের একটা প্রজেক্ট আছে, সেখানে একজন ইউজার লাগবে। আমি সেই ইউজার হতে রাজি আছি কিনা।
বললাম, আমার কোন আপত্তি নেই, তবে সময়ের একটু অভাব, পরবর্তী উইক এন্ডের আগে সময় দিতে পারব না
নির্দিষ্ট দিনে তাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম, সিউল শহরের বাস সিস্টেমের উপর তারা একটা প্রতিবেদন তৈরী করবে। তাদের লক্ষ্য, এখানকার বাস সিস্টেমকে আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি করা। গ্রুপে সেই মালয়েশিয়ান মেয়েসহ আমার সেই চাইনিজ পিংপিং ফ্রেন্ড আর একজন কোরিয়ান ছিল। সেখানে আবার জিজ্ঞেস করলাম তাদের সাবজেক্টের কথা। চাইনিজ পোলা জবাব দিল, তুমি না আগে একবার জিজ্ঞেস করছিলা??
আমার কাজের তিনটা ধাপের মধ্যে প্রথমটা ছিল, আমাকে একটা বাস নাম্বার আর জায়গার নাম দেয়া থাকবে, আমাকে এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন থেকে বের হয়ে কাংক্ষিত বাস খুঁজে সেখানে যেতে হবে। আমি সাধারণত যাতায়াতের জন্যে সাবওয়ে(পাতাল ট্রেন) ব্যবহার করি, সেজন্যে বাসের ব্যাপারে তেমন একটা ধারণা ছিলনা। আর সেখানে রাস্তার লেন আছে মাত্র ৭/৮ টা!!!
স্টেশন থেকে বের হলেই একটা বোর্ডে সব লিখা আছে কোন লেন দিয়ে কোন বাস যাবে। কিন্তু বোর্ডের ক্ষুদ্র সাইজ, কিংবা আমার চোখের দৃষ্টির বিশালতা যে কারণেই হোক, সেটা আমার চোক্ষে পড়েনাই। আমি এই লেন থেকে সেই লেনে আমার কাংখিত বাস খুঁইজা বেড়াইতেছি
কিন্তু, ঘটনা এইখানে না। ঘটনা হইল, আমার দু’পাশ থেকে দুজন শুরু থেকেই ভিডিও করছিল ননস্টপ। সিউল স্টেশনকে সিউল শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। অনেকটা ফার্মগেটের মত। আমার ভাব দেখে কে!!!
বিঃদ্রঃ বিখ্যাত ভিডিওখান এখানে দিলাম না জনস্বার্থের কথা বিবেচনা কইরা! পরে দেখা যাইব, পরিচালকরা লাইন ধরছে ফিলিমে সই করানোর লাইগা, বাংলার নায়করা মিছিলে নামছে ভাতের লাইগা, ভিলেনরা নির্বাসনে গেছেগা জানের মায়া লইয়া!! এত বড় সর্বনাশ কেমনে করি কন??!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




