somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরীর

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব মানুষ । লিঙ্গান্তরে ভাগ করা হয়েছে নারী পুরুষ । কি আজব রহস্য ঠিক উৎঘাটন করা সম্ভব নয় । স্রষ্টার এই গুপ্ত রহস্য প্রকৃতির মাঝে বংশ বিস্তারের জন্য নারী পুরুষের যৌন মিলনের কোন বিকল্প নেই । নারী কিবা পুরুষ পরিচয় একটাই মানুষ । বেচে থাকার জন্য মানব শরীর খুবই গুরত্বপুর্ণ । বাঁচতে হলে জানতে হবে এটাই সত্য । লজ্জার কোন বিষয় নয় শুধুমাত্র বুঝার বিষয় । একটা শরীর ভোগ দখলের জন্য আজকাল নারী পুরুষ উম্মাদ হয়ে উঠেছে । কিন্তু একটু অসুস্থ হলে এই শরীরটাকে সেবা যত্নের জন্য আপন প্রিয়জনদের বড়ই অভাব । যে শরীরটা ভোগ দখলের জন্য একসময় ছেলে মেয়ে পাগল হয়ে যায় । আবার অসুস্থতার সময় দেখা যায় দুটো শরীর বিছানাতে পাশাপাশি শুয়ে থাকে কেউ কারো খবর নিতে চায়না । অসহ্য যন্ত্রনায় যদি একটু কান্না কাটির শব্দ বের হয় তবে দয়া মায়া দুরের কথা বরং বিরক্ত হয়ে আরো মানসিক যন্ত্রনা বাড়িয়ে দিতে বিবেকে বাঁধেনা । আমরা আজকাল এমন সব মানুষের সাথেই শরীরের বন্ধনে আনন্দ খুঁজে বেড়াই । শরীর দেখে যেন জিবে পানি চলে আসে । ভোগ করার পরে যেন মূল্যহীন একটা আবর্জনার বোঝা মনে সেই শরীরটাকে । অথচ বাঁচার জন্য মানুষের একমাত্র অবলম্বন এই শরীর । নিজের শরীর সুস্থ রাখতে ভালো রাখতে নিজে যদি সচেতন না হোন তাহলে কে আপনাকে যত্ন করে সেবা করে সুস্থ রাখার জন্য এগিয়ে আসবে । মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটা চিরন্তন সত্য এবং বাস্তব জীবনে মানুষের প্রয়োজনে মানুষকে পাওয়া যায় । কিন্তু জীবন জীবনের জন্য এই চরম সত্যকে উপলব্দি করে কোন মানুষ বাঁচতে চায়না । একটা জীবন নষ্ট হলে কারো কিছু যায় আসেনা । যদি নিজের শরীর সম্পর্কেও মানুষ সম্যক জ্ঞান রাখত তবে হয়তো মানুষ এত নির্মম নিষ্ঠুর হত না । প্রতিটা মানব শিশুকে আদর যত্নে বড় করতে একটা পরিবারের সবাই খুব সচেতন ভাবে দায়িত্ব পালন করে । শিশুটা বড় হয়ে যখন নিজে নিজে বাঁচতে শিখে তখন বুঝি তার শরীরে কোন অসুখ বিসুখ হয়না । তখন যেমন আসে অভিভাবকদের অবহেলা তেমনি আসে প্রতিটা মানুষের মাঝে পরিবর্তন । হয়তো কিছুটা লজ্জা পোষে সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে থাকে । আর এই সময়টাতে প্রতিটা মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হয়ে জীবনের একজন সঙ্গী খুজে । আমরা যাকে প্রেম ভালোবাসা বলে থাকি । আসলে কি প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছু নেই আছে শুধু প্রয়োজন । প্রয়োজন আবিস্কারের জননী । প্রয়োজনবোধে একটা নারী একটা পুরুষ কামনা করে আবার একটা পুরুষ একটা নারী কামনা করে । কিছু মানুষ এই শরীরটাকে ভোগ করার মাঝেই খুজে প্রেম ভালোবাসার সফলতা । যে পথ ধরে মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে যে পথ ধরে খাদ্য দ্রব্য ভোজনের পরে পাকস্থলি থেকে ময়লা আবর্জনা যৌনপথে বা পায়পথে নির্গত হয় সে পথের মাঝে কোন আনন্দ খুঁজে মানুষ জানিনা । যৌনাঙ্গ শুধু মাত্র যৌনকাজে ব্যবহার হয় নাকি । প্রসাব পায়খানার জন্য সৃষ্টি কর্তা এই পথটাকে গুরুত্ব দিয়েছেন । একজন সুস্থ মানুষ যৌনকাজে কতটা সফলতা পায় জানিনা তবে একটা নিকৃষ্ট মানুষই যৌনকাজের প্রতি দুর্বল হতে পারে । আগেতো নিজের শরীর রক্ষা তার পর কারো সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে আনন্দ খুজতে হয় । একদিন বা দুই দিন কারো প্রসাব না হলে শুরু হয়ে যাবে গোটা পরিবারের কান্নাকাটি । ডাক্তার কবিরাজ চিকিৎসকের মাথা নষ্ট অথচ মানুষ নাকি বাঁচতে চায় । মৃত্যুর আগে মানুষ নিজেই মৃত্যুর ফাঁদে পা রাখে । হয়তো কেউ বলতে পারেন আমি যৌনতার বিপক্ষে বলতেছি আসলে ঠিক তা নয় । মানব শরীর একটা । বেচে থাকার জন্য একটা শরীরের জৈবিক চাহিদা মিটাতে শুধুমাত্র একজন সঙ্গীর প্রতি দৃষ্টির গুরুত্ব তোলে ধরার চেষ্টা করছি । যতদিন পর্যন্ত সেই সঙ্গী না পাওয়া যায় ততদিন সাময়িকভাবে ক্ষনিকের মোহে নিত্য নতুন সঙ্গী খোজে যৌনকাজের প্রতি সতর্কতার গুরুত্ব তোলে ধরছি । প্রতিটা মানব শরীর শিশু অবস্থায় পিতা মাতার সেবা যত্নে পেয়ে সুস্থ সুন্দর ভাবে বেচে থাকার জীবন পায় বলেই হযতো যৌবনে বিবাহ দেয়ার সময় তারা সন্তানের মঙ্গল কল্যাণে উপযুক্ত পাত্র পাত্রী নির্বাচন করার দাবী রাখে । পিতা মাতা শরীরটাকে যতটা আদর স্নেহে গড়ে তোলেছে ঠিক ততটাই নিরাপদে রাখতে একজন যোগ্য আদর্শ স্বচরিত্রের পাত্র পাত্রীর অপেক্ষা করে । একটা শরীর আরেকটা শরীরের সাথে মিলনের ক্ষতিকর চিন্তা ভাবনা গুলো পিতা মাতা যতটা সহজে ভাবে ঠিক ততটা সহজে সন্তানকে বুঝাতে পারেনা । পছন্দ অপছন্দের দোহাই দিয়ে হয়তো শরীরের ভোগ দখল যে কেউ অনায়েসে পেয়ে যায় তবে তাতে কি নিশ্চিত হতে পারে কেউ । তবে যার শরীর তার যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে সুস্থভাবে বেচে থাকার চিন্তা করা ভুল । জীবন তোমার শরীর তোমার বেচে থাকার অধিকারও তোমার । কেউ জোর করে কারো শরীরে ভোগ দখল চায় আবার কেউ স্বেচ্ছায় শরীর দিয়ে কারো শরীর দাবী করে । এই শরীর দেয়া নেয়ার নাম যৌনতা । যৌনতার কথা শুনলেই হয়তো সধী সমাজ সুশীল সভ্য মানুষগুলো কেমন যেন নাক কুচকায় । যৌনতা মানে খারাপ নয় । যৌন কাজ করা কোন দোষের বিষয় নয় শুধু দোষনীয় হচ্ছে আসলে কে কার সাথে যৌনকাজে লিপ্ত হচ্ছে । আমরা হয়তো এই ব্যপারটা উপলব্দি করতে পারি না বলে যৌনতাকে ঘিরে উঠে আসে কলঙ্কের বদনাম । স্বামী স্ত্রীর বৈধ মেলা মেশায় কেউ কখনো কোন আপত্তি করেনা বরং বছর যেতে না যেতে আরো একটা মানব শিশুর জন্ম কামনা করে তাদেরকে দুয়া করে । স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলনের ফসল প্রতিটা মানুষ এতো আনন্দের কোন কলঙ্কের নয় । তবে নারী পুরুষের যৌন মিলনে কেন কলঙ্ক আসবে । তবে এটা যে নোংরা অসভ্য চরিত্রের সেটা কেন কেউ জোর পুর্বক বলতে পারেনা । কেন বলতে পারেনা যে নিজেকে একেবারে সস্তা নগন্য ভাবে নিজের শরীরকে কারো হাতে তোলে দিয়ে সে শুধু নিজের ক্ষতি নয় বরং প্রতিটা মানুষের ক্ষতি করছে । মানুষের ক্ষতি করার কোন অধিকার কারো নেই । যদি নারী পুরুষের মধ্যে সমজোতা হয়ে থাকে তবে সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে বৈধ ভাবে যৌন মিলনে লিপ্ত হতে পারে তখন কেউ কোন বাধা দিতে পারবেনা কেউ বদনাম রটাতে পারবে না ।
তোমার শরীর তোমার বিলিয়ে দেয়ার অধিকার আছে কিন্তু কেউ সহজে ভোগ করার অধিকার কেন পাবে । শরীরের অধিকার তাকেই দাও যে তোমার শরীরটাকে যত্ন করে সুস্থ রাখতে জীবন মরন পাশে থাকবে । শরীরে রোগ ব্যধি থাকতেই পারে তবে রোগী অবস্থায় যে তোমাকে উপেক্ষা করবে তাকে কেন শরীর দিবে । যদি নিজের শরীরের মূল্য তুমি বুঝে না থাক তবে বাচার জন্য রুচিশীল খাবার দাবারের কি প্রয়োজন সুন্দর পরিপাটি হয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কি দরকার । শরীরের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরুন করতে যে আপন ভাবতে পারেনা তাকে জৈবিক চাহিদা মিটিয়ে কি তৃপ্তির স্বাদ দিবে । লোভ মানুষের অন্তরে থাকে । শরীরের প্রতি যাদের লোলপ দৃষ্টি পড়ে তাদের মত লোভীদের কয়টা শরীর দিয়ে ক্ষুধা মিটে কেউ জানেনা । হুশ জ্ঞান ঠিক রেখে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে তা না হলে বেচে থাকা মুশকিল । দুর্বল ও অসুস্থ শরীরের বোঝা মানুষ বইবে তো দুরের কথা যার শরীর তার নিজেরই কষ্ট হয় বিষম । আমরা মানুষকে খুব সুন্দরভাবে বলি শরীরের প্রতি খেয়াল রেখ অথচ নিজের প্রতি সবথেকে বেশি বেখেয়ালি হয়ে শরীরটাকে যাকে তাকে ভোগ করার আনন্দ খুজে বেড়াই ।

পবিত্র চাহিদা

দৈহিক জৈবিক সে তো পবিত্র চাহিদা
লুটে পুটে ভোগে ব্যস্ত সুযোগ সন্ধানী
স্বামী স্ত্রী মিলন সুখে সুন্দর ধরণী
পূর্ণাঙ্গ জীবন পায় নর নারী আধা
বৈধ অবৈধ শরীর অধিকার ভুলে
যৌবনের তৃপ্তি খুঁজে দায়মুক্ত হয়ে
সম্পর্ক পাল্টাতে যেন ভাঙ্গা গড়া বিয়ে
চির জনম অভাবী যা খুশি তা পেলে
ওরে অবুঝ অজ্ঞানী এ শরীর তোর
বাঁচার অবলম্বন একমাত্র দেহ
সুস্থভাবে ভালো রাখে সে আপন কেহ
তোর জন্য সুখ শান্তি ভাবেনা দোসর
নষ্ট হলে অযোগ্য যে খুঁজে দুর্বলতা
নারী পুরুষ শরীরে বেঁধে রাখা বৃথা
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×