মুক্ত পেশাজীবি বা ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেকেই ডিজাইনের কাজ করেন। এই মাধ্যমটিতে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি কিছু কৌশলও একজন ডিজাইনারকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। সরাসরি মাধ্যমে কাজদাতারা ডিজাইনার সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন সহজেই। কিন্তু ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এই সুযোগ কম। তাই কাজদাতা কাকে কাজ দিবেন, কার ওপর আস্থা রাখবেন; এসব ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকেন। তাই ডিজাইনারকেও কাজ পাবার ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকতে হবে। নিজের প্রকাশভঙ্গি এমন হতে হবে, যাতে করে কাজদাতা নিশ্চিত হতে পারেন ডিজাইনারের দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সম্পর্কে।
কিছু টিপস বা কায়দা মাথায় রাখলে এ যাত্রায় সফল হওয়া সহজ হবে।
ফ্রিল্যান্সিং : ডিজাইনের কাজে কায়দা জানাও জরুরি
যোগাযোগ থাকুক নিরবচ্ছিন্ন
আদর্শ ফ্রিল্যান্সারদের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ শর্তই হলো কাজদাতার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা। কাজদাতা যখনই কোনো ব্যাপারে জানতে চাইবেন, বা কোনো বার্তা পাঠাবেন; জবাব যেনো দ্রুত দেওয়া যায়। আবার অনেক সময় কাজদাতা কোনো কাজের প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো বার্তা পাঠালে সেটা নিয়ে কোনো অস্বচ্ছতা থাকলে তাকে ফিরতি বার্তায় প্রশ্ন করুন। যে বিষয়ে কাজ করবেন, সে ব্যাপারে পুরোপুরি জেনেই কাজ ধরবেন। তা না হলে কাজ ঠিকঠাক তৈরি করা যাবে না। ফলে অযথাই সময় নষ্ট হবে, কাজদাতাও বিরক্ত হবে। এমনটি হলে সেই কাজদাতার দ্বিতীয় কোনো কাজ পাওয়ারও সম্ভাবনা কম। এর সঙ্গে লেনদেনের ব্যাপারটিও স্পষ্ট করুন।
কাজের ক্ষেত্রে…
কাজের ফরমায়েশ পাওয়ার পরই ছক ঠিক করুন, কিভাবে কাজ সারবেন। কাজের পদ্ধতি বা ধাপ ঠিক করেই কাজ ধরুন। ডিজাইনের মধ্যে যদি আঁকা-আঁকির অংশ থাকে, সেক্ষেত্রে কিভাবে করবেন তাও ঠিক করুন। পরিকল্পনা করে কাজ করলে তুলনামূলক কম সময়ে এবং নির্ভুলভাবে কাজ করা যায়। ডিজাইনের কোনো অংশ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে জুড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন। কারণ ছোট্ট একটি কারণেই আপনার পুরো পরিশ্রম বৃথা হতে পারে।
কাজের সঙ্গে সময়ের পাল্লা
ফ্রিল্যান্সাররা একই সঙ্গে একাধিক কাজদাতার ফরমায়েশ নেন। তাই কাজের ক্ষেত্রে সময়ের পাল্লা দেওয়াটা জরুরী। তা না হলে এমনও হতে পারে, নির্ধারিত সময়ে কোনো কাজদাতার কাজই প্রস্তুত নেই। তাছাড়া কাজ চলাকালীন সময়ে সম্ভব হলে কয়েক জনকে দেখিয়ে নিতে পারেন। কারণ, নিজের কাছে অনেক সময় ছোটখাটো ভুল চোখে পড়ে না।
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল টেকশহর ডটকমে