somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান, মেয়রেরা কিভাবে দিনের পর দিন ধনী হচ্ছে! আসুন দেখি!

২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাধারন গ্রামের একজন মেম্বর, ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র এরা সবাই এখন ধাপে ধাপে কোটিপতি! কি বিশ্বাস হয় না, তা হলে নিজ গ্রামের, ইউনিয়নের, উপজেলার, পৌরসভার এমন কারো সাথে একটু ভাইল দিয়ে একটা দিন চলেন, বুঝতে পারবেন, আমি মিথ্যা না সত্য বললাম! এদের একেজন ব্যক্তি প্রায় ১৫ বছরের বেশি একই স্থানে কাজ করছে, তেমন জবারদিহীতা নেই, সরকারের বরাদ্ধ, নানান কাজ, অর্থ তাদের কাছে পৌঁছায়, নিজদের মত করে বন্টন করছে, ইচ্ছামত পকেটে পুরছে, এখন আর খাতা কলমের দরকার হচ্ছে না, এক্সেল শীটে ফরমেট আছে সেটা পুরুন করে দেখিয়ে দিলেই হল, আর নিচ থেকে উপরের দিকে রিপোর্টের সাথে টাকা দিয়ে দাও, ব্যস! এভাবে কাজ না করেও ঘরে বসে এই লোক গুলো কামিয়ে নিচ্ছে, নিজদের বাড়িতে বিল্ডিং উঠছে, ভাল খাচ্ছে, পরছে, কি আরাম!

এই তো গেল, এক ধরনের ইনকামের কথা, আর যে বড় ইনকাম আসে তাদের তা বলি, সেটা হচ্ছে সেই স্থানের লোকেদের চাকুরী, ব্যবসা, জমিজামা এবং বিবাহশাদী নিয়ে বিরোধের মীমাংসা ইত্যাদি ইত্যাদি! সংক্ষেপে কয়েকটা পয়েন্ট আলোচনা করছি!

১) ছেলের চাকুরী হল, ইঙ্কোয়ারী যাবে, মেম্বার চেয়ারম্যানকে টাকা না দিলে আপনি ও আপনার ছেলে হয়ে যাবেন 'রাজাকার'! ব্যস এক শব্দেই জীবন শেষ! ফলে মানুষ এখন আগেই বলে রাখে, টাকা দিয়ে দেয়, আমার ছেলের ইঙ্কোয়ারী এলে ভাল বলিও!

২) ব্যবসা করছেন, এরা কাছে এসে বলবে, ভাতিজা কিছু খরচাপাতি দিও (চাঁদা আর কি)। ব্যস, না দিলে আপনি তাদের রেশানলে পড়লেন!

৩) জমিজামা নিয়ে বিরোধ পুরানো, এই বিরোধে এদের কাছে যেতেই হয়, গেলেই এদের আসল রুপ বুঝতে পারবেন। টাকা খেয়ে এরা সালিশের বিচার এমন করবে যে, আপনি টাকা না দেয়ার হয়ত নিজকেই খুন করতে চাইবেন, ভাববেন এই কি হল খোদা! সালিশ বিচারে এরা দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কারনে খুব দাড়িবাজ হইয়েছে এরা!

৪) বিবাহশাদী, এই নিয়ে আর কি বলবো, আজকাল ডিভোর্সের হার দেখেই তো বুঝতে আপনাদের পারার কথা। এই মেম্বার চেয়ারম্যান বিবাহের সালিশে এমন কারবার করে যা নিয়ে ধারাবাহিক নাটক বানানো যায়, সাথে দুই পক্ষ থেকে টাকাও খায়, আবার ঘটনা নিয়ে হাসে!

ইত্যাদি ইত্যাদি নানান খাত আছেই!

আশা করি বুঝতে পারছেন, না বুঝলে এলাকার কোন এমপি, মন্ত্রীর বাড়ি যান, তারা আপনারে বুঝাইয়া দিবো, তারাও কি করে আটো ধনী হয়ে যাচ্ছে! ঘর ঘরে থেকে এই টাকার ভাগ যে তাদের কাছেও যায়, নানান ফরমেটে, ক্যাশ কিংবা উপহার হিসাবে! হা হা হা।
একটা মানুষ যখন দীর্ঘদিন একই পোষ্টে কাজ করে সে সব ফাঁকফোকর বুঝে যায় এবং কারে তেল, কারে বাটি, কারে ঘটি, কারে আইক্ষ্যা বাঁশ সব বুঝে যায়, আর এই বুঝার ফলেই সে কামিয়ে নেয়! তবে আর এক্টূ চালাক যারা তারা এই টাকা নিজে নেয় না, ইমেজ ক্লিন রাখার জন্য, তারা এক শ্রেনীর এলাকা ভিত্তিক এসিস্ট্যাট রাখে, যারা দালাল নামে পরিচিত, এরা স্বল্পশিক্ষিত কিন্তু খুব চালাক, এরাই সমস্যায় পড়লে আপনার সাথে কন্টাক করবে এবং টাকা নিয়ে ওদের দিবে, নিজেরাও কিছু রাখবে, যেমন ঘুষের টাকার মত! হা হা হা

এত লেখার পরেও মনে হচ্ছে আপনাদের বুঝাতে পারি নাই, তা হলে বলেন, তেমন কোন ব্যবসা বানিজ্য না করে উল্লেখিত পদ পদবীর বাড়িতে এত সুন্দর বিল্ডিং উঠছে কি করে? যাদুর খেলা নাকি!

সরকারের বড় প্রশাসন কি এই সব জানে না? আমি নিশ্চিত (!) এদের নিয়ে এত ভাবনার সময় আপাতত সরকারের হাতে নেই! কোটিতে যেখানে হিট নেই, লক্ষের দিকে চোখ যায় কি করে? আর এরাই তো মাঠে আছে!

(আমি সাংবাদিক নই, ব্লগার - যা চোখে দেখি বুঝি তাই লিখে ফেলি, আপনি আমার যুক্তি খন্ডাতে পারেন, মোষ্ট ওয়েল কাম!)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×