সালমান তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া নূরানী চেহরা ও বিচিত্র বেশভূষার কল্যাণে আমাদের বন্ধুমহলে জনপ্রিয় একটি চরিত্র। তার আবার কিঞ্চিত কবিতা লিখার অভ্যাস আছে। সে তার এক মামাত বোনকে মনে মনে ভালবাসিলেও পর্যাপ্ত সাহস ও সুযোগের অভাবে প্রেম নিবেদন করিতে বরাবরি ব্যর্থ রহিয়াছে। আমাদের আড্ডায় প্রায়ই সে স্বরচিত কবিতা শুনাইত যাহাতে আমরা অধিক মাত্রায় তার উক্ত মামাতো বোনের প্রতিফলন টের পাইতাম। কবিতার রস সম্পর্কে আমরা বেরসিক হইলেও বিজ্ঞের মত মাথা দুলাইয়া তার কবিতার প্রশংসা করিতে মোটেও কার্পণ্য দেখাইতামনা কারন তা সালমানের পক্ষ হইতে ফ্রি চা খাওয়ার সুযোগ করিয়া দিত। চা এর সাথে টা এর সন্নিবেশ থাকিলে আমাদের মাথা দুলানির সহিত আনন্দের আতিশয্যে শরীর দুলানিও শুরু হইয়া যাইত যাহাতে যে কাহারও ভ্রম হইতে পারে যে নাচন-কুদন ব্যতীত হয়ত সেই কবিতার রসের আস্বাদন হইবে না।
ভালই চলিতেছিল।
বন্ধুর প্রতি কর্তব্য মনে করিয়া একদা আমরা সালমানকে নানা পরামর্শ ও সাহস দিয়া তার মামাতো বোনকে মনের কথা বলিবার জন্য জোর করিয়াই রাজী করাইতে সক্ষম হইলাম। অবশেষে সালমান হেভি মাঞ্জা মারিয়া চলিল তার এতদিনকার মিশন ইম্পসিবলকে পসিবল করিতে। কিন্তু বিধিবাম সালমান ফিরিয়া আসিল তার মামাতো বোনের বিবাহের খবর লইয়া যাহা অতি শীঘ্রই সংঘটিত হইতে যাইতেছে। ভগ্নমনোরথ সালমান আমাদের উর্বর মস্তিস্ক হইতে নিঃসৃত নানা বুদ্ধি-পরামর্শে কোনরূপ কর্ণপাত না করিয়া কয়েকদিনের জন্য বেমালুম উধাও হইয়া গেল।
সালমান বিরহে আমাদের বেশিদিন ভুগিতে হয়নাই। কয়েকদিন বাদেই সালমান তার কবিতার ঝুলি নিয়া উপস্থিত হইল। ছ্যাঁকা খাওয়ার দরুন তার কবিতা অধিক মাত্রায় আমাদের উপর বর্ষিত হইতে লাগিল। চায়ের সাথে আমরা তা গিলিয়া গেলাম তাকে কোনরূপ না ঘাটাইয়া পাছে আমাদের চায়ের কোটা না আবার বন্ধ হইয়া যায়।
ছ্যাঁকা খাওয়ার দশ মাস (আরও বেশি হইতে পারে)পর
সালমান তার কবিতার পান্ডুলিপি ছাড়াই আড্ডাস্থলে বিরস বদনে আসিয়া হাজির। বিষন্ন মনে বলিল, “মিষ্টি খায়া আসলাম”। আমরা অবাক হইয়া গেলাম। মিষ্টিতো কোন সুসংবাদ হইলেই খিলানো হয়। তাহা হইলে কি মিষ্টিতে কোন ভেজাল ছিল যাহা খাইয়া তার টয়লেটের সহিত সখ্যতা হইয়াছে? না তাওতো না। তাহা হইলেতো আড্ডাস্তলে আসিত না।
জানিলাম যে তাহার উক্ত মামাতো বোনের সন্তান হইয়াছে সেই উপলক্ষে মিষ্টি। “বুঝলি”, সালমান আবারও উদাস হইয়া কহে, “হইতে চাইছিলাম বাবা, হইয়া গেলাম মামা”।
আলোচিত ব্লগ
হাদিকে গুলি করলো কে?
হাদিকে গুলি করলো কে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইতিহাসের সেরা ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি আর এমন কে

যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।