নুতন ম্যানেজার আব্দুল হক কাকা প্রথম দিন অফিসে এসে ঘুরে দেখলেন পুরোটা। নিয়োগ পত্রে স্পষ্ট লেখা আছে 'ম্যানেজার'।
ক্যাশে এসে মনে হল, ক্যাশিয়ারের কাজটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টাকা আদান প্রদান করা...।
কিন্তু পুরো অফিস ঘুরে দেখে তিনি মত পরিবর্তন করলেন। স্পষ্ট বুঝতে পারলেন- সিক্যুরিটি গার্ডের দায়িত্বটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ... পুরো ব্যাংকের টাকা পয়সা হেফাজত করা..।
তিনি গার্ডকে বললেন, "বন্দুকটা আমার কাছে দিন। এখন থেকে আমিই বন্দুক নিয়ে গেটে বসবো... ম্যানেজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই করা উচিত।"
... ম্যানেজার সাহেবের চাকুরী কতদিন থাকবে সে বিষয়ে বিতর্ক থাকা উচিত নয়। তিনি কে, তার কাজ কি, কি বিষয়ে জবাবদিহীতা, কার কাছে জবাবদিহীতা- এ বিষয়ে অজ্ঞতাই তার এমন উদ্ভট আচরণের কারণ।
- তেমনি
পৃথিবীতে প্রত্যেক ব্যক্তিই তিনটি প্রশ্নের জবাব ক্লিয়ার না হয়ে চলতে পারেনা, নতুবা প্রতি পদে পদে তাকে ম্যানেজার আব্দুল হকের মত হোচট খেতে হয়। প্রশ্নগুলো হচ্ছে
১. আমি কে?
হনুমান, কেচো, কুমির, টিয়া ইত্যাদি পশু-পাখির মতই সাধারণ কোন প্রাণী, নাকি মানুষ হওয়ার মধ্যে আমার কোন স্বাতন্ত্র আছে?
২. পৃথিবীতে আমি যে জীবন পেয়েছি তা কোন কাজে, কোন ক্ষেত্রে ও কোন পন্থায় অতিবাহিত করবো? পৃথিবীর বিভিন্ন সম্পদ ও উপরকণগুলো কোথায় ও কিভাবে ব্যবহার করবো?
৩. পৃথিবীতে আমার জীবনের যাবতীয় দায় দায়িত্ব কি মৃত্যুর মাধ্যমেই শেষ, নাকি মৃত্যুর পরও এর কোন জের থাকবে? যদি থাকে, তাহলে কোন কাজ করলে পুরষ্কার, আর কোন কাজ করলে বিপদ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন হতে পারে, একজনের উত্তরে সাথে আরেকজনের উত্তরে তফাত হতে পারে কিন্তু পরিষ্কার একটা উত্তর প্রত্যেকের মাথায় থাকতেই হবে, নতুবা সে চলতে পারবেনা... চলা সম্ভব না।
তবে উত্তর ভুল হলে প্রায়শই সমাজ ও সভ্যতায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে- এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সঠিক উত্তর খুঁজে বের করাও একটি অতি জরুরী কাজ।
I. Mahmud

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




