আগের মত এখন আর ঘুরাফেরা করি না, কারন ঘুরতে গেলেই খরচ আর খরচ! তবুও মন মানে না, মাঝে মাঝে বের হই! অন্যদিকে আজকাল বন্ধু সংখ্যাও কমেছে অনেক, অনেকে মারা গেছে, আবার অনেকের সাথে এখন আর ম্যাচ হয় না! ধনীরা এখন নানান ধান্ধায় আছে, যা আমার পছন্দ হয় না, আবার দরিদ্রদের সাথেও টেকা দায়!
আমার এখন পছন্দের বন্ধু হচ্ছে যারা প্রযুক্তি বুঝে এবং এই পথে জ্ঞান রাখে! গত কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সাথে জেলা বেড়াতে গিয়েছিলাম, আমি কোন ভিডিও করি, এতে তার আপত্তি, তবে ছবি তোলাতে আপত্তি নেই! সে এখনো পিছে পড়ে আছে, আমি তাকে বুঝালাম, এখন মানুষ ভিডিও পছন্দ করে, মানুষ দেখতে চায়, তথ্য জানতে চায়। এখন মানুষ ১৫ সেকেন্ড ১ মিনিটের ভিডিও তথ্য সহ পছন্দ করে অনেক, ইউটিউবের সর্টস কিংবা টিকটকে অনেকেই মজে আছে! সে মানতে নারাজ!
অন্যদিকে বয়স বেড়েছে, এখন যে কোন জায়গার খাবার খেতে পারি না, আবার ভাল জায়গার খাবারের সামর্থ্য নেই! হা হা হা... যাই হোক তবুও বের হতে হয়! আজকাল রাতের ঢাকা দেখার মত, চারিদিকে আলোর ঝলমলানি, বড় বড় বিল্ডিং, রাতে খোপে খোপে আলো জ্বলে, হয়েছে অনেক রুফটপ হোটেল, উন্মুক্ত গানের স্থান! শুক্রবারের বন্ধের সন্ধ্যায় মিঃ করিবকে রাজি করালাম, গুলশানের পুলিশ প্লাজা সহ হাতিরঝিলে হেঁটে বেড়ানোর জন্য! সে একা মানুষ, রাজি হয়ে গেল! আমরা বের হয়ে পড়লাম!
বাড্ডায় ওর বাসায় গেলাম, তার পরে সন্ধ্যায় হাতিরঝিলে! চলুন কয়েকটা ছবি দেখি, তবে ফেইসবুকে ঢাকার ছবি গ্রুপে অনেক ছবি তুলে দিয়েছি, এখানে স্পেস নষ্ট হবে বলে এত বেশী ছবি দিলাম না। আমরা অনেক হেঁটেছি, সামান্য খাবার দাবার ছিলো, চা কফি কয়েকবার! পরে হেঁটেই বাসায় ফিরে আসি!
অনেক মানুষ দেখলাম, বিশেষ নানান কিসিমের প্রেমিক প্রেমিকা, তরুণ থেকে মাঝ বয়সি! আসলে ঢাকা এখন প্রেমের শহর, কে যে কাকে নিয়ে বেড়াচ্ছে বুঝা দায়! পাশের টেবিলে বসা এক নারী পুরুষ দেখলাম, তারা যে স্বামী স্ত্রী নয় তা কথা শুনে মনে হচ্ছিলো, মাঝ বয়সী লোকটার দেখলাম গাড়ি আছে, তারা বেশ কিছু খাবার খেল, বিল দিলো এবং আবার গাড়িতে উঠে চলে গেল! মাঝবয়সী দুইজনকে দেখে মনে হল অনেক তাড়া! এখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন তাদের সম্পর্ক কি বলে মনে হল, আমি বলবো, তারা হয়ত দুইজনেই বিবাহিত, সন্তানাদি আছে, পাশাপাশি তারা হয়ত শারীরিক পার্টনার!
খাবারের দাম অনেক বেশী, এই এতটুকু খাবারের দাম রেখেছে ১৭০টাকা! সস্তা ফার্মের চিকেন তবুও প্লেটে খুঁজে পাওয়া যায় না! আজকাল খাবারের দোকানে পুরা শহর ভর্তি হয়ে গেছে, রাজধানীর প্রায় ফুটপাতেই এখন খাবারের দোকান, যে যা পারছে তা নিয়েই বসেছে! এটা আমি ভাল চোখে দেখি, কারন মানুষ কিছু করে উপার্জন বাড়াচ্ছে, আগে বাঁচা দরকার! (ক্রমশ)
সবাই ভাল থাকবেন, আনন্দে থাকবেন।