somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

হিন্দি ছবি পাঠান, শাহরুক দীপিকা ও নানাবিধ!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিন্দিতে কিছু শব্দ আছে - আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) ইত্যাদি ইত্যাদি। এই শব্দ গুলো গালি না হলেও গালির মত শোনায় এবং হিন্দিতে কেহ প্রাথমিকভাবে মনোকষ্ট পেলে এই কথা গুলো বলে। হিন্দি সিনেমা 'পাঠান' অবশেষে মুক্তি পেল এবং এই ছবির মুক্তির পরে যারা এই ছবির বিরোধ বা বয়কটের কথা বলেছিল তাদের এই শব্দ গুলো বলা হচ্ছে! পাঠান তাদের বিরোধের জন্য সারা দুনিয়াতে আরো প্রচার পেল এবং সেরা অর্থ উপার্জনকারী সিনেমা হিসাবে ইন্ডিয়া সহ সারা বিশ্বে নাম কামিয়ে নিল!

যাই হোক, কথা হচ্ছে কেন এই সিনেমা আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) লোকেরা বয়কটের ডাক দিলো? নেটে অনেক খুজে যা পেলাম তা হচ্ছে, দীপিকার গেরুয়া বিকিনি পরা এবং এটা গেরুয়া রঙ নাকি তাদের ধর্মে অনুভুতিতে আঘাত করছে! এই আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) লোকেরা এর বেশী কিছু বলে নাই কারন এর বাইরে কিছু বলার নেই তেমন। তবে কথা হচ্ছে পরছে দীপিকা কিন্তু কথা শুনছে শাহরুক! এটাও এরা বুঝতে পারে নাই। এই লোকেরা যদি কথা শুনাতো তবে তাদের মেয়েকেই শোনানো দরকার ছিলো, কি করে তাদের মেয়ে এই রঙ পরলো কিংবা এত সংক্ষিপ্ত পরে ফাকফুক দেখিয়ে দিল! এত কথায় দীপিকার কোন নামই নেই, সেই শাহরুকের সব দোষ, যদিও সে এই ছবির একজন অভিনেতা মাত্র, ছবির পরিচালক থেকে প্রায় সবাই হিন্দুধর্মী এবং তাদের কেন এই ব্যাপারটা বোধে আসলো না!

আসলে এই উপামহাদেশে আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) লোক দ্বারাই পূর্ন, যারা তাদের টার্গেট বুঝে না, এদের টার্গেট একটাই ধর্ম এবং সেটা ইসলাম ধর্মই, ইসলাম ধর্মের অনেক দোষের(!) মধ্যে একটা হচ্ছে ইসলাম মুর্তি পুজা পছন্দ করে না এবং জীবন আচরনের নির্দেশনা দেয়, ইচ্ছামত চলাফেরা যায় না, যা এদের অপছন্দ (এই লোকদের দোষর হিসাবে মুসলমানদের মধ্যেও অনেকে আছে!), ফলে এরা নামধারী কোন মুসলমান পেলেও তার বিরোধিতা করে! অন্যদিকে শাহরুক খান যে জীবন যাপন করেন, তা পশ্চিম বঙ্গের ওলামারাও তাকে পছন্দ করে না কিন্তু ইন্ডিয়ান সিনেমায় তার অবদান তা অস্বীকার করার যো কারো নেই, এমন শাহরুক পয়দা হতে শত বছর লাগে এবং সেটা সহজ বিষয় না!

হিন্দি সিনেমা বা কোন দেশের সিনেমাই বাস্তব নয়, সব দেশের সিনেমার গরু গাছের ডালেই উঠে, নৌকা পাহাড়ের চুড়া দিয়ে চলে, সিনেমা বানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বিনোদন দেয়া এবং এই সিনেমা মেকিং করে নাম কেনা সাথে অর্থ উপার্জন করা। ইন্ডিয়ার সিনেমা গুলো সারা বিশ্ব থেকে এভাবেই অর্থ উপার্জন করে, নাচ গানে মানুষের মনে ভীড় করে, ভাষা না বুঝেও অনেকে এই সিনেমা গুলো দেখে, এর সাথের গান শুনে হাসে কাঁদে!
আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) লোকেরা কবে বুঝবে যে এতে তারাই ক্ষতিতে যাচ্ছে, তাদের পরের জেনারেশন তাদের মতই আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) হয়ে উঠবে! সব দেখে শুনে আফসোস লাগে!

দুঃখের বিষয় আমাদের দেশেও আজকাল এমন আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) লোক অনেক দেখা যাচ্ছে, যারা পরিমনি, মাহি কিংবা আলমের পাদের খবর নিয়েও আয়োজন করে!

তবে চ্রম সত্য হচ্ছে, যে কোন দেশে 'সুশাসন' না থাকলেই এমন আনপড় (অশিক্ষিত), নালায়েক (বেকুব), নিকর্মা (কাজের না), বেরোজগার (আয় করে না) মানুষে পরিপূর্ন হয়, যারা নিজের ভাল বুঝে না, উপ্রন্ত অন্যের জীবন বিষিয়ে তুলে। নিজের পেটে ভাত নেই অথচ অন্যের তালে নাচে, এই যেন এক রাজনীতির খেলার ঘুটি!


(ছবিঃ নেট থেকে দ্যা ইকোনমিক টাইমস ইন্ডিয়া)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×