সময়ের সংলাপ
সময়ের সাথে বাঁচতে-বাঁচতে আমরা ঢেউ
হই,স্রোত হই।সময়ের সংসারে আমাদের
ভাগ-বন্টন বুঝে নেয় কেউ।
কে যে হিসেব রাখে চাষ-আবাদের!
কারো প্রাতরাশে লেবুজল থাকে,কারো শুধু
হাঁটাহাঁটি।ভুঁড়ি বেড়ে যায় ঘুষের দমকে,
ধমকায় কেউ খাঁটি।কেউ তর্কায় লাউ-কদু
নিয়ে।কতজন ডোবে,ভাসে কেউ বুঝি নিজের চমকে।
গাছপালার সাথে পাল্লা দিয়ে সময়ের ছড়ি
দোলে।হাত-পার চেয়ে মাথা ভাঙে বেশী।
খুশি হয়ে কেউ ভোলে,ইসকুলে পড়ি।
সবেতেই যেন ঘাতক সময়,সময়ের প্রতিবেশী।
*
আমাদের কথামালা-১৪৪
পিছিয়ে আছি,পিছিয়ে আছি,পিছিয়ে আছি অনেকখানি
কে-কে আগে,কে যে আগে,তার কি জানি,তার কি জানি
পিছিয়ে আছি ভাব-ভাবনায়,পিছিয়ে আছি কলরবে
সামনে দেখি ছুটছে যারা,তারাই বাঁচে অনুভবে
একটুখানি এগিয়ে গেলেই দু-দিক থেকে ধাক্কা খাই
অকারণে পিছিয়ে পড়া আদালতের পাক্কা রায়
পিছিয়ে থেকেও এগিয়ে যাব আর যে তর সইছে না
ভাগ্যবানের বোঝা উধাও,শরীর আর বইছে না
এগিয়ে কারা,এগিয়ে যারা আয়না দ্যাখো মুখগুলি
জলছবিতে কে-কে বোলায় পরিতোষের সুখতুলি
পারিতোষিক পাচ্ছে ওরা হাজার রকম তোষামোদের
গলায় ঝোলা চেন বলছে ওরা সবাই রোষ-আমোদের
পিছিয়ে পড়েও শান্তি আছে কড়াক্রান্তির হিসেব শেষে
আমরা ঠিক পৌঁছে গেছি অখ্যাতির ছদ্মবেশে।
*
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৯