গতকাল রাতে ঘুমাতে পারি নাই, ভোরে উঠে অনলাইনে নানা পত্রিকা দেখছিলাম। সরকার অনিদিষ্ট কালের জন্য কার্ফু দিয়েছে। পত্রিকাগুলো দেখে ১০টার দিকে ছাদে গেলাম। হ্যাঁ, রাস্তাঘাটে বড় যানবাহন নেই, তবে রাস্তায় মানুষ আছে, রিক্সা আছে, আছে কিছু সি এন জি। দূরে রেল লাইনের ধারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান গুলো খোলা দেখলাম। পাশাপাশি চা সিগারেটের দোকান খোলা, মানুষ চা খাচ্ছে। চাইলে আমিও যেতে পারি।
যাই হোক, সরকার হয়ত তার শেষ চেষ্টা বা আখের ঘুছিয়ে নিচ্ছে। তবে এটা কেন বুঝতে পারছে না যে, আর থাকা সম্ভব না। আপনি যদি রাস্তায় হাটেন তবে আপনার চোখে পড়বেই, এভাবে চলে না। গতকাল আমি ও আমার এক বন্ধু অন্তত ১০ কিমি হেঁটে রিক্সায় বেড়িয়েছি, মানুষ দেখেছি, শিক্ষার্থী দেখেছি, আবার সামান্য কিছু সরকার পক্ষের লোক দেখেছি, যারা সংখ্যায় খুব কম এবং তাদের কাছে অস্রপাতি থাকলেও টিকে থাকার মত নয়, এদের চেহারা আবার ভাড়াটে, হয়ত এলাকার নেতারা টাকা দিয়ে এদের দাঁড়া করিয়েছে, বিপরীতে ছাত্রছাত্রী জনতার ঢেউ দেখে অবাক হয়েছি।
সরকার টিকে মানুষের সমর্থনে, যা এখন শূন্যের কোঠায় বলা চলে। সরকার গতকাল মিটিং করে জানিয়েছে অনেক কিছু। পত্রিকার দেখলাম। পিছু হটবেই না সরকার।

দলীয় এই অবস্থান ছাড়াও নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে গতকাল রোববার নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভার পর তিনি এসব কথা বলেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন যারা নাশকতা করছে, তারা কেউই ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী।’
এই অবস্থায় আজ সোমবার সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই মার্চ আগামীকাল মঙ্গলবার হওয়ার কথা থাকলেও তা এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্দোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তাঁরা গতকাল বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা শুরু করেছে। তাদের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ করা হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।

আমার তোলা ভিডিও, ছবি অনেক চেষ্টার পরেও দিতে পারছি না, কারনে নেট লাইন এতই স্লো যে, মোবাইল থেকে ছবি কম্পিউটারে নেয়াই যাচ্ছে না।
একজন সাধারন দেশের মানুষ হিসাবে যদি অভিমত জানতে চান, তবে বলবো, সরকারের কাছে আর কোন উপায় নেই, চেষ্টা হতে পারে, এতে দেশের লস হবে, কিন্তু সরকারের টিকে যাওয়া সম্ভব না। এভাবে কতদিন, নেট বন্ধ করে মানুষ্কে কতদিন ঘরে বসিয়ে রাখা যাবে। হাজারো মানুষ মেরে ফেলেও সম্ভব না, আর যদি এই যাত্রায় টিকেও যায়, তবে এই বিচ্ছিন্নতা নিয়ে কি করে দেশ চলবে। অসম্ভব!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

