হাত কাপছে,ঠিক মত টাইপ করতে পারছিনা।আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা কথাগুলো তোমার মুখ থেকে বের হয়েছে।ভাবছি চিৎকার দিয়ে স্বপ্ন থেকে জেগে উঠব।মধ্যরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খাব।
বুকের বাম পাশটায় হাত দিলাম।হৃৎপিন্ডটা ঢোলের মত শব্দ করে তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।নাহ এটা পরাবাস্তব নয়।ঐ যে দূরে বিছানায় ছোটভাইটা কাদা হয়ে ঘুমিয়ে আছে।একগ্লাস পানি ঢেকে রেখে গেছেন আম্মু ঘুমানোর আগে খাওয়ার জন্য।স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রই আমি সেদিকে।
একটু আগে নাফিসার ফোন এসেছিল।নাফিসা আমার প্রেমিকা।মনটা খুশী হয়ে গেল ওর নাম্বার স্ক্রীনে দেখে ।ওর সাথে আমার কিছুদিন ধরে শীতল সম্পর্ক যাচ্ছে।একটা বিষয় নিয়ে দুজন একমত হতে পারছিলাম না।আমি রাগ করে তাই ওর সাথে কথা বলা বন্ধ রেখেছিলাম কয়েকদিন।আজ ওর ফোন পেয়ে খুব খুশি লাগছিল তাই।
''হ্যালো''
''আয়ন তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমার''
''কি কথা বল'' একটু অভিমানি স্বরে জবাব দিই আমি
''সময় নিয়ে বলতে হবে,তুমি ফ্রি আছ?''
''হ্যা বল কোন অসুবিধা নাই আমি শুনছি''
''তোমার সাথে আমার একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল কয়েকদিন ধরেই।তুমি চাইছিলে না কোনভাবেই ফয়সাল ভাই আমার সাথে যোগাযোগ করুক।আর তোমার এই এক্তরফা অভিযোগ আমি কোনভাবেই মানতে পারছিলাম না।তাই এ কয়দিন অনেকটা তোমার উপর অভিমান করেই আমি তার সাথে নিয়মিত কথা বলি, আর আমার উপলব্ধি হচ্ছে লোকটা সত্যিই আমাকে ভালোবাসে।''
বুকটা ধক করে ওঠে আমার।নাফিসা কি বলছে এসব।
''নাফিসা আমি সরি যে তোমার সাথে আমি ব্যপারটা নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি করেছি,কিন্তু তুমি আর আমি তো আমাদের কমিটমেন্টে ঠিক আছি তাই না??"
অনেক্ষন কোন জবাব দেয়না নাফিসা।তারপর আস্তে আস্তে বলে,
''আমি ফয়সালের ভালোবাসা অনুভব করতে পারছি,আর আমার ভালো থাকার অধিকার আছে ,সেটা যেভাবেই হোক''
নির্বাক হয়ে যাই ওর কথা শুনে আমি।আর একটা কথাও বলতে পারলাম না আমি ওকে।কিছুক্ষন পর ওই ফোনটা রেখে দেয়।আমি বুঝতে পারলাম আমার চোখের কোনা ভিজে গেছে।
আজকের দিনটা ১১/১১/১১
সবাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করছে যেন কোন কারনে দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকে।আমার কাছেও দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকল।কারন আজ থেকে তুমি যে আর আমার রইলে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




