এই প্রথম মুভি রিভিও লিখতেছি।ভুল হইলে মাপ চাই।ব্লগে 3rd Person Singular Number এর অনেক রিভিও পরছি,তাই এই মুভিটা আর দেখতে মন চায় নাই।জাগো দেখার ইছছা এড দেখার পর থেইকাই ছিল।গান গুলাও খুব ভাল লাগছিলো।
জাগো...............
কাহিনীঃ
সাধীনতার পর থাকে প্রতি ২ বছর পর পর কুমিল্লা একাদশ এর সাথে ভারতের ত্রিপুরা একাদশ এর খেলা হয়।কখনও কুমিল্লা একাদশ জয়ী হয় নাই।তাই এইবার ফেরদোস এর কেপ্টেন্সিতে অনুশীলন হইতেছিলো খুব ভাল করে।কিন্তু খেলার এক মাস আগে কুমিল্লা একাদশ এর পুরা দল এর এক্সিডেন্ট হয়।ফেরদোস পেরালাইসিস হয়ে যায়।কথাও কইতে পারে না।খেলা বাতিল।ভারতের ত্রিপুরা একাদশ এর কাপ্তন আশিক[বেয়াদপ ১টা] পেপার এ ইন্টারভিও এ কয় যে,"কুমিল্লা একাদশ এর লেইগা ভালাই হইসে,তাদের আর হারতে হইবো না"[এই কথা শুইনা আমার মন চাইসিলো বেটারে ১টা ঘুসি মারি ] এই কথা পড়ে ফেরদোস এর পাড়ার ক্লাব "আজাদ স্পোরটিং" এর খেলোয়াড়রা কুমিল্লা ফুটবল ফেডারেশনরে বলে তারা খেলতে চায় কুমিল্লা একাদশ হইয়া[ভাইরে এই সময় আমার মনটা খুশিতে ভিরা গেসিলো ] ফেডারেশন পোলাপাইদের সাহস আর দেশের প্রতি ভালনাসা দেইখা বাফুফে থেকে খেলার অনুমোতি আইনা দেয়।কুমিল্লা ফুটবল ফেডারেশনরের প্রধান মুন্না ভাই[খিলজ্র হায়াত নিজেই অভিন্য করছেন] তারিক আনাম[প্রাক্তন সাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য] এর কাছে যান কোচ হিসাবে যোর দেয়ার অনুরোধ জানাইতে।তারিক আনাম না করেন।কোন ১টা অজানা কারনে তিনি চান না ফুটবল এর জগতে আসতে।তখন ফ্লেশবেক এ দেখায় যে,ফেরদোসও এক বার তার কাছে অনুরোধ করছিলো কোচ হওয়ার।তখনও তিনি ফেরদোসরে অপমান কইরা ভাগায় দিছিলো।একবার তিনি ফেরদোসরে দেখতে তার বাসায় যায়।বাসায় গিয়া ফেরদোস এর জলে ভিজা চোখ দেইয়া তিনি কোচ হইতে রাজি হয়।পুরা টিম লইয়া যায় কক্সবাজারে।কঠিন অনুশীলন চলে ওইখানে।১মাস অনুশীলন কিরা কুমিল্লায় ফিরে তারা।তারপর ২টা খেলা হয়।১ম খেলায় খুব খারাপভাবে হারে।আর ২য় খেলায় কি হয়?????সেটা হোলে গিয়া দেখেন।সব বইলা দিলে মজা পাবেন না।
অভিনয়ঃ
ফেরদোস এর অভিনয় আহামরি কিছু হ্য় নাই।পেরালাইসিস এর পর যখন সে কথা কিতে পারে না,চলতে পারে না-সেই অভিনয় তার ভালা হইছে...সচল ফেরদোস এর অভিনয় ভালা লাগে নাই
বিন্দু এর ডায়ালোগ বলা চরম বিরক্তিকর।r.j দের মত কইরা কথা কইছে সে।ফেরদোস এর বউ সে মুভিতে।
তারিক আমাম খান ভাল অভিন্য় করছেন।তবে আমার মনে হইছে যে তারে ঠিক মত ব্যভার করেন নাই পরিচালক।তারে স্কোপ কম. দেওয়া হইছে।
শুভ আজাদ স্পোরটিং এর খেলোয়াড়।"রাফি" চরিত্রে অভিনয় করছে।মা নাই,মাপ্রে পছন্দ করে না।নতুন কুমিল্লা একাদশ এর অনুশীনল এর খরচ শুভ দেয়।টাকা আনে বাপরে মিসা কথা কইয়া।অভিনয় ভালই হইছে।
জয় এর আসল নাম জানি না।জয় আজাদ স্পোরটিং এর খেলোয়াড়।দারুন অভিনয় করছে।কমিডি করছে জোশ।মাইয়া পাগল পোলা
মেসবাহ এর আসল নাম জানি না।জয় আজাদ স্পোরটিং এর খেলোয়াড়।বেশি বেশি জোশ অভিনয় করছে রে ভাই।অসাধারন।
রওনক ফেরদোস এর ছোট ভাই। নতুন কুমিল্লা একাদশ এর কাপ্তান।সব থেয়কা ভালা অভিনয় করছে রওনক।অসাধারন অসাধারন অসাধারন অসাধারন ।
খিলজি হায়াত খান মুন্না ভাই চরিত্রে অভিনয় করছে।কুমিল্লা ফুটবল ফেডারেশনরের প্রধান।ছোট চরিত্র।
খোদা বক্স ম্ ধা নিজ নামেই অভিনয় করছেন।জটিল ১তা ডায়ালগ দিছিলো মুভিতে- "এই মেসবাহ নিজে ডুবলেন।দলরে ডুবালেন "
আশিক ত্রিপুরা একাদশ এর কাপ্তন।দেখলেয় মারতে মন চাইসে এই বেটারে।ভালাই অভিন্য় করছে।
মেসবাহ'র বড় ভাই,অন্য খেলোয়াড়রা সবাই ভালো অভিনয় করছেন।
পরিচালনা ভাল হইছে।"সময় চুরি" আর " পথে চলতে" গান ২টার ভিডিও ভাল হইছে।
মাইনাস পয়েন্ট
খেলায় গোল এর কিছু সিন দেখলে বুঝয় যায় ইছছা কইরা ছাইরা দিসে।
রওনক এর ১টা ফ্রী কিক জটিল হইছে
।তবে বাংলাদেশে প্রথম খেলার মুভি হিসাবে জোশ
আমার রেটিং – ৪ /৫
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৯