কিছু একটা লিখবো বলে বসে আছি, কি লেখা যায়! এই তো কিছুক্ষন আগে সারা মাসের বাজার করে বাসায় ফিরলাম, দুই হাতের ঝির ঝির এখনো পুরোপুরি যায় নাই! নিজ হাতে বাজার করি, মাসে একদিন বড় বাজার গ্রোসারী আইটেম, আর প্রায় সপ্তাহে গড়ে ২/৩ দিন আরো প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার মাছ গোশত ফলমুল কিনতে হয়! হিসাব করে দেখেছি, বাসার বাইরে অফিসের পরে বাজারেই এখন বেশি যেতে হয়। এর বাইরে আর কি উপায়!
আমার সমবয়সি অনেকেই এখন আপনারা হয়ত পহেলা বৈশাখের আয়োজনে আছেন, ছেলে মেয়ে বন্ধু নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন, এটা চাইলে আমিও দিতে পারতাম কিন্তু বিবেকবোধের কারনে আমি মনে করেছি আগে বাসার বাজার এবং পরিবারের সবার জন্য ভাল খাবার ও নিশ্চিত জীবন চাইছি। আমার খনিকের আনন্দ ছেড়ে যদি আমার পরিবার সন্তানেরা ভাল থাকে তাতেই খুশি!
আমি চাইলে এই সময়েই চারুকলায় যেয়ে টাকা খরচ করে আসতে পারি, পারি আরো কয়েকজন রোজা না রাখা বন্ধুদের সাথে মুজিব উদ্যানে যেয়ে গাঁজা টেনে, মেয়েদের শাড়ির ভাঁজ দেখে, মোজমাস্তি করে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার বিরাট ভদ্র সেজে রাতে বাসায় ফিরতে! বাসায় ফেরার পরে প্রিয়তমা স্ত্রী কিছু বলার আগেই তার সাথে বিরাট ঝগড়া বাঁধিয়েও সাধু সাজতে পারি! এমনি অনেক কিছু করা যায় বা করতে পারি, শুধু যদি মনে করি, আমার জীবনের আনন্দ আমি দেখবো, আমার দেখা আমি দেখবো ইত্যাদি!
বিবেকবোধ এমনি এক ব্যাপার যে, চাইলেই আপনি যা ইচ্ছা তা করতে পারেন না! বিবেকবোধ হারা হয়ে পড়া বা জীবনের মুল দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া সহজ বিষয় কিন্তু একবার পথহারা হলে আর পথের সন্ধান মিলে না! ফেইক বিষয় গুলোকে (অনেক কাজ আছে যা না করলেও জীবনের কিছু আসে যায় না) যারা জীবনের শুরুতে এড়িয়ে যেতে পারে, তারাই সফল হয়, যদিও জীবনের সফলতা কি সেটা এখনো কেহ নির্ধারন করে দিতে পারে না!
কাজে কাজেই আমি বিবাহিত সন্তানের বাবা মা'দের বলবো, অহেতুক আজাইর্যা আনন্দ বাদ দিয়ে জীবন নিশ্চিত করুন, সন্তানদের চরিত্র বিদ্যাবুদ্ধিতে মনোনিবেশ করুন, নিজদের আর্থিক অবস্থা এমন দৃঢ করুন, যাতে অন্তত বেঁচে থাকতে কারো কাছে হাত না পাততে হয়, কারো কাছে ধার করা বা হাত পাতার মত লজ্জা মুলত আর হয় না! নিজকে প্রতারক সাজিয়ে সমাজ পরিবারের কাউকে দুঃখ দেয়া উচিত না!
অবিবাহিত ভাই বোনদের জন্য অবশ্য আমার কোন উপদেশ বা চিন্তা নেই! শুধু একটাই বলবো, যা হতে চাও, যা করতে চাও তা বিবাহের আগেই করে নাও, বিয়ের পরে অনেক অহেতুক চেষ্টা আর করো না, করলেও মনে শান্তি পাবে না!
(ছবি এটেনশনের জন্য দেয়া, মাছ মাংশ মুরগী সবজী ফলমূলে কোন রশিদ দেয়া হয় না, আজ বাজার করে শান্তি পেয়েছি, ভীড় কম ছিলো!)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৭