সামান্য কিছু কথা না বলেই নয়ঃ
- যারা মনে করেন জনগণ ভাল নয়, তাদের আমি ঘৃনার চোখে দেখি। আমার অভিজ্ঞতায় বলে বাংলাদেশের মানুষের মত মানুষ হয় না, বুদ্ধিতে কর্মে আমার কাছে সেরা মনে হয়। দুনিয়ার নানান জাতির সাথে কাজ করে আমার এমন মনে হয়েছে, বাংলাদেশীদের এক কথা একবারের বেশি বলতে হয় না। আমরা বাংলাদেশীরা শুধু হেরে যাই বা যাচ্ছি, একজন দক্ষ প্রশাসকের অভাবেই। অনেকে বলতে পারেন, জনগণ নির্বাচিত করেছে এমন প্রশাসক! এই কথা বলা লোকের জন্যও ঘৃনা থাকলো!
- যারা এই সময়েও মনে করছেন, ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান বা হেল্পারদের জন্য কিসের পিপিই, শুধু মাস্ক গ্লাভস পরেই তারা তাদের কাজ করতে পারে। এই চিন্তার লোকের জন্যও ঘৃনা থাকলো! শুধু হাস্পাতাল নয়, যে কোন প্রতিষ্ঠানের ফন্ট লাইনে কাজ করার মানুষ গুলোরে জন্যও সুরক্ষিত ব্যবস্থা দরকার। আমরা এই সব করতে পারছি না ফলে আমাদের লজ্জিত হওয়া দরকার।
- করোনা ভাইরাসে মৃত্যু কোনভাবেই লজ্জার নয়। যারা এই ধারনা পোষন করেন যে, এটা প্রকাশিতব্য নয়, লজ্জা কিংবা ভয়ের ব্যাপার, এরাও ঘৃনার পাত্র। নিশ্চয় কেহ ইচ্ছা করে এই ভাইরাস নিজের গায়ে নিচ্ছে না! এই মৃত্যু নিশ্চয় গৌরবের!
- রাষ্ট্রের কথা শুনতে আমরা বাধ্য, তবে সেটারও একটা সীমারেখা আছে। রাষ্ট্রের আইনের সব সময়ে মৌলিক দিক থাকে, তার পরের ব্যাপারটাই আপনার আমার বিবেকবোধের ব্যাপার। ধরা যাক রাষ্ট্র বলল, ১৪ দিন ঘরে থাকুন। আপনি আমি অবশ্যই সেটা পালন করবো, আমার যদি খাবার/টাকা থাকে তবে আমি সেটা ২৮ দিনও নেয়ার চিন্তা করতে পারি! আবার যদি আমার ঘরে খাবার বা টাকা না থাকে তবে আমি এই আইন নাও মানতে পারি, আমাকে বাঁচার চেষ্টাতো করতে হবে।
- তবে এই পরিস্থিতিতে আমাদের সংযত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বেঁচে থাকলে অনেক কিছু করা যাবে, অনেক টাকা রুজি করা যাবে, অনেক আনন্দ নেয়া যাবে। ভাত, ডাল বা সামান্য ভর্তা যোগাড় হলেই আমাদের বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। নিজেরটা নিজকেই ভাবতে হবে আগে, মরে গেলে বা জীবিত থেকে কষ্ট পেলে কেহ আপনার কাছে আসবে না! অন্যদিকে আমাদের রাষ্ট্রের অবকাঠামো খুব দূর্বল, সেটা শুধু সমর্থন নয়, এখনো যোগ্য রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারে নাই।
- প্রিয়তমা স্ত্রী বা সন্তানদের যারা এখনো এই দুঃখজনক সার্বিক পরিস্থিতি বোঝাতে পারছেন না বা তারা আপনার এই সহজ সরল কথা বুঝতে পারছেন না, তাদের প্রয়োজনে ইন্ডিয়ান পুলিশের মত পাছায় বেত্রাঘাত করে উল্কি আঁকুন, এতে নিশ্চয় তাদের হুঁশ ফিরে আসবে!
সবাইকে শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯