গত কয়েকদিন আগে (২৪ এপ্রিল ২০২৩) কানাডায় নাগরিকত্ব নেয়া পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা (যদিও তিনি নিজকে ভারতের বাসিন্দা মনে করতেন কিন্তু ভারত এটা কখনো মেনে নেয় নাই) মিঃ তারেক ফাতাহ ক্যান্সারে মারা গেছেন, তিনি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেও চরম ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন, তিনি মনে করতেন ও বলতেন ইসলাম ধর্ম মানব সমাজের জন্য ক্যান্সার, অথচ সেই ক্যান্সারেই তিনি পরপারে চলে গেলেন!
বাংলাদেশের নিউজ গুলোতে ছোট করেও তার এই মৃত্যুর কোন খবর দেখলাম না, যদিও বাংলাদেশের অনেকের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো বলে আমি মনে করি, কারন তিনি অনলাইনে সব সময়েই এক্টিভ থাকতেন এবং নানান দেশের নাস্তিক লোকেদের সাথে কথা চালিয়ে যেতেন বলে বুঝতে পারতাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়েও তার অনেক ধারনা ও মন্তব্য ছিলো। অনেকদিন আগে সেই ইয়াহু মেসেঞ্জার আমলে গ্রুপ মেসেজে (আমি উনাকে সেই আমল থেকে চিনতাম) তিনি আমার সাথেও বেশ কথা বলেছিলেন, পরে দুই একবার ইমেলেও দুই একটা বিষয়ে কথা হয়েছে, আমি নিজেই আর এই বিষয়ে আগ্রহ দেখাই নাই, তবে বুঝতে পারি তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও ভাল জ্ঞান রাখতেন। এক বার আমি উনাকে বলেছিলাম, আপনি ইসলামের বিপক্ষে লিখেন বা বলেন, অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধেও তো লিখতে পারেন। তিনি এর কোন উত্তর দেন নাই বা দিলেও আমার চোখে পড়ে নাই।
ভারতের কিছু মানুষের (যদিও এমন মানুষ হিন্দু ধর্মের লোকেরাও পছন্দ করে না বলে দেখতে পাই) মধ্যে তিনি বেশ গ্রহনযোগ্য হলেও, পাকিস্তানের মানুষের কাছে চরম ঘৃন্য ছিলেন। আমাদের মেয়ে লেখক তসলিমা নাসরিনের সাথে যোগাযোগ থাকার কথা বলে বুঝতে পারি, কারন দুই জনের আদর্শ এক ও অভিন্ন ছিলো, তার মৃত্যুর পরে লেখক তাসলিমা নাসরিনকেও একটা লাইন লিখতে দেখলাম না (যদি লিখে থাকেন তবে আমার চোখে পড়ে নাই এখনো)!
ছবিঃ নেট থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬