ছোটবেলায় পললীকবি জসীম উদদীনের কবর কবিতাটি পড়েছিলাম।আমাদের ক্ষুলের এক টিচার এত সুন্দর করে কবিতাটি আবৃতি করত যে চোখ দিয়ে পানি চলে আসত।এক বৃদ্ধ দাদু তার নাতিকে আশেপাশের প্রিয়জন হারানোর স্বৃতি তুলে ধরেছিলেন কবিতাটিতে।আমি যখন কবিতাটি পড়ি তখনো প্রিয়জন হারানোর কষ্টটা বুঝতাম না তেমন।আমার জীবনে নিকট আততীয়র মৃততু দেখার অভিগগতা হয় ১১ বছর এ।নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।বড়িতে ঢোকার একটু পর নানুর মা মারা যান।তাকে কবর দেয়া হয়েছিল বাড়িতেই।ছোট থাকায় তখন সামনে থেকে দেখতে পাই নি।মানুষ মরে গেলে যে প্রচণ্ড দুঃখ বোধ আসে সেটা তখনো আমার মাঝে আসে নি।নাইনে পড়ার সময় আমার নানা মারা যান।তখন ই প্রথম আমি একজন মানুষের জীবিত অবস্হায় আস্তিত্ত আর মৃত অবস্হায় আস্তিত্তের পার্থকক বুঝতে পারি।জীবনে প্রথম জানাযা পড়ি আমি তখন।তখন ই কবরের সাইজ এবং শেপ খেয়াল করি প্রথম।কবরটির এক সাইডের দেয়াল ছিল উত্তল।(অনেক সময় রাখা হয় না)আমার আগে ধারনা ছিল মানুষ মরে গেলে কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়।কবরের ভিতর যে বাশ চাটাই দিয়ে ঘরের মত বানানো হয় তা জানতাম না।কবরের গভীরতা হয় প্রায় একজন মিডিয়াম সাইজের মানুষের বুক সমান।লাশ নামানোর জনন দুজন মানুষ কবরে নামে প্রায় ই।লাশ কবরে নামানোর পর অনেকগূলা ১ মিটার উচচতার বাশ আড়াআড়ি ভাবেদিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।মাটি দেয়ার পর অনেক সময় লোহার খাচা দিয়ে দেয় যাতে শায়াল এসে না নিয়ে যেতে পারে।নানার মৃততুর পর আরো কয়েকটা মরন কাছ থেকে দেখেছি।এর মাঝে আমার বড় খালা ও দাদার টা উল্লখখ।বড় খালা মারা যাওয়ার পর আমি প্রথম লাশ বহন করি।সবশেষে একটা কথাই বলব আমরা যেন আল্লাহ পাকের একটা কথা ভুলে না যাই,"প্রততেক প্রানীকেই মৃততুর স্বাদ গ্রহন কর তে হবে"
আরেকটা কথা,আমরা সবাই একবার নিজেদের কবরের স্বরূপ কল্পনা করি এবং সেটা আমাদের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




