ঈদ এসে প্রতিবার অনেক নতুন কিছু শিখিয়ে যায়। আরে নাহ, আঁতলামি করছি না। ত্যাগ ফ্যাগ কিছু না। প্রতিটা বারই অনেক নতুন নতুন বিষয় উপলব্ধি করি। যেমন, গত বারের কথাই ধরা যাক। এত দিন পর্যন্ত প্রতিটা ঈদেই আমরা সব বন্ধুরা একসাথে মিলে ঘুরেছি, ফুচকা খেয়েছি, রিকশায় চড়েছি, দুয়েকজন আবার চালানোর চেষ্টাও করেছি। আর এই ঈদ, ছ্যাহ... দিনটা কেটেছে রান্নাঘরে আম্মুর সাথে। জ্বাল দাও, পানি গরম কর, আঙ্কেলরা এলে উনাদের কে সেমাই সার্ভ করা ... বাইরে ঘুরতে যাওয়ার চান্সটা পেলাম কখন? এরকম হলে তো ঈদের দিনের চেয়ে সাধারণ একটা দিনই অনেক ভাল।
জানতাম, দুপুর থেকেই কুরবানীর গোস্ত নিয়ে শুরু হবে নয়া হাঙ্গামা। তাই সকাল টা ফ্রী রেখেছিলাম। তাই বলে যে এতটা পেইন নিতে হবে কে জানত? আম্মু এই কষ্ট গত আঠাশ বছর ধরে কেমনে করছে?
আমি কি নারীবাদী? ব্লগে অনেক নারীবাদী পোস্ট দেখি। অনেকের কথাতেই হাসি পায়। নাহ, আমি ওড়না ছাড়া চলতে চাই না, ভয়ের কিছু নাই।
আম্মু ইদানিং আমাকে গল্পের ছলেই শ্বশুরবাড়ির কেমন হবে, কেমন হলে কি হবে এইসব নিয়ে হালকা জ্ঞান দেবার চেষ্টা করে। বুঝতে পারছি, আমার আর বেশিদিন নেই খাঁচায় বন্দি হবার। আকাশে ওড়ার সবটুকু স্বাদ আমাকে খুব দ্রুতই মিটিয়ে নিতে হবে। তার পর শুধু অন্তহীন বন্দিত্ব আর মুক্ত / সুখী থাকার অভিনয়।
আমি ভাল লেখতে পারি না। সবগুলো পোস্ট ই একই বিষয়ে হয়ে যায় যেন কেমনে কেমনে। বসেছিলাম, ঈদের অভিজ্ঞতা লেখার জন্য, আর হয়ে গেল, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের গুষ্টি উদ্ধার। হি হি হি। আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আজ এসব নিয়ে খুব বেশি ভেবে ফেলেছি।
সবার বিরক্তি উৎপাদন করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি আবারো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




